কোন ড্রাইভার ড্রাইভার নয় ছোট বেলায় এমন প্রশ্ন করলে বলতাম স্ক্রু ড্রাইভার ড্রাইভার নয়।এখন যুগ পাল্টেছে আর যুগ পাল্টানোর কারণে উওরও পরিবর্তন হয়েছে।সেদিন এক ছোটভাইকে জিগাইলাম কোন ড্রাইভার ড্রাইভার নয়?ছোট ভাইয়ের সহজ উওর ল্যাপটপের ড্রাইভার ড্রাইভার নয়।
বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতে দেশের সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে এই বাংলাদেশ কে রাজাকার আর রাজাকারদের দোসর মুক্ত করবে।
যুদ্ধাপরাধীরে বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে,কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ এবং তথাকথিত ধর্মীয় অনুভূতির মামলা দিয়ে গ্রেফতার ।
এরই মাঝে যে ব্যাপারগুলো আওয়ামী মন্ত্রীদের কল্যানে মিডিয়ায় এসেছে সেগুলোর অন্যতম কিছু পয়েন্ট
১..দেশের সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে জাতিকে বিভক্ত করার মানে হয়না
২কেবল চিহ্নিত যুদ্ধাপরীধের বিচার করা হবে
৩..এ তালিকা আরেকটু বড় হতে পারে
উপরোক্ত ৩টি পয়েন্ট আওয়ামী মন্ত্রীদের বিভিন্ন সময়কার বক্তব্য থেকে।
দেশে মোট যুদ্ধাপরাধীর সংখ্যা কত এই নিয়ে নানামত থাকলেও আওয়ামীলীগের সাম্প্রতিক আচরণে মনে হচ্ছে ট্রাকের গায়ে যেমন সমগ্র বাংলাদেশ ৫টন লেখা থাকে তেমনি সমগ্র বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ইসলামের গ্রেফতার হওয়া ৫জন।
জামায়াতের যে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে ৫জনই কি শুধু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী।আওয়ামী সরকার এবং আওয়ামী মিডিয়া এই ৫জনকে হাইলাইট করছে বেশী এবং এদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমান আছে এমন দাবী করা হলেও আজকে চিহ্নিত ৫ যুদ্ধাপরাধীকে যে আবেদনে গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছে তা হচ্ছে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতা-বিরোধী বিচার কার্যক্রমে যাতে কোনরকম বাধা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য জামায়াতের গ্রেফতারকৃত আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী প্যানেলের প্রধান গোলাম আরিফ টিপ।
যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের এত অভিযোগ তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কোনরকম বাধা সৃষ্টি করতে না পারে এই অভিযোগে নুতুন গ্রেফতার দেখানোর মামলা!!!!
জামায়াত নিয়ে এত নাটক যখন ঘটছে তখন সুন্দর বনে বাঘের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে চলছে মতিবিরোধ।কারণ বাঘের সংখ্যা বাড়ানো হলে অন্য প্রানীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।এমনিতেই অন্য যেসব প্রানী বাঘের শিকার সেগুলোও দিনদিন কমছে।এখন সেগুলো যদি বাড়ানো না হয় তাহলে বাঘের সংখ্যা বাড়ালে কয়েকমাসের অন্যপ্রানী শূন্য হয়ে যাবে সুন্দরবন।
এই নিয়ে এক সাংবাদিক বন্ধুর দাবী হচ্ছে সুন্দর বনে বাঘের সংখ্যা না বাড়িয়ে ছাত্রলীগ নামধারী কুকুরদের সুন্দরবনে ছেড়ে দিলেইতো হয়। বাঘ যে কাজ ১০বছরে করবে ছাত্রলীগ সেকাজ ১মাসেই করে ফেলবে কি দরকার বাঘের সংখ্যা বাড়ানার পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করার।
ব্লগার হিসেবে আমার দাবী ব্লগে ইদানিং বাঘের অভাব নাই এইসব বাঘ সুন্দরবনে সাপ্লাই করে ব্লগকে বাঘ মুক্ত হরা হউক।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ৮:১৬