নিয়ন্ত্রিত চেইন বিক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি পাওয়া সম্ভব...! আর অনিয়ন্ত্রিত হলে ঘটে ভয়াবহ ডিজাস্টার!
কথা বলছি জেনারেশন জেড নিয়ে। একজন লেখক, অনুবাদক হিসেবে এদের খুব কাছ থেকে দেখেছি বইয়ের জগতে, এদেরকে সাথে নিয়েই বা এদের মোকাবেলা করেই কাজ করতে হয়েছে, হচ্ছে বইয়ের জগতে। এছাড়া, এই জেনারেশনের ভিতর আমার প্রচুর বন্ধু-বান্ধবী আছে, যা আমার মতো ওদের থেকে এত সিনিয়ারদের সাধারণত থাকে না। তাই এই জেনারেশনকে খুব কাছে থেকেই দেখেছি। এদের শক্তি ও সাহস আছে। এরা চিন্তা করে কম, অ্যাকশনে যায় বেশি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এরা নিয়ন্ত্রণহারা ও উগ্র হয়ে ওঠে। জেন জেডের সবাই এরকম না, তবে অনেকেই এমন। ওদের এই বৈশিষ্ট্য দানবীয় হাসিনা সরকারের পতনে খুবই কাজে লেগেছে। এদের শক্তি ও সাহসকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেই অনুযায়ী যদি এরা এগিয়ে যায়, তবে সেটা দেশের জন্যই শুভ ফলাফল বয়ে আনবে। এদের কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব।
কিন্তু সেটা করতে না পারলে সামনেও অনেক জায়গায় মব জাস্টিস এবং বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছৃংখলা ও উন্মত্ততা সৃষ্টিসহ নানান সমস্যা দেখা দেবে; প্রাণহানির ঘটনা ও নৈরাজ্য বাড়বে। অলরেডি অনেক জায়গাতেই এমন দেখা যাচ্ছে। আর হ্যাঁ, দেশে মৌলবাদের উলম্ফন যাতে ২৪-এর বিপ্লবের সুফল না কেড়ে নেয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখতে হবে অন্তর্বতী সরকারকে।
আর হ্যাঁ, সাহস, শক্তি ও জোশ দিয়ে সবকিছু হয় না। ফ্যাসিস্ট শাসনের পতন ঘটানো জেন জেডের প্রতিটি কাজকর্ম হতে হবে সুচিন্তাপ্রসূত। তবেই এই জেনারেশন সত্যিকার অর্থে সম্পদ হয়ে উঠবে দেশের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬