চাকার নিচে যে অন্ধকার ঘুরে ঘুরে এদিকেই আসে
মানুষ জানে না তারও ছিল কিছু সূর্যের প্রেম, সঘন প্রতীক্ষায়
জেগে থাকত বিবিধ চর
দীর্ঘ মন্থনের পর মানুষেরা ফেলে আসে নদী
দূরচারিতায় জাগায় কত মোহন প্রলাপ
নদী বলতেই যারা ভেবে নেয় জল
তাদের জন্য নৈঃশব্দের পৃষ্ঠা ভরা এইসব পাঠ
রাতের অন্ধকারে যে পরিব্রাজক বন্ধ রাখে ঘড়ি
শহরের উল্টোপিঠে সেকি পেয়েছে সকাল অথবা যে ঘড়িটা
থেমে আছে অপচয়ের ভয়ে তারও কি ছিলো
নিদ্রার মত কিছু অপচয়?
এসব প্রসঙ্গ এলেই মনে হয়, নদী এবং ঘড়ির কাছে
গৃহপোষ্য কবুতর আমাদের জীবন;
অসমাপ্ত কোন রাত্রির সাথে জুয়া খেলে, হেসে
মৃত্যুকেই বাঁচিয়ে রাখি চিরকাল
এই যে পাথর এবং তার ভেতরে গোপন সূর্যের ছায়া
সেও তো কোনদিন ঘুরে ঘুরে চাকাদের সাথে, তারপর
এসেছে পৃথিবীর বিদীর্ণ নিস্তব্ধতায়
তবু আমরা ভালোবাসি কোলাহল, হাসির ঢোলক
বেঁচে থাকা অথবা উড়াল ডানার শব্দে
এভাবেই তো ভেসে যাচ্ছি, বিশুদ্ধ অপচয়ে...
অলংকরণ: শামীম আরেফীন
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪