ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান,
ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেপ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সচ্চরিত্র ফুল আমি যত বাগানের মোড়ে লিখতে যাই, দেখি
কলম খুলে পড়ে যায় বিষ পিঁপড়ে, বিষের পুতুল !
------------- এই কবিতা পড়েই আপনাকে বুঝে নিতে হবে কবি আবুল হাসান অতি অবশ্যই চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পড়েন নি । এখানে ফার্স্ট থেকে লাস্ট সবার মাঝেই প্রতিযোগীতা চলে কে লাস্ট বেঞ্চে বসবে তা নিয়ে । ঐ শেষ বেঞ্চগুলোতে যারা বসবে তারাই যে সবার আগে স্কুল পালাতে পারবে !!! কলেজিয়েটস এর গল্প লিখে শেষ করা যাবেনা । সে চেস্টাতে যাওয়ারও কোন মানে নাই । সব কথা ছাপার অক্ষরে তুলে নিয়ে আসা ঠিক হবেনা । কোন গল্প লিখতে গিয়ে কোনটা লিখি , আর কারটা লিখে ফেলি, শেষে সে যদি ক্ষেপে গিয়ে তূলকালাম শুরু করে, সে রিস্ক নেয়া ঠিক হবেনা ।
২০১৭ সালে এসএসসি পাশের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা আয়োজন করেছিলাম মিলন মেলার , এতই জম্পেশ ছিল সে প্রোগ্রাম যে কারনে সে দিনই ঠিক করে ফেলা হয়েছিল আমরা আরো জোশ আয়োজনে ২৫ বছর পূর্তি করব ৫ বছর পরে । তার মানে কিন্তু এই নয় যে আমাদের দেখা - আড্ডা বন্ধ ছিল । এর মাঝে করোনার লকডাউন বাদ দিলে বাকি সময়ে হয়ে গেছে আরো অনেকগুলো গেট টুগেদার। স্পেশালি ইফতার পার্টি গুলোতে উপস্হিতির কোন কমতি ছিলনা । এর বাইরে বিদেশি পাখিরা কেউ আসলে তাকে কেন্দ্র করে ছোটখাট আয়োজন তো ছিলই সারাবছর । আর চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের নিয়মিত আড্ডাতো আছেই । যেকেউ চিটাগং নেমে একটু আওয়াজ দিলেই হয়ে যেত সে আয়োজন । স্টেডিয়ামের আড্ডাতেই মোটামুটি তৈরি হত এই আয়োজনের রুপরেখা । কিছু বন্ধুর উদ্যমী চেস্টা, আর বাকিরা যারযার মত করে এগিয়ে আসায় পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে আমাদের এই আয়োজনের । ইনশাআল্লাহ কক্সবাজারের মাউয়ি রিসোর্টে ডিসেম্বরের ২৩-২৪ তারিখে ৩০ বছর ধরে বয়ে চলা এই বন্ধনের জাবর কাটা অনুস্ঠিত হবে । সে পর্যন্ত এখন অপেক্ষা ।
লাল দালানের এই সব বন্ধুদের নিয়ে লিখে আপনি শেষ করতে পারবেননা , এরা কেমন সেটাকে হালকা ভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেস্টা করা যেতে পারে কেবল !
এরা সেইসব দুস্ট ছেলে , যারা আপনি মরে গেলে ৪-৫ জন মিলে কবর জেয়ারত করতে গিয়ে খুব মন খারাপ করবে, তারপর একটু পরেই স্কুল পালাতে গিয়ে ধরা খেয়ে কিংবা কোন ম্যাডামের সাথে দুস্টামি না করেও আপনি অকারনে যে হুদা মাইরটা খেলেন সেটা নিয়ে আলাপ করে হেসে গড়াগড়ি খাবে, তার একটু পরে কবরস্হানের পাশেই টং দোকানে ২ ঘন্টা ধরে আড্ডা দিয়ে কে কবে কি কান্ড করেছিল সে সব দিনে, সে সব জাবর কাটবে । শেষে আরেক কাপ চা খেয়ে আপনার জন্য মন খারাপ করে বাসায় চলে যাবে........
কিংবা এরা সেই সব বন্ধু যারা আপনার কুলখানিতে মেজবানির মাংস টা কেমন হল সেটা নিয়ে অবলীলায় আড্ডা জমিয়ে তুলবে মন খারাপ থাকা অবস্হাতেই !!!
কিন্তু এক কথায় যদি এদেরকে নিয়ে বলতে বলা হয় তবে সেটা হবে - যে কোন অবস্হায় এরা এক হলে আপনার জীবন রঙ্গীন হয়ে যাবে.....
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪২