ভালোবাসার সম্পর্ক টা হচ্ছে একটা গাছের মত। যেখানে সময়ের ব্যাবধানে জন্ম হয় অসংখ্য আগাছার।
ঠিক মত পরিচর্যা করতে না পারলে ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটে সেই গাছের।
আইসক্রিমের সাথেও ভালোবাসার একটা সম্পর্ক আছে। নির্দিষ্ট তাপ মাত্রায় না রাখলে যেমন আইসক্রিম গলে
যায় তেমনি, ভালোবাসাকে আগলে রাখতে না পারলে ভালোবাসাও নস্ট হয়ে যায়।
ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মাতা রেদওয়ান রনির ২য় মুভি “আইসক্রিম” ।
নায়ক নায়িকা সব ই নতুন। যে কোন চলচ্চিত্রের জন্য এটা একটা ঝুঁকি । কিন্তু গল্পের গাথুনি ভালো হলে
এই দিক থেকে সহজেই পার পাওয়া যায়। পরিচালক ও এখানে সেই দিক থেকে শত ভাগ সফল।
প্রসঙ্গ প্লট; সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার সময় রওনকের সাথে পরিচয় হয় একটি মেয়ের যাকে কিনা সে ধীরে ধীরে ভালোবেসে ফেলে।
বড় হতে থাকে ভালোবাসার গাছ টি।
কিন্তু হটাত করেই গাছের পাশে জন্ম নেয় আগাছা, তথা নাদিম নামের ৩য় পক্ষের।
মরেত বসে ভালোবাসার গাছ টি। রওনক কি তার ভালোবাসা ফিরে পাবে, নাকি হারিয়ে যাবে চিরতরে সেটা
জানার জন্য আপনাকে দেখতেই হবে “আইসক্রিম” ।
প্রসঙ্গ অভিনয়ঃ গল্পের প্রধান চরিত্র রওনকের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন মডেল উদয়। মায়ের মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠার আগেই পরিচালকের কাছ থেকে এই মুভি তে কাজ করার অফার পান তিনি।
এবং যথেস্ট অসাধারন অভিনয় করেছেন। প্রেমিকা চরিত্রে নাজিফার চরিত্রটি ছিল চ্যালেঞ্জিং।
একইসাথে ২ জনের সঙ্গে রোমান্স, ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন, ভয়েস ডেলিভারি সব কিছুই ছিল অসাধারন।
অপরদিকে নাদিমের চরিত্রে অভিনয় করা রাজের অভিনয় ও ভালো লেগেছে।
এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে এ টি এম শামসুজ্জামান, মরহুম সায়েম সাদাত এর অভিনয় ও ছিল মনোমুঘধকর।
এই মুভি তে দিতি কে দেখেও অনেকের চোখের কোনায় জল চলে এসেছে।
প্রসঙ্গ পরিচালনাঃ প্রথম মুভি চোরাবালি ছিল যথেস্ট আলোচিত। জয়া আহসানের সাথে কলকাতার ইন্দ্রনীলের
রোমান্স পাশাপাশি একশন সব দিক থেকেই মুভি টি ছিল যথেস্ট ভালো ।
তারপরেও কেন দীর্ঘ বিরতি ? পরিচালক বলে্ন , দেশে অনেক প্রযোজক থাকলেও তার গল্পের
মুভি বানানোর প্রযোজক তিনি খুজে পাচ্ছিলেন না।
অনেক চড়াই উৎরাই পাড় করে তিনি এই মুভি বানিয়েছেন। এবং তিনি সফল।
লোকেশন সিলেকশন, চিত্রগ্রহন, সঙ্গিতায়ন, ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক, আলোক সজ্জা, সব কিছুই ছিল
অসাধারন।
সব থেকে বড় কথা, আপনি এই মুভি দেখে নিজের ভালোবাসাকে আগলে রাখতে শিখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪০