আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে ড: তাহের সরকারকে হুমকি দিয়েছেন যে তার ফোর্স রেডি আছে, নাশকতা ঘটানোর জন্য তারা প্রস্তুত। এই ব্যপারে আমি আপাতত কিছু বলব না। বরং তার ব্যাপারে কিছু অজানা তথ্য দেব।
এই খবরটি ১৫.১০.১৯৯৮ তারিখের দৈনিক ইত্তেফাক, ইনকিলাব, জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ, আজকের কাগজ, দিনকাল, মানবজমিন, বাংলার বাণী সহ সকল জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছিল।
আমি যে লেখাটি দিচ্ছি তা মুক্তকণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছি। সেখান থেকে কিছু অংশ হুবহু তুলে দিচ্ছি।
জামায়াত নেতা ডা: তাহেরের পদত্যাগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সমকামিতা এবং বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত রির্পোট জমা দেবার দু'দিন আগেই জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারীর জেনারেল ডাক্তার সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আবু তাহের তড়িঘড়ি করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর হাইকমান্ডে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই গুরুতর অপরাধ তদন্ত কমিটি প্রধান ও মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর জসিম উদ্দিন সরকারের রির্পোট জমা দেবার পরপরই বিদেশে যাওয়ায় আবু তাহেরের পদত্যাগ নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তাকে বহিস্কার করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সাবেক ছাত্র শিবির নেতা এবং বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বুলবুল আহমেদ ও ডাক্তার মোসাদ্দেক আলী মাস কয়েক আগে দলের হাইকমান্ডের কাছে অভিযোগে করেন। অভিযোগে তারা আবু তাহের কর্তৃক বলাৎকারের অতীত ঘটনা উল্লেখ করেন। অভিযোগে বলা হয় যে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করার সময় ওই শাখার তৎকালীন সভাপতি আবু তাহের কর্তৃক বলাৎকারের শিকার হন। এর ফলে মোসাদ্দেক আলী
দীর্ঘদিন ধরে অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন। এ ছাড়া আবু তাহেরের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। .......................................................................
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই উঠেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে জামায়াতের হাইকমান্ড এ নিয়ে তেমন একটা উচ্চবাচ্য করেনি। ..........................................
............................................ তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান চালিয়ে গত সপ্তাহের প্রথম দিকে রির্পোট জমা দেয়। কিন্তু এর দুদিন আগেই অভিযুক্ত আবু তাহের আকস্মিকভাবে পদত্যাগপত্র জামা দেন। .........................
................................
এই ছিল খবরের সারাংশ। কিন্তু আপনাদের হয়ত প্রশ্ন জাগছে তাহের এখনও জামায়াতে আছে কি করে। সে পদত্যাগ পত্র দেয়ার পর তখন জামায়াত রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তাকে আবার দলে নেয়। কারণ সে পদত্যাগ করলে খবরটি আরো বিস্তৃত হয়ে যেত। এরপর সে দলে ছিল কিন্তু তাকে কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়নি। সে তখন ইন্টারন্যাশল ইসলামী ফেডারেশন অফ মুসলিম অর্গানাইজেশনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেরও প্রধান ছিলে। তখন সে সব পদ হারায়। শুধুমাত্র সাধারণ সদস্য হিসেবে দলে ছিল। পরে ধীরে ধীরে সে কিছু পদ ফিরে পায়।
এই হলো ডঃ তাহেরের আরেকটি পরিচয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৬