একটি বিশেষ ঘোষনাঃ "বর্তমানে সিগারেট এর দাম ওনেক বেরে গেছে। তাই আসুন আমরা সকলে সিগারেট পান করা ছেরে দেই"।
সিগারেট একটি ক্ষতিকারক জিনিস।তারপরও আমরা সিগারেট পান করা থেকে পিছপা হইনা। একজন ডাক্তার তার রোগীকে ধুমপান থেকে বিরত থাকতে বলেও সে নিজে ধুমপান করছে। এর অর্থ হচ্ছে আমরা নিজেরাই জেনে শুনে ধুমপান করছি। আমাদের মরণ আমরাই ডাকছি। তবে মানুষের জন্ম এবং মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে। তবে ধুমপানের মাধ্যমে কারও কোন প্রকার লাভ হচ্ছে কিনা তা আমার জানা নাই।
যারা ধুমপান করেন তাদের অবশ্যই একটি মাসিক বাজেট রাখতে হয়। তার অর্থ হচ্ছে আমরা প্রতি নিয়তই অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বর্তমানে একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের সিগারেট এর মূল্য ৫ টাকা মাত্র। যদি দুস্টামীর ছলেও প্রতিদিন একটি করে সিগারেট পান করি তাহলে মাসে ১৫০ টাকা এবং বছরে ১৮০০ টাকা খরচ করতে হয়। আমাদের মাঝে অনেক ধুমপায়ী আছেন যারা দৈনিক ২০ টিরও অধীক সিগারেট পান করে থাকেন। তাদের বেলায় এই পরিসংখ্যান একটু অন্যরকম কিনা তা আমি জানি না।
তামাক ক্ষাত থেকে বাংলাদেশ সরকার হয়তো কিছুটা লাভবান কারন এর থেকে কিছু রাজস্ব আসে। স্বল্পউন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সিগারেট নিষিদ্ধ করতে পারছে না। আমাদের দেশে সর্ব শ্রেনীর মানুষকেই সিগারেট পান করতে দেখা যায়। তবে এখনতো অপ্রাপ্ত বয়স্কদের আরও বেশী দেখা যায়। তাদের মধ্যে স্কুল এবং কলেজের ছেলেদের দেখা যায়। আমাদের নারী ধুমপায়ীদের সংখ্যাও দিনদিন বেরে চলছে। ধুমপান বিষয়ক একটি আইনও জনমনে কিছুদিন আলোরিত ছিল। কিন্তু আমার জীবনে আমি কোনদিন এই আইনের ব্যবহার দেখিনী।
ধুমপান কারীরা নিজের ইচ্ছায় ধুমপান থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। তারপরও ধুমপান আমরা করে থাকি। কেন করে থাকি তা আসলে আমরা হয়ত নিজেরাও জানি না। ধুমপান থেকে মূক্ত থাকার জন্য, ধুমপান না ছারার কোন বিকল্প নাই।
সিগারেট ছেরে দিব ছেরে দিব বলে, আমরা সিগারেট ছারতে পারি না। আসলে আমরা মাদক কে না বলতে পারি কিন্তু সিগারেটকে..... না। আমাদের দেশে খোলা বাজারে যেভাবে সিগারেট বেচাকেনা হয় উন্নত বিশ্বের কোথাও এরকম আছে বলে আমার মনে হয় না। আর এ জন্যই আমরা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের আটকাতে পারিনা। এটা আমাদেরই একটি গুরূতর অপরাধ।
আসুন আমরা সবাই ধুমপান ছেরে দিতে চেষ্টা করি। আমাদের শারীরিক, মানষিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে বের হবার চেষ্টা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:২৭