নুরুজ্জামান নিজেকে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি বলে দাবি করেন। সঙ্গে থাকা দলীয় পরিচয়ের ভিজিটিং কার্ডও প্রদর্শন করেন তিনি।
১৪ বছর ধরে জালটাকা তৈরির ব্যবসা করছেন। পুলিশের হাতে একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। কিন্তু বেশিদিন আটকে রাখা যায়নি। কিছুদিন জেল খেটেছেন; কিন্তু জালটাকার ব্যবসা ছাড়তে পারেননি। এর মধ্যে বাজারে ছেড়েছেন কোটি কোটি টাকা মূল্যের জালনোট। রয়েছে তার অসংখ্য শিষ্য। তারাও গুরুর কাছে দীক্ষা নিয়ে জালটাকার ব্যবসা করছে। গোয়েন্দাদের কাছে জালটাকা তৈরির মূল হোতা বলে পরিচিত এই ব্যক্তির নাম দুরুজ্জামান ওরফে নুরুজ্জামান মাস্টার ওরফে জামান বিশ্বাস (৫০)। যিনি মুক্তিযোদ্ধা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। তার ছোট ভাই অ্যাডভোকেট খালেদুজ্জামানকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের রয়েছে জালটাকা তৈরির একাধিক কারখানা। দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিকভাবে জালটাকার ব্যবসা চালিয়ে আসছিল ওই চক্রটি।
১০ কোটি টাকার জালনোট ও সরঞ্জামসহ নুরুজ্জামান বিশ্বাস এবং তার ৯ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার বিকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকার জালনোট বাজারে ছাড়ার মুখ্য সময়টাকেই বেছে নিয়েছিল জালনোট তৈরির চক্রটি। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা বাজারে ছাড়া হয়। এর ঠিক একদিন আগেই গ্রেফতার হলো ১০ কোটি টাকার জালনোটসহ প্রতারক চক্রটি। গ্রেফতার করাদের মধ্যে চারজন নারী সদস্যও রয়েছে।