আগেই বলে রাখি যে যারা ওনাকে পীর জ্ঞান করেন, তাদের জন্য অবশ্য এখানে খুব বেশি নতুন তথ্য থাকছেনা আর আপনারা এম্নিতেও তার কোনো ভুল কে ভুল স্বীকার করবেন না কাজেই সেই বৃথা চেস্টা করবোনা । তবে এই দাবী করতে পারি যে আমার দেয়া এখানকার প্রতিটা তথ্যই রেফারেন্স দিয়ে প্রমানযোগ্য । খুব ছোট্ট পরিসরে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে লিখছি যে কেন জাফর ইকবাল সাহেব এত ট্রলিং আর সমালোচনার শিকার হচ্ছেন।
* নিজে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত এত বুলি কপচালেও নিজে যুবক হওয়া সত্বেও যুদ্ধে যান নি বরং গর্তের মধ্যে সেচ্ছাবন্দী ছিলেন তার অগ্রজ হুমায়ুন আহমেদ অন্তত নিজের আত্মজীবনিতে নিজের অপারগতার কথা স্বীকার করেছেন তবে জাফর ইকবাল কোথাও করেছেন বলে জানি না । হুমায়ুন আহমেদের একাধিক বইতে তার এই গর্তজীবি হওয়ার কথা উল্লেখ আছে। হুমায়ুন আহমেদ লিখেছিলেন, "১৬ ডিসেম্বর, ভোর। ১৯৭১। আমার বুক ধক ধক করছে। বাজিছে বুকে সুখের মতো ব্যথা। বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমরা স্বাধীন। এখন আর মাথা উঁচু করে হাঁটতে সমস্যা নেই। নিজের দেশের মাটি/দবদবাইয়া হাঁটি। আমি দবদবিয়ে হাঁটার জন্যে বের হলাম। প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে আমার ছোট ভাইকে (জাফর ইকবাল)। শুনেছি, সে যাত্রাবাড়ীতে আছে। গর্তে বাস করে। যাত্রাবাড়ীতে আমার দূরসম্পর্কের এক মামা বাড়ির পেছনে গর্ত করেছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে নিয়ে গর্তে বাস করেন। জাফর ইকবাল যুক্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে"। - কত না অশ্রুজল।
* রাজাকারদের নিয়ে এত এত লেক্চার দিলেও নিজে কখনো এটা acknowledge করেন নি যে তার নিজের নানা এক্জন রাজাকার ছিলেন । এ সংক্রান্ত একাধিক বর্ননা আছে তার ভাই হুমায়ুন আহমেদ আর তার মা আয়েশা ফয়েজের লেখা আত্মজীবনীতে ।
* কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তার ভুমিকা। কোটা আন্দোলনের ছাত্ররা ন্যায্য দাবীর জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলে জাফর ইকবালের মানুষের দুর্দশার কথা মাথায় আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল যখন সহরোওয়ার্দী উদ্যানে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে জয় বাংলা স্লোগান দিছিলেন, ঠিক সেই সময়ে বাংলামোটরে প্রচণ্ড জ্যামের মধ্যে ছটপট করছিলো একজন প্রসূতি মা। এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার প্রতিবাদ দেশের বিবেকবান সকল মানুষ করলেও, জাফর ইকবাল সেদিন ব্যাস্ত ছিলেন "বঙ্গবন্ধু উপর থেকে আমাদের সব অর্জন দেখছে" কলাম লিখায়
* সরকারের তোষামোদিতা আর আওয়ামি সরকারের অন্যায় দেখেও না দেখার ভান করা । তার নিজের স্ত্রী যখন ছাত্র লীগের বখাটে ছেলেদের দ্বারা আক্রান্ত আর লাঞ্ছিত হয় আর বিশ্ব বিদ্যালয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাব্স্থা নিতে গেলে যখন তাদের লীগ পরিচয় জানা যায় তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যাব্স্থা না নিয়ে তিনি তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে বোঝাতে চান
* সবাইকে নিজের ভাষা সংস্কৃতির গুরুত্ব আর English medium এর নিয়ে ক্ষতিকর দিক নিয়ে লেকচার দিলেও নিজের সন্তানদের পরিয়েছেন সেই স্কুলে । এমন কি শোনা যায় যে নিজের ছেলে ও মেয়ে কেউই ঠিক মতো বাংলা বলতে পারেনা
* সন্তান দের বিদেশে পড়াশোনা ও শেখানে স্থায়ীভাবে বাস করার বিপক্ষে একাধিক কলাম লিখেও আবার তার নিজ সন্তানরা বিদেশে settled. ইন ফ্যাক্ট সানন্দে তার মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন একজন আইরিশ ছেলের সাথে । কোমলমতি বাচ্চাদের ঘৃনা আর জাতিবিদ্বেষ শেখান এই বলে যে প্রতিবার পাকিস্থান নাম উচ্চারন করলে যেন তারা দাত মেজে নেয় । পাকিস্থানি ছেলে হলে নিশ্চিত হার্ট এ্যাটাক করবেন যিনি, ১৯০ বছর ধরে আমাদের পুর্ব্পুরুষদের নির্যাতন আর হত্যাকারীদের সাথে সম্পর্ক করতে তার চেতনা নষ্ট হয় না !
* জাফর ইকবাল তাঁর বিবেক বন্ধক রেখে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামের এক কালী দিয়ে কলাম লিখেন একটি স্বীকৃতি প্রাপ্ত স্বৈরাচার সরকারের জন্য। তাই উনার লিখায় কেবল স্বৈরাচারের স্বার্থ উঠে আসে, উঠে আসে নিজের স্বার্থের কথা। যেখানে উনি উল্লেখ করেন না, মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে এখন ভিক্ষা করা বীর আব্দুর রাজ্জাক শেখের কথা। সেখানে উনি কোনদিন উল্লেখ করে না স-মিলের ভ্যান চালিয়ে সংসার চালানো বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের কথা
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৮