somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাদ্য যন্ত্র মরোমত যাদরে পশো

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলমান জীবনে সমস্যা ও সম্ভাবনার কোনো শেষ নেই। সে সব সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবনের নানা জটিলতা আর টানাপড়েন বদলে দিচ্ছে গ্রামীন পটভূমি। শখ ও আহলাদ এখন নির্বাসিত। গ্রাম-গঞ্জে নিয়মিত গানের আসর এখন আর বসে না। টিভি, সিডির জমানায় দুধের স্বাধ ঘোলে মেটাতে হয় বিনোদন পিপাসুদের। এই প্রোপটে বাদ্যযন্ত্র মেরামতকারী ঋষি স¤প্রদায়ের এখন চলছে ভীষণ দুর্দিন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে কোন রকমে। তবুও বংশ পরাস্পরায় এরা বাঁচিয়ে রেখেছে পূর্ব পুরুষের পেশা। জীবন জীবিকার পিচ্ছিল পথে নানা স্থান ঘুরে ঋষি সিবাশ চন্দ্র এখন আস্তানা গেড়েছেন কানিদরপাড় কুমিল্লার রানীর বাজার একটি ঘরে। তিনশ টাকায় ঘরটি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন বাদ্যযন্ত্র মেরামতের কাজ। তবে ব্যবসার টাকা পয়সা নেই তেমন একটা। সিবাশ চন্দ্র মিতালী সুজ এসে জানান দৈনিক ৭০/৮০ টাকার বেশি আয় হয় না, অথচ সংসারে দৈনিক চাল লাগে ২ কেজির বেশি, স্ত্রী ৩ ছেলে মেয়ে সহ ৫ জনের সংসারে তাই অভাবের দৈত্য হানা দেয় প্রতিদিন। অর্ধাহারে নিত্যদিনের সঙ্গী, ভাত, ডাল ছাড়া উন্নত খাবার স্বপ্নের মতই মনে হয়। তিনি আরো জানান অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের চেয়ে ডুগি, তবলা ও খোষ বা ঢোল মেরামতের কাজ বেশি পাওয়া যায়। কোন মাসে ৪/৫টির বেশি কাজ থাকে না। একটি কাঠের ঢোল ১২শ টাকায়, মাটির তৈরি তবলা ৫শ টাকা, ষ্টিলের তবলা ১২শত টাকায়, হারমোনয়িাম আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে। আগের মতো বাদ্যযন্ত্র তেরি বা মেরামতের কাজ নেই। সিবাশ চন্দ্রের ধারণায় মানুষের হাতে টাকা নেই। মনে শান্তি নেই। আখড়াই, সারিন্দা, খমকের মতে অনেক বাদ্যযন্ত্র প্রায় হারিয়ে গেছে গানের দল ও ভেঙ্গে যাচ্ছে বেঁচে থাকার তাগিদে ঋষি স¤প্রদায় অনেকে অন্য পেশা নির্ভর হয়ে পড়েছে। হিন্দুদের কিছু কীর্তন দল এখনো টিকে আছে বলে হয়তো বা বেঁচে আছি। কীর্তন দল এখনো টিকে আছে বলে হয়তো বা বেঁচে আছি কীর্তন দলের সদস্য বিপ্লব জানান ঋঝি স¤প্রদায় না থাকলে হিন্দুদের পূজা পার্বনে অনেক সমস্যা হতো। অথচ কাজ না থাকায় এই পেশায় কর্মরতরা টিকতে পারছে না। তাদের এই দূর্দিনের সরকার আর্থিক সাহায্য করা প্রয়োজন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫



ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ১২ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

চীনের জে-১০ এর পেছনেও রয়েছে সেই ত্যাগ আর সংকল্পের গল্প—
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৬


এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×