গত মধ্যরাতে ইজতেমার মাঠে যুদ্ধ লেগেছে, শহীদ হবার আপ্রাণ প্রয়াস।যুদ্ধে ৪ জন নিহত হয়েছে, মিডিয়াও নিহত বলছে ; তবে ইজতেমীরা বলছে শহীদ, আপনি কি বলবেন,এটা আপনার ইচ্ছা?ইজতেমার মাঠে যদি যুদ্ধের পূর্বে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হতো, তাহলে বক্তা বলতো আপনি জান্নাতের বাগানে বসে আছেন। এই জান্নাতের মাঠে কীভাবে জাহান্নামের গন্ধ পাওয়া গেলো? পবিত্র জেরুজালেমের ন্যায় আচরণ শুরু করলো কেন ইজতেমার মাঠ।
আমার পরিচিত বহুমানুষ তাবলীগ প্রেমী ছিলো, আমি তাদের চরিত্রে কোনো পরিবর্তন দেখিনি। পরিবার ফেলে রেখে মাসের পর মাস কাটিয়ে দেয় ; পুত্র সন্তানদের পাঠায় কাজের কাজ কিছু হয় না। নেশা গ্রস্ত ছেলে নেশা ছাড়ে না, নারীদেহ দিয়ে ফ্যান্টাসি বাস্তবতায় রুপ দিতে চায়; বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে দাড়ি বড় হয়েছে, এটুকুই। তাবলীগে গিয়ে একজন রান্না শিখেছে, এটা কাজে লেগেছে; চরিত্র বদলে কোনদিকে গেছে কিনা কেউ বলতে পারবে না।
তাবলীগদেরকে বর্তমান তরুন প্রজন্ম যাদের ইসলামী চেতনায় বেশি দীক্ষিত তাদেরকেও এড়িয়ে যেতে দেখি, কারণ ওরা ইসলাম ইন্টারনেটে এর চেয়ে ভালো শিখে ; ওদের তেমন পছন্দ হয় না। তাবলীগ নিয়ে কিছু না বললেও আখেরী মোনাজাতে হাত তুলে আকাশে না তাকালে বোধ হয় কিছু একটা মিস হয়েই গেলো।তাবলীগের ইন্ডিয়ান ভার্সন ও কাকরাইল ভার্সনই যেখানে মিলছে না ; দুইটা পর্বে লাখ লাখ হাত থেকে সৃষ্টিকর্তা কার হাত যে পছন্দ করবে বলা কঠিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭