

হাবিবুর রহমান সাহেবের মুখে যখন এ কথা শুনছিলাম তিনি কাঁদছেন আর তার সেই ছোট্ট শিশুর সন্তান (লেখক নিজে) হু হু করে কাঁদছিলাম। আজকে লেখছি আবার কান্না পাচ্ছে। এত কষ্ট এত দুঃখ। দাদির মুখে শুনেছি বাবার অবস্থা যখন মরনপ্রায় দাদি এমন জোরে আত্মচিৎকার দিয়ে কাঁদছিলেন যে আশে পাশে শত শত লোকের ভীড় জমে গিয়েছিলো। কার যেন সামান্য দয়া হলো তিনি সাহায্য করায় বাবা বেঁচে যান।
৪০ বছর পর আজকে আবার প্রকৃ্তি সেই কাহিনী আমার সামনে হাজির করেছে। সম্পূর্ন নতুন মোড়কে।


ঐ যে নৌকাটা দেখা যাচ্ছে আমি দেখতে পাচ্ছি আমার আরেক মা আরেক ভাই আরেক বাবা আরেক দাদু এ আমার ঘরে আশ্রয় নিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমি তাকে দুরদুর করে তাড়িয়ে দিচ্ছি। এ অপরাধ বোধ আমার কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, আমি ঘুমাতে পারিনা। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে জলন্ত শিশুর লাশ। আমার মায়ের আত্মচিৎকারে পৃথিবীর আকাশ বাতাস সব ভারী হয়ে আসছে। আমি জানি আমার ঘর ভাংগা, সংসারে লোক বেশি কিন্তু তাই বলে এই বিপদের কয়েকটা দিন কি আমি আমার ভাইকে আগুনের মুখে ফেলে রাখবো?? আমি কি ভুলে গেছি আমাকেও একসময় কেউ না কেউ আশ্রয় দিয়েছিলো। জানিনা রাজনীতি,সমাজ,আইন কি বলে?? কিন্তু সব কিছুর উদ্ধে তো তারা মানুষ। আজকে দুনিয়ার ২য় বড় মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলছি। বার্মার মুসলমানদের এই দূর্দিনে আপনি হাত বাড়িয়ে দিন। দয়া করুন ওদের প্রতি। দরকার হলে তাদের আইসোলেট করে রাখুন একটি জায়গায়। তবু আসতে দিন। প্লিজ আসতে দিন। কষ্ট হবে হয়তো কয়েকটা দিন। কিন্তু আজকে এই চরম বিপদের দিনে যদি আমরা তাদের কাজে না আসি তাহলে বার্মার প্রতিটি শিশুর লাশের জন্য আপনাদের কে আল্লাহর কাছে সর্বপোরী বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। কান্না আসছে লেখতে গিয়ে চোখের পানিতে সব কিছু ঘোলা হয়ে আসছে। আবারো বলছি একটু দয়া করুন ।