অন্তরবর্তী নামক সরকার যার কোন অস্তিত্ব বাংলাদেশের সংবিধান বা আইন কোথাও নাই l আজকে সেই সরকারের ৯০ দিন কিন্তু এখনও এই সরকার নিজেদের অস্তিত্ব আইনগত বৈধতা দিতে পারেনি l চেষ্টা চলছে হয়ত লেজে গোবরে একটা কিছু করবে l যেমন অন্তরবর্তী সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে আইন করছে- অন্তরবর্তী সরকারের কর্মকান্ড জবাবদিহিতা বিহীন এবং মামলা করা যাবে না l যেখানে অন্তরবর্তী সরকারেরই বৈধতা নাই সেখানে তাদের দেয়া অধ্যাদেশ কিভাবে বৈধ হবে তা আমার মগজে ঢুকে না l যাই হোক আজকের বিষয় ফাঁসির দড়ি তাই নিয়ে বলছি l
এই নব্বই দিনে এই প্রথম ফাঁসির দড়ি শব্দটি সামনে এলো একজন সমন্বয়ক আজ তার ফেবুতে ফাঁসির দড়ি নিয়ে কথা বলেছে l তাদের ধারণা রাজনীতিবিদরা মিলে গেলে বা একত্রে কাজ করলে তাদের ফাঁসিতে ঝুলতে হবে l এই কথার অর্থও ঠিক বুঝলাম না!! সে কি বলতে চাইলো? কি বোঝাতে চাইলো? অবশ্য এদের কাজ কোনোটাই আমার ঠিক বুঝে আসে নাই এরা কি করে কেন করে লক্ষ্য কি কার জন্য কাজ করে সবই রহস্যময়!! তাহলে কি রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব জিয়ে রাখাই তাদের লক্ষ্য?? রাজনীতিবিদরা একত্রে মিলে দেশের জন্য কাজ করবে এটাই সকলের প্রত্যাশা কিন্তু তাদের মুখে দ্বন্দ্বের কথা কেন? এই দ্বন্দ্ব থেকে তারা কি অর্জন করতে চায়? তারা কি চায় জাতিতে দ্বন্দ্ব থাকুক? একজন আরেকজনকে মারবে কাটবে দেশ ধ্বংস হবে এটা কাদের লক্ষ্য কারা চায়??
তাহলে কি তোমাদের কর্মকান্ড বৈধ না? এত ভয় কেন? বিপ্লব হলে তা তো দেশের জন্য মানুষের জন্য সেখানে ফাঁসির ভয় কেন থাকবে?? মুক্তিযোদ্ধাদের কি ফাঁসি দেয়া হয়েছিল? তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে জাতির বীর সন্তান l বিপ্লবের নামে জনতাকে ধোঁকা দিলে ফাঁসি তো হবেই নিজেদের কর্মকান্ড নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কিত না হলে ফাঁসির ভয় থাকার কথা না l অর্থাৎ যা চলছে তা নিয়ে নানা সমস্যা এবং জটিলতা আছে l
নিজেদের মি বাংলাদেশ যারা মনে করো তারা কি একবার নিজেদের পায়ের নিচে দেখো? মাটি কি আছে? কিসের উপর দাঁড়িয়ে আছো? কাদের উপর ভর করে? তোমাদের ভীত কি?? বড় বড় কথা সব জয় করে ফেলেছি ভাব!! রাজনৈতিক বাস্তবতা কত কঠিন কত নির্মম হতে পারে সময় তা বলে দিবে l
আমেরিকাকে বিশ্বাস করার পরিণাম কি তা জাতি খুব দ্রুতই দেখবে l আমেরিকা যাদের ব্যবহার করে আজ ফায়দা নিলো কাল তাদেরকেই আমেরিকা বিক্রি করে দিবে l
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১