
পাহাড়পুর(Click This Link) থাকব না ফিরে যাব- এই নিয়ে সবাই দ্বিধান্বিত। থাকলে কোথায়- নওগাঁ , জয়পুরহাট নাকি বগুড়ায়। বগুড়ায় জয়ী হল। যাবার সময় যে পথ আড়াই ঘন্টা লাগল তা এবার পাড়ি দিলাম এক ঘন্টায় জয়পুরহাট জেলা সদর হয়ে ফিরতি পাথে।
আজ আমার মন ভাল নেই-মন বসছেনা কোন কাজেতেই" এই পন করে সূর্য মামা আর দেখাই দিলনা। বিলাস ভুল রাত্রি যাপন শেষে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আমাদের গন্তব্য বেহুলার বাসর ঘর।
পদ্মা দেবীর অভিশাপে চাঁদ সওদাগরের ছয় পুত্রের (যাদের স্ত্রীরাও পরষ্পর বোন ছিল ) মৃত্যু হলে বহু দেনদরবারের পর ঐ বোনদেরই সর্বশেষ বোন বেহুলার সাথে সওদাগরের শেষ পুত্র লক্ষিন্দরের সাথে বিবাহ ঠিক হল। তারা আবার প্রমিক-প্রমিকাও ছিল। পদ্মা দেবীর আদেশে মা মনষা সাপ কালানাগকে পাঠাল লক্ষিন্দরকে মারার জন্য। পূজা না করায় অভিশপ্ত সওদাগর পুত্রকে বাঁচানোর জন্য তাই লোহার বাসর ঘর তৈরী করল ।
দেবীর আদেশে কর্মকার একটি ছিদ্র রেখে দিল কালনাগের প্রবেশের জন্য । সর্পদংশন এবং অতঃপর স্বামীকে নিয়ে বেহুলার ভেলায় করে নিরুদ্দেশ যাত্রা । পদ্মাদেবীর দর্শন, ক্ষমা লাভ , অতঃপর স্বামী শ ভাসুরদের নিয়ে গৃহে প্রত্যাবর্তন । সওদাগরের সন্দেহে বেহুলার সতীত্ব পরীক্ষায় জয়ী হয়ে স্বামীর সম্মুখে গমনের পর " সেই সবকিছু পাইলাম কিন্তু আমাদের মিলন মর্ত্যের বাসর ঘরে হইবেনা- হইবে স্বর্গে" বলিয়া শূণ্যে মিলিয়া গেল ।
এই লোক কথা লাহিড়ীপাড়ার কবি জীবন মিত্রের "ভাসানযাত্রা " কাব্যের একটি কাহিনী - এটাই আমার কাছে মনপুতঃ ব্যাখ্যা বলে মনে হল। ময়মনসিংহ গীতিকায় বাসরঘর নিয়ে এমন আরও কাহিনীর বর্ণনা পাওয়া যায়।
অতঃপর মহাস্হানগড় দর্শন শেষে বগুড়ার বিখ্যাত আকবরীয়া হোটেলে কাচ্চী ভোজ। ডেজার্ট এর জন্য এশিয়া সুইটস এ গমন। দই কেনার প্রতিযোগীতা আর নানা রকমের মিষ্টির মিষ্টতা পরীক্ষা শেষে ঢাকার পথে যাত্রা।
পথে পড়া সিরাজগঞ্জ (Click This Link)দেখার ইচ্ছাটা দমন করা গেলনা । যমুনার হার্ড পয়েন্ট ঘুরে অবশেষে আবারও প্রিয় ঢাকাতে।

নওগাঁয় কি দেখতে গেছি এই নিয়ে আক্ষেপ করা ড্রাইভার সিরাজ ভাই নামার আগে বলল -আপনারা এর পর থেকে কোথাও গেলে আমারে খবর দিয়েন

পথে হল দেখা :

