somewhere in... blog

গল্পের শেষ

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




অনেক দিন ব্লগে লিখি না, লেখার তেমন কোন ইচ্ছাও ছিলো না।কিন্তু প্রতিদিন ব্লগে আসতাম। কখনো কখনো কারো পোস্টে চোখ বুলিয়ে নিতাম, মাঝে মধ্যে হয়ত মন্তব্য।
কেউ কখনো হয়ত ভেবেছিলেন কোন কারণে হয়ত পোস্ট দেই না ব্লগের প্রতি রাগ কিংবা কোন সমস্যা।
কিন্তু আমি নিতান্তই একজন খুব সাধারণ ব্লগার।

এখানে প্রতিদিন যেমন ঘটেছে তর্ক-বির্তক, তবুও এসে গেছি দেখে গেছি। তবুও ব্লগটা বেচেঁ আছে।
সাধারণ মানুষের কিছু কথা ডায়েরির পাতা ওঠে আসে হয়তবা এই ব্লগে।
সব লেখাকেই গল্প কিংবা সাহিত্যের মানদন্ডে না ফেলে কিছু মানুষের জীবনের কথা হিসেবে দেখলেই ভালো লাগে, একটা সময় সেই সময়টুকুন ছিলো, আজ আর নেই তেমন অবসর।
নিজের কথা মনে হলে বড় মায়া হয়, কি ভালো লাগায় এখানে এসে বসতাম এখন কেন এতটা উদাসীন। আজ কেন নেই সেই সময়।



একটা সময় কেন জানিনা মনে হয়েছিলো ভার্চুয়াল এবং রিয়েল ভালো-মন্দের মাঝে অনেক তফাৎ। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ভালো সে সব পাত্রেই ভালো একইরকম মন্দের বেলায়।

অনেক দিন আগের লেখা একটি অসমাপ্ত গল্পের সমাপ্তি লিখতেই বসা আজকে। গল্পটার শেষ লেখার জন্য আমাকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে বলাটা উচিত হবে না বোধ হয়। আসলে এতদিন এই গল্পের কোন প্রয়োজন ছিলো না। এখন বোধ শেষটা লেখা যেতে পারে।
আমি কিন্তু ভালোবাসি নাB-) শিরোনামে গল্পটা লেখা হয়।

গল্পটা খুব সাধারণ কিন্তু এখানের সব চরিত্র বেঁচে আছে এই যা বিশেষত্ব।

গল্পের শেষ কথা ছিলো ----চলিতে থাকিল তাহাদের...................কিন্তু কোন কিছুই অনন্তকাল হয়ত চলে না, সব চলার হয়ত একটা শেষ থাকে।
অনেক দিনের অনেক কথা ভালো-লাগা মন্দ লাগার পরেও হয়ত খুব গভীরে কিছু সত্যি লুকিয়ে থাকে যা আমরা নিজেরাই কখনো ধরতে পারিনা।

আনন্দ-অনুর জীবনেও তেমন কিছু ছিলো যেটা দুজনের কেউ কখনো বুঝতে পারেনি।

আনন্দ আর অনুর মাঝের দুরত্ব ছিলো কেবল সময়ের না দেখার। চোখের দেখা নেই তবে মনের দেখা হয়ত ছিলো। দুজনই দুজনকে ঠিক সেইভাবে অনুভব করত। সম্পর্কটা ছিলো তেমনই মধুর যতদিন পর্যন্ত আনন্দের মনে অনিশ্চয়তা ছিলো, যতদিন পর্যন্ত অনু ছিলো আনন্দের ধরা না ধরার ফাকেঁ। লুকোচুরির এই এক বিশাল মজা। কেউ জানে কেউ বুঝে না।

অনু একদিন ফোন করে বলেছিলো তুই আমাকে বিয়ে করবি। জবাবে
আনন্দের সেই চিরাচরিত কথা--হুম, তুই যা বলবি তাই করব।
তারপরেও অনেক দিন ওদের মধ্যে বলা না বলার মাঝের অনুভূতির বিনিময় হতে থাকে।
অনু একটা সময় বলে নাহ আমি এমনি বলেছিলাম-ফাযলামি! আনন্দ বলল হুম, আমি জানি।

তারপরেও অনেক পরেও আনন্দ অনুর কাছে অনুমতি চাইলো--আমি কি তোর ভালোবাসার তানপুরা বাজাঁতে পারি???
তুই কি আমার সাথে তোর ভালোবাসার তানপুরা তোর ফ্যামিলি
তোর সবসুর বাজাঁতে পারবি??

অনেক বছর পর আনন্দ জেনেছিলো সত্যিটা এবং অনুও। আনন্দ জেনে গেলো অনু তার তানপুরা বাজাঁতে রাজি আনন্দের সাথে সম্পর্কের সবসুরে।

এভাবে চলল কিছুদিন। গল্পটা হয়ত এভাবে শেষ হতে পারত। এভাবেই হয়ত সারাজীবন চলতে পারত।

কিন্তু এখানেই এভাবে শেষ হলো না।

কিছুদিন পর অনুও জেনে নিলো সত্যিটা। কথায় বলে ভালোবাসা মুখে বলার বিষয় নয় অনুভবের। অনুও অনুভব করলো তানপুরার সুর সত্যিই বাজেঁ না, তাল কেটে যায়নি আসলে। সে আসলে বাজাঁতেই জানে না। যে তাকে কখনোই ভালোবাসেনি সে কি করে পারবে এখন ভালোবাসতে??
আনন্দের বিরক্তিসূচক কথা এবং সময়ের বাধাঁ নিষেধই প্রমাণ করে দেয়--এতদিন যা পায়নি সে নিজের করে..একদিনের জন্যে হলেও সেটার অধিকার কেবল দরকার ছিলো।
মানুষ যখন তার কাঙ্খিত জিনিসটি পেয়ে যায় তখন এর চেয়ে অদরকারি জিনিস তার কাছে আর কিছুই হতে পারে না।
অনুর কেবল মনে পড়ে দিনরাত যে ছেলে তার পেছন পেছন বছরের পর বছর ঘুরে মরল এখন কি করে সে এত সময় সচেতন হয়ে যায় এবং নিজের করা কাজকে ভুলে অন্যকে আদেশ করা যায়--এমন করবি না।
আজ আর আনন্দের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই অনু কোথায় কেমন আছে। আনন্দকে ভুলে আছে না মনে নিয়ে আছে। আজ তার পালানোর দিন, সে পালাবেই।

যাকে নিয়ে কখনোই ভাবেনি অনু, যার কাছাকাছি থেকে এতদিন তাকে অনুভব করেনি, এখন তার উপেক্ষাই তার কথা মনে করিয়ে দেয়। ভালোবেসে নয় একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে।


কেউ একজন বলেছিলো একদিন- আসলে ছেলেদের ভালোবাসার কোন যোগ্যতাই নেই, জানেই না কি করে ভালোবাসতে হয়। কেবল চর দখলের মত ভালোবাসার স্বীকৃতি চাওয়া।
৪৫৬ বার পঠিত
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এক্স লইয়া কি করিব

লিখেছেন আনু মোল্লাহ, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

যাচ্ছিলাম সেগুনবাগিচা। রিকশাওয়ালার সিট কভারটা খুব চমৎকার। হাতে সেলাইকরা কাঁথা মোড়ানো। সুন্দর নকশা-টকশা করা। নর্মালি এররকম দেখা যায় না। শৈল্পিক একটা ব্যাপার। শুধু সিটকভার দেইখাই তার-সাথে কোন দামাদামি না কইরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইলিশনামা~ ১

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


১৯৮৫ সালে ডক্টর মোকাম্মেল হোসাইন ‘ ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে যেই রিসার্চ পেপারটা( থিসিস – এম এস এর জন্য) জমা দিয়েছিলেন সেটা এখানে মিলবে;
[link|https://open.library.ubc.ca/cIRcle/collections/ubctheses/831/items/1.0096089|Spawning times and early life history of... ...বাকিটুকু পড়ুন

৯০% মুসলমানের এই দেশ? ভারতে কতগুলো মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করা হয়েছে? গতকালও ভারতে মসজিদের পক্ষে থাকায় ৩ জন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার | SAD

লিখেছেন আজব লিংকন, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩



শীতকালীন সর্দি-কাশি, জ্বর, হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, কনজাংকটিভাটিস, নিউমোনিয়া কিংবা খুশকি মতো কমন রোগের কথা আমরা জানি। উইন্টার ডিসঅর্ডার বা শীতকালীন হতাশা নামক রোগের কথা কখনো শুনেছেন? যে ডিসঅর্ডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্টগ্রাম আদালত চত্বরের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি

লিখেছেন শান্তনু চৌধুরী শান্তু, ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮



আজ চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা নানান গুজব ও ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা এড়াতে প্রকৃত ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে লিখছি।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×