দিনমজুর মায়ের স্বপ্ন কৃপেশ ইঞ্জিনিয়ার হবে
‘আমার পড়ালেখার জন্য মা অনেক কষ্ঠ করে চলছেন। প্রখর রোদে রাজমিস্ত্রীদের সঙ্গে জোগালি কাজ ও মাটি কামলার কাজ করেছেন। সংসার ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়মিত দিনমজুরের কাজ করছেন। আমিও আমার টিউশনির ফি ও পড়ালেখার খরচ চালাতে কখনো রিক্সা চালানো, কখনো দিনমজুরি এবং মাঝে মাঝে টিউশনি করেও প্রতিদিন আট ঘন্টা পড়ালেখা করেছি। আমার মায়ের কষ্ট কাজে লেগেছে। আমি মাকে দেওয়া কথা রেখেছি। পরিশ্রমি মায়ের পান্ডুর মুখটা এখন আমার সাফল্যে হাস্যোজ্জ্বল।’ এভাবেই অকপটে বলছিল এবারের এসসসি পরীায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কৃপেশ চন্দ্র দাস। তার দিনমজুর মায়ের স্বপ্ন কৃপেশ ইঞ্জিনিয়ার হবে। তবে শুধু ইংরেজি বিষয়ে এ প্লাস না আসায় গোল্ডেন প্লাস বঞ্চিত কৃপেশ খাতা পূনপরীার আবেদন করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
১২ বছর আগে রোগের কাছে কাবু হয়ে দরিদ্র বাবা বাবা নিপেন্দ্র দাস মারা যান। ৫ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট কৃপেশ। তাদের বাড়ি ধরমপাশা উপজেলার মাসকান্দা গ্রামে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ শহরের বনানীপাড়ায় একটি বস্তি সমেত এলাকায় বসবাস করছে তারা। তার মা ও ভাইয়ের দিন মজুরীতেই চলছে তাদের অভাবের সংসার। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। এক বোন ঘরে সেলাইয়ের কাজ করছে।
নিত্য অভাবের সঙ্গে লড়াই করে বেড়ে ওঠা কৃপেশ চন্দ্র দাস মাঝখানে অনেক দুর্যোগ ও দুর্ভোগে পড়লেও অনেক কষ্ট করে পড়ালেখাটা নিয়মিত চালিয়েছে। মায়ের তাগিদটা ছিল যতই কষ্ট হোক পড়ালেখাটা চালিয়ে যেতে হবে। কৃপেশ মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে তাই নিজেও দিনমজুরি করেছে, চালিয়েছে রিক্সা। তারপরও নিজে প্রতিদিন আট ঘন্টা পড়ালেখা করেই সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এখন ইংরেজি বিষয়ে এ প্লাস না আসায় গোল্ডেন প্লাস বঞ্চিত কৃপেশ খাতা পূনপরীার উদ্যোগ নিবে বলে জানিয়েছে।
কৃপেশ জানায়, অসংকোচ পরিশ্রমই তাকে এই সফলতা এনে দিয়েছে। তবে আগামীদিনেও কী এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব এমন প্রশ্নে তার মায়াবি মুখটা হঠাৎ ফ্যাকাশে হয়ে ওঠে। অভাবের চাবুক তাড়া করা কিশোরের নিষ্পাস অবয়বে চিন্তার ছাপ ষ্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সময়ে সহায়তাকারী স্যারদের কথা মনে করিয়ে বলে ‘আমার প্রিয় স্যাররা আমাকে অভয় দিয়েছেন চিন্তা না করার জন্য। স্যারদের সহযোগিতা ও মায়ের পরিশ্রমেই অবশ্যই আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমি থামবনা। ইঞ্জনিয়ার হয়ে আমি আমার মায়ের স্বপ্নপূরণ করবই। এজন্য আরো কঠোর পরিশ্রম করতেও আমার লজ্জাবোধ নেই।
কৃপেশের দিনমজুর মা জ্যোৎস্না রানী দাস বলেন, কিশোর ছেলেদের অনেক জিনিষের চাহিদা থাকে। কিন্তু আমার অভাববোধ ঝুঝনেঅলা ছেলেটি কোনদিনই আমার কাছে কোন আব্দার করেনি। একটি ভালো জামা ও শখের জিনিষ প্রিয় খোকাকে দিতে না পারায় আমার অনেক কষ্ট ছিল। ভাল খাবারও তাকে কখনো দিতে পারিনি। নিত্য অভাবের মধ্যে থেকেও ছেলে বলেছিল ভালা ফলাফল করবে। আমার লী ছেলে আমার কথা রেখেছে। তবে আগামীতে ছেলেকে এতদূর নিতে পারব কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তাও রয়েছে আমার।
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃপেশের শিক কল্লোল তাুলকদার বলেন, মেধাবী কৃপেশ খুবই পরিশ্রমী । নিত্য অভাবের মাঝেও রিক্সা চালিয়ে দিনমজুরি করে নিয়মিত আট ঘন্টা পড়াশোনা করেছে। তার কঠিন মনোবল ও পরিশ্রমই তাকে এত ভাল রেজাল্ট করতে সাহায্য করেছে। এখন তার গোল্ডেন প্লাস মিস হওয়ায় আমরা তার ইংরেজির খাতা পূণঃপরীার জন্য বোর্ডে আবেদন করব। আশা রাখি মেধাবী এই ছেলেটি গোল্ডেন প্লাস পাবে। অদম্য এই মেধাবী ছেলের পড়ালেখায় বিত্তবানরা সহায়তার হাত এগিয়েইদলে সে একদিন জাতীয় সম্পদে পরিণত হবে।
আমরাও চাই কৃপেশ যেন না থামে। আসুন সবাই এই মেধাবী ছেলের দিকে সাহায্যেও হাত বাড়িয়ে দেই।


অন্ধ ভিখারি এবং রাজার গল্প....
অন্ধ ভিখারি এবং রাজার গল্প....
এক অন্ধ ভিখারি ভিক্ষা করতে করতে একদিন রাজপ্রাসাদে ঢুকে পড়লো। অন্ধ ভিখারিকে দেখে রাজার মনে দয়া হলো। রাজা মন্ত্রী-কে ডেকে বললেন-
"'এই ভিক্ষুক জন্মান্ধ নন, একে চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রক্তজবা ও গোলাপ
ভালোবাসার রূপান্তর
তোমার শহরে তুমি বসে আছো,
রক্তজবা হাতে…
আমার শহরে আমি,
একটি গোলাপের বাগান গড়ি—
লাল রঙে রাঙা, নিঃশব্দে ফুলে ভরে।
তুমি একদিন বলেছিলে,
রক্তজবা মানেই চিরন্তন ভালোবাসা,
তোমার অভিমানে লুকোনো ছিল রাগের আগুন,
তবু তার গভীরে ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আ.লীগের মত বিএনপি কেউ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে
ক্ষমতায় না বসতেই যা শুরু করেছে বিএনপি, মনে হয় না তারা তাদের যোগ্যতা বা উপযোগিতা ধরে রাখতে পারছে। এত এত করাপশন গত আগস্ট থেকে যে, এমন কোন সেক্টর নাই যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইহাকেই বলে আগবাড়িয়ে মাড়া খাওয়া
শিক্ষিত জঙ্গি মোদী ভোটের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই হাসিনার মতো জঙ্গি নাটক সাজায়; দুজনের পার্থক্য হলো হাসিনা নিজদেশের জনগন হত্যা করে নিজদেশের জনগনকেই দোষ দেয় অপর দিকে মোদী নিজদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন
মাসুদ(শাহবাজ ) তোমরা কি আর ভালো হবা না ?
বাংলাদেশপন্থীরা ভারত ও পাকিস্তানপন্থীদের হাউকাউতে অতিষ্ঠ। ভারত ও ভাদা রা মনে করে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়েছিলো। ভারত বাংলাদেশ কে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। গুগলে সার্চ করলেও এমন কিছুর... ...বাকিটুকু পড়ুন