দেশ পরিচয় যদিও আমরা বাংলাদেশী সবাই মুসলিম বলে আমাদের কোন সীমানা তো বাধা নাই............হে দুনিয়ার অন্যতম মুসলমানের দেশের সরকার খুলে দাও তোমার সীমানা আমার মজলুম ভাইয়ের জন্য
১২ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ঘটনা টা আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের। ওপার বাংলার সীমান্তের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন হাবিবুর রহমান সাহেব তাঁর স্ত্রী ও ৫ বছরের ছোট্ট শিশু। তারা দেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন পাঞ্জাবীদের ভয়ে । প্রতিদিন সকালে রেডক্রস সহ নানা সংস্থা হাজির হয় রিলিফ নিয়ে। হাবিবুর রহমান ও সেখানে লাইনে দাঁড়ান রিলিফের জন্য। গতকাল থেকে ছেলেটার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। কিন্তু তিনি খাবার স্যলাইন যোগার করতে পারছেন না। রোদে দাঁড়িয়ে মানুষের ধাক্কা খেয়ে তিনি প্রায় নাকাল অবস্থা। তবুও তার কিছুই করার নেই। অনেকগুলো টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন ঠিকই কিন্তু হাবিবুর রহমান সাহেবের সে টাকার ব্যগ হারিয়ে তিনি রীতিমত অসহায়। নোয়াখালী অঞ্চলের খ্যাতিমান পাট ব্যবসায়ী মাওলানা হাবিবুর রহমান যার উপাধী ছিলো ফখরে বাংলা তিনি আজ লাইনে দাঁড়িয়েছেন স্যালাইনের জন্য।


হাবিবুর রহমান সাহেবের মুখে যখন এ কথা শুনছিলাম তিনি কাঁদছেন আর তার সেই ছোট্ট শিশুর সন্তান (লেখক নিজে) হু হু করে কাঁদছিলাম। আজকে লেখছি আবার কান্না পাচ্ছে। এত কষ্ট এত দুঃখ। দাদির মুখে শুনেছি বাবার অবস্থা যখন মরনপ্রায় দাদি এমন জোরে আত্মচিৎকার দিয়ে কাঁদছিলেন যে আশে পাশে শত শত লোকের ভীড় জমে গিয়েছিলো। কার যেন সামান্য দয়া হলো তিনি সাহায্য করায় বাবা বেঁচে যান।
৪০ বছর পর আজকে আবার প্রকৃ্তি সেই কাহিনী আমার সামনে হাজির করেছে। সম্পূর্ন নতুন মোড়কে।


ঐ যে নৌকাটা দেখা যাচ্ছে আমি দেখতে পাচ্ছি আমার আরেক মা আরেক ভাই আরেক বাবা আরেক দাদু এ আমার ঘরে আশ্রয় নিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি তাকে দুরদুর করে তাড়িয়ে দিচ্ছি। এ অপরাধ বোধ আমার কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, আমি ঘুমাতে পারিনা। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে জলন্ত শিশুর লাশ। আমার মায়ের আত্মচিৎকারে পৃথিবীর আকাশ বাতাস সব ভারী হয়ে আসছে। আমি জানি আমার ঘর ভাংগা, সংসারে লোক বেশি কিন্তু তাই বলে এই বিপদের কয়েকটা দিন কি আমি আমার ভাইকে আগুনের মুখে ফেলে রাখবো?? আমি কি ভুলে গেছি আমাকেও একসময় কেউ না কেউ আশ্রয় দিয়েছিলো। জানিনা রাজনীতি,সমাজ,আইন কি বলে?? কিন্তু সব কিছুর উদ্ধে তো তারা মানুষ। আজকে দুনিয়ার ২য় বড় মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলছি। বার্মার মুসলমানদের এই দূর্দিনে আপনি হাত বাড়িয়ে দিন। দয়া করুন ওদের প্রতি। দরকার হলে তাদের আইসোলেট করে রাখুন একটি জায়গায়। তবু আসতে দিন। প্লিজ আসতে দিন। কষ্ট হবে হয়তো কয়েকটা দিন। কিন্তু আজকে এই চরম বিপদের দিনে যদি আমরা তাদের কাজে না আসি তাহলে বার্মার প্রতিটি শিশুর লাশের জন্য আপনাদের কে আল্লাহর কাছে সর্বপোরী বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। কান্না আসছে লেখতে গিয়ে চোখের পানিতে সব কিছু ঘোলা হয়ে আসছে। আবারো বলছি একটু দয়া করুন ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
অধীতি, ০১ লা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
হাসনাত, সার্জিসদের নতুন রাজনীতি করনের বয়ান মাটি চাপা পড়ে গেছে তাদের শুভাকাঙ্খীদের দানের গাড়ি আর উপহার সামগ্রীর ব্যবহারে। ফলে, তারা তাদের নৈতিক দিকটি হারিয়ে ফেলেছে। বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ছড়িয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

"প্রতিটি গল্প একটি প্রশ্ন নিয়ে জন্ম নেয়।
এই গল্পের প্রশ্ন ছিল— ভালোবাসা কি নিয়ন্ত্রণ চায়?
না কি নিয়ন্ত্রণ চাইলেই তা আর ভালোবাসা থাকে না?" 'ঈশ্বরের ভুল ছায়া' সিরিজের...
...বাকিটুকু পড়ুনকেউ শুনতে চায়না, সবাই শোনাতে চায়....
আত্মকেন্দ্রীক দুনিয়ায় এখন আনন্দ বা দুঃখ হলে ভাগ করে নেবার মানুষের খুব অভাব। ধরুন আপনি একটি আনন্দ সংবাদ ভাগ করে নিতে চান। যাকে বলছেন সে... ...বাকিটুকু পড়ুন


সারাদেশ যখন ভারত পাকিস্তানের ফেকু যুদ্ধ নিয়ে প্রেডিকশন করছে তখন কতিপয় লোক ব্যস্ত সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীকে বিতর্কিত প্রশ্ন করতে, কেউ ব্যস্ত অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান কে গণধোলাই দিতে...
...বাকিটুকু পড়ুনআমি যত দূর জেনেছি, ৭০-এর দশকে আওয়ামী লীগের সাথে জাসদের তুমুল মতানৈক্য হয়। পরবর্তীতে, ক্ষমতা হাতে পেয়েই, আওয়ামী লীগ জাসদ নির্মুলে লেগে যায়। কয়েক হাজার জাসদ সদস্যকে হত্যা করে। জাসদের... ...বাকিটুকু পড়ুন