ফারি; সিকিম থেকে তিব্বতে যাবার পথে শুধু হিমালয় নয় তাবৎ বিশ্বের সুমদ্রপৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে উচুতে অবস্থিত আদি তিব্বতিয়ান আদলের একটা শহর। লোক সংখ্যা এই হাল আমলেও দু’হাজারের কম! বিমল দে’র মহাতীর্থের শেষ যাত্রী’ নন ফিকশনাল বইটা পড়তে গিয়ে তিব্বতের দুর্গম পথে ফারি’র মত ছোট্ট ভীষণ অপরিচিত একটা শহরের গল্পে এসে চোখ আটকে গেল! কেন কি এর বিশেষত্ব? ভারতের বিখ্যাত বাঙ্গালী ভু পর্যটক বিমল দে’র দৃষ্টিতে ফারি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নোংড়া শহর। ফারি’কে তিব্বতি ভাষায় বলা হয় ফারগি আর চৈনিক ভাষায় বলা হয় ‘ফারগি লি’- যে দুটো শব্দের অর্থই ‘শুয়োর’। তাঁর মানে তিব্বতিয়ানরা জেনে বুঝেই একটা শহরের নাম দিয়েছে ‘শুয়োর’। তিব্বতিয়ানরা গোড়া বৌদ্ধ মতালম্বি হবার কারনে প্রাণী হত্যা করে না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তারা প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকেন-তবে তারা নিজ হাতে সে প্রাণীকে জবেহ বা হত্যা করে না। তিব্বতে নাকি অল্প কিছু মুসলিম ছিল যারা মুলত কষাইয়ের কাজটা করত। যেখানে মুসলিম কসাই নেই সেখানে তিব্বতি লামা বাদে অন্য গোত্রের লোকেরা এই কষাইয়ের কাজ করে। মুসলমানরা যেহেতু শুয়োর নামক প্রাণীকে ভীষণ ঘৃনা করে এবং এর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ বলে মনে করে সেহেতু শুয়োর পালন ও মাংস ভক্ষন তিব্বতীদের মধ্যে প্রচলিত নয়। আমার ধারনা শুয়োরের সর্বোচ্চ নোংরামির গল্প সেই সাথে এই প্রাণীটির প্রতি ঘৃনা ও বিদ্বেষ ছড়িয়েছে মুসলিমদের মাধ্যমেই। তবে অমন উচ্চতায় আর চির তুষারের দেশে ইয়াক আর ভেড়া আর দীর্ঘ পশমাবৃত ঘোড়া ছাড়া অন্য কোন পশু পালন সম্ভবও নয় সম্ভবত।
~'ফারি' ১৯৩৮ সালের ছবি।
যাইহোক পৃথিবীর ছাদ মানে সব থেকে উঁচুতে অবস্থিত ‘শুয়োর’ নামক ভয়ঙ্কর নোংড়া এই শহরকে আরো বেশী করে জানতে আমি অন্তর্জালে ঢুঁ দিলাম! বহু খোঁজ খবর তত্ত্ব-তালাশ করে যেটুকু জানলাম- নেহায়েত অপ্রতুল! কিন্তু এই শহরের কেচ্ছা কাহিনীর ফাঁকে আমি খুঁজে পেলাম ভারত বর্ষের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া এক সুবিখ্যাত আরেক পণ্ডিত বাংগালী পর্যটককে!
না তিনি বিমল দে নন। বিমল দে’র থেক তিনি প্রায় সত্তুর বছর আগে সিকিম থেকে এই ফারির পথেই তিব্বতে ভ্রমণ করেছিলেন। তাও একবার নয় দু’দুবার!
জেমস বন্ড; সারা বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় এক গুপ্তচরকে নিয়ে লেখা কল্পিত সিরিজ। ভারত বর্ষে আজ অব্দি কই কেউ লিখেছেন গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে কোন মৌলিক কল্পিত সিরিজ আছে কি? ( মাসুদ রানা মৌলিক গল্প নয়। বিদেশী গল্পের ভাব ধারায় অনুবাদ, জোড়াতালি আর অল্প কিছু মৌলিকত্ব দিয়ে দেশী আদলে এদেশের প্রেক্ষাপটে সম্পুর্ন অবাস্তব এক কল্পকাহিণী।)
গুপ্তচরের ধরণ হয় ৪ প্রকারের।
স্থানীয় গুপ্তচরদের একটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হয়। শত্রু কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর নিয়োগ করা হয়। শত্রু গুপ্তচরদের থেকে বিপরীত গুপ্তচর নিয়োগ করা হয়। মৃত গুপ্তচর শত্রু গুপ্তচরদের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রেরণ করে।)
মিহির বোস নামে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ লেখক সাম্প্রতিককালে ‘দ্যা ইন্ডিয়ান স্পাই’ নামে দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ভগত রাম তালওয়ার নামে দুর্দান্ত ইন্দো ব্রিটিশ গুপ্তচরের কাহিণী লিখে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন।
আধুনিককালের প্রথম স্বীকৃত গুপ্তচর হিসেবে স্যার পল ডিকিউসকে ধরা হয়। যার জন্মই হয়েছিল ১৮৮৯ সালে। কিন্তু তাঁর জন্মেরও এক যুগ আগে এক ব্রিটিশ গুপ্তচর সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল তাঁর কথা কি ইতিহাসে স্মরণ করে?
এমনিতেই গুপ্তচরের মত ভয়ঙ্কর থ্রিলিং পেশা তাঁর উপরে পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি – এমন বিশেষ একটা পেশায় দুর্দান্ত কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন যে বৃটিশ নিযুক্ত ভারতীয় গুপ্তচর তিনি আবার ট্যাগপ্রাপ্ত ঘরকুনো জাতি বলে স্বীকৃত বাঙ্গালী- তারপরে আবার পণ্ডিতও!!
[sb]বিস্ময়ের পর বিস্ময় যার পরতে পরতে বিস্ময়! এই গুপ্তচর পণ্ডিত আর পরিব্রাজকের জন্মস্থান কোথায় জানেন? আমাদের চাটগাঁ’র পটিয়ার আলমপুর গ্রামে।
৩। একজন গুপ্তচর কেন ও কিভাবে একজন বিশ্ববরেন্য ও ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত সন্মানিত ব্যাক্তি হলেন;
প্রথমেই আসে দার্জিলিং প্রসঙ্গ। ১৯ শতকের শেষভাগেও দার্জিলিং যাওয়া খুব সহজসাধ্য ছিলনা।
কলকাতা থেকে সাহেবগঞ্জ অবধি ট্রেন। তার পর স্টিমারে কারগোলা ঘাট পেরিয়ে বলদ-টানা গাড়িতে পূর্ণিয়া হয়ে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে কার্সিয়াং। অতঃপর জীবনে প্রথম ঘোড়ার পিঠে চাপলেন তিনি। এবং ঘোড়ায় চেপেই কার্সিয়াং থেকে দার্জিলিং পৌঁছেছেন ২৫ বছরের শরৎচন্দ্র দাস।
তবে কেন এত কষ্ট করে সেখানে গেলেন তিনি?
১৮৪৯ সালে তাঁর জন্ম। ছাত্র হিসাবে মেধাবী, উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে জ্যোতির্বিদ্যা, হরেক বিষয়েই তাঁর আগ্রহ। গ্রামের পাঠশালায় শরৎচন্দ্রের প্রথম শিক্ষাজীবনের শুরু। এরপর সুচক্রদণ্ডীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি মাধ্যমের চট্টগ্রাম হাইস্কুলে। ১৮৭১ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৭৩ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এফএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে তখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হত।
বাদ সাধল পিলেজ্বর। ম্যালেরিয়াকে তখন বাঙালি ওই নামেই ডাকত। ১৮৭৪ সালে ফাইনাল পরীক্ষার সময় অসুস্থ হলেন শরৎচন্দ্র, সারা ক্ষণই ঠকঠকে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। বাঁচিয়ে দিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক সি বি ক্লার্ক। দার্জিলিঙের ডেপুটি কমিশনার স্যর জন এডগার তত দিনে সেখানকার শিশুদের লেখাপড়ার জন্য ভুটিয়া বোর্ডিং স্কুল তৈরি করেছেন। ক্লার্ক সেখানকার প্রধান শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দিলেন ছাত্রকে। শরৎচন্দ্র প্রথমে দোনোমোনো করছিলেন। তার পর ভেবেচিন্তে, পাহাড়ি জলহাওয়ায় স্বাস্থ্য উদ্ধার হবে ভেবে সায় দিলেন।
~দার্জিলিং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
১৮৭৪ সালে যখন তিনি ভুটিয়া বোর্ডিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন (পরে ১৮৯২ সালে দার্জিলিং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়)।
তিনি ছিলেন দার্জিলিং এর প্রথম স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক।
কলম্বাস, ম্যাগেলান, ক্যাপ্টেন কুক কিংবা ডেভিড লিভিংস্টোনের মতোই আবিষ্কারের নেশায় ছুটেছিলেন শরৎচন্দ্র। চট্টগ্রামের পটিয়ার আলমপুরের এই সন্তান এখনো বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কৌতূহলের বিষয়। সিনেমার চরিত্রের মতোই তাঁর জীবন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ও সাময়িকীগুলোতে তাঁকে নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। নিয়মিতই ছাপা হচ্ছে প্রবন্ধ-নিবন্ধ। তবে বেশির ভাগ জায়গায় তাঁকে চিত্রিত করা হয়েছে ভারতীয় গুপ্তচর হিসেবে। আনন্দবাজার পত্রিকায় পর্জন্য সেনের লেখার শিরোনাম ছিল ‘পণ্ডিত গুপ্তচর’। নিউইয়র্ক টাইমস-এ সোমনাথ সুব্রামানিয়ানের লেখার শিরোনাম, ‘দা ইন্ডিয়ান স্পাই হু ফেল ফর টিবেট’।
লাসা ভিলা
দার্জিলিং শহর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে, NH 55 তেনজিং নোরগে রোডের ঠিক নীচে লাসা ভিলা নামে একটি মোটামুটি বড় গ্রাম। 'ভিলা' শব্দটি আপনাকে অবাক করে দিতে পারে যতক্ষণ না আপনি বুঝতে পারেন যে গ্রামটি আসলে একটি বাড়ির নাম গ্রহণ করেছে যা তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছেলেদের একজনকে আতিথেয়তা করেছিল। লাসা ভিলা ছিল সেই কুটিরের নাম যেখানে শরৎ চন্দ্র দাস-অন্বেষণকারী এবং বিশিষ্ট পণ্ডিত ছিলেন যিনি একসময় দার্জিলিং-এর সমার্থক ছিলেন।
~ দার্জিলিং-এর এক সময়ের গর্ব। বর্তমানের হতমান লাসা ভিলা।
লাসা ভ্রমণের এ রকমই সব বিবরণ লিখে গিয়েছেন এই পণ্ডিত গুপ্তচর। সে যাত্রা লাসা থেকে ফেরার পর আর তিব্বতে ঢোকার অনুমতি তিনি পাননি। কিন্তু হিমালয়ের গহনে সেই দুর্গম দেশটিকে কোনও দিনই ভুলতে পারেননি তিনি। বাড়ি করলেন দার্জিলিঙে, নাম রাখলেন ‘লাসা ভিলা।’ সেখানেই থাকত তিব্বতি পুঁথিপত্র ও মূর্তিসম্ভার। মাঝে মাঝে কলকাতায় মানিকতলার বাড়িতে স্ত্রী, পুত্রদের কাছে আসতেন। জাপান থেকে ফেরার পর ১৯১৭ সালে এই দার্জিলিঙের বাড়িতেই মারা যান শরৎচন্দ্র।
মানিকতলার সেই বাড়ি আর নেই। দার্জিলিঙে স্টেশনের কাছে ‘লাসা ভিলা’ বাড়িটি টিকে আছে হতমান অবস্থায়। শরৎচন্দ্রের উত্তরসূরিরা বাড়িটি বেঁচে দিয়েছেন। তার পিছনে বেখাপ্পা সব ইমারত। ভিলার বর্তমান মালিক সুদীপ তামাং পণ্ডিত গুপ্তচরের কাহিনি জানেন, তিনিই কোনও মতে ঐতিহাসিক বাড়িটিকে প্রোমোটারের আগ্রাসন থেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
ভোলেননি স্থানীয় তিব্বতিরাও। বছর দুয়েক আগে নোরবু নামে তিব্বতি বংশোদ্ভূত স্থানীয় এক ভারতীয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দার্জিলিঙে তৈরি হয়েছে ‘হিমালয়ান টিবেট মিউজিয়াম।’ সেখানে আধুনিক তিব্বতচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ হিসাবে শরৎচন্দ্র সসম্মানে উল্লিখিত।
মৃত্যুশতবর্ষেও বাঙ্গালীদের কাছে বিস্মৃত ছিলেন তিনি। বাঙ্গালীদের বরাবরের ঐতিহ্য অনুসারে।
ভগ্নপ্রায় লাসা ভিলা এখনো অনেক পর্যটকেরই চোখ টানে কিন্তু ওই পর্যন্তই। ওই বাড়ি যে ইতিহাসের মস্ত এক দলিল, সে খবর আমরা রেখে উঠতে পারিনি। বাড়িটি তৈরি করেছিলেন শরৎচন্দ্র দাস। এই শরৎচন্দ্র দাস বাঙালির ইতিহাসে খুব চর্চিত নাম নন, যদিও তাঁর কৃতিত্ব যথেষ্ট চর্চার দাবি রাখে।
শরৎচন্দ্র ছিলেন একজন অন্বেষণকারী, ভাষাবিদ, অভিধানবিদ, নৃতাত্ত্বিক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিব্বতবিদ।
***
অতীশ দীপঙ্করের পর তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি হিমালয়ের তুষারাচ্ছাদিত শৃঙ্গ পাড়ি দিয়ে তখনকার নিষিদ্ধ ও বিচ্ছিন্ন জনপদ তিব্বত গিয়েছিলেন। মোট দুবার তিনি তিব্বত ভ্রমণ করেছিলেন। পাশ্চাত্য দুনিয়ার কাছে তিনিই প্রথম তুলে ধরেছিলেন তিব্বতের সমাজ, সংস্কৃতি ও বৌদ্ধ দর্শনের নানা ইতিবৃত্ত। এ ছাড়া লিখেছিলেন ভ্রমণকাহিনি, তিব্বতি ভাষার অভিধান ও সেদেশের সংস্কৃতি নিয়ে একাধিক বই। কেবল অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান অর্জন নয়, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভূরাজনৈতিক দিক থেকে বিবেচনা করলে শরৎচন্দ্রের দুই দফা তিব্বত অভিযান বিশেষ গুরুত্ববাহী।
***
ব্রিটিশ সরকার শরৎচন্দ্রকে ‘রায়বাহাদুর’ খেতাব, ‘অর্ডার অব ইন্ডিয়ান এম্পায়ার’-এ ভূষিত করেছে তাঁর নিরলস কাজের জন্য। এই দুটো না হয় বোঝা গেল বৃটিশোদের তাবেদারি করার জন্য এমন সন্মানে ভূষিত হয়েছিলেন কিন্তু তাঁকে বিশেষভেবে সম্মানিত করেছে লন্ডনের রয়্যাল জিয়োগ্রাফিক সোসাইটি। কেন?
কেন আবার হিমালয়ের খুঁটিনাটি অজানা ভৌগোলিক তথ্য আবিষ্কারের জন্য।(১৮৮৭ সালে ভৌগলিক গবেষণার জন্য রয়্যাল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি তাকে ব্যাক প্রিমিয়াম প্রদান করে।)
১৮৮৬ সালে তিনি ডাফরিনের মার্গুয়েস এবং আভা সিলভার মেডেল জিতেছিলেন।
***
প্রথম পর্ব শেষ
বাঙ্গালীর কৃর্তীগাঁথা নিয়ে বাকি পর্বগুলো;
*BOSE দের তিন পুরুষ
*দুই বিমলের কীর্তি!!!
*একজন মজুমদার ও তার দ্যা গেরিলা
*মাস্টারদা’র শিষ্য সুরেশ দে ও তার ‘শ্রীলেদার্স’
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬