চলমান জীবনে সমস্যা ও সম্ভাবনার কোনো শেষ নেই। সে সব সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবনের নানা জটিলতা আর টানাপড়েন বদলে দিচ্ছে গ্রামীন পটভূমি। শখ ও আহলাদ এখন নির্বাসিত। গ্রাম-গঞ্জে নিয়মিত গানের আসর এখন আর বসে না। টিভি, সিডির জমানায় দুধের স্বাধ ঘোলে মেটাতে হয় বিনোদন পিপাসুদের। এই প্রোপটে বাদ্যযন্ত্র মেরামতকারী ঋষি স¤প্রদায়ের এখন চলছে ভীষণ দুর্দিন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে কোন রকমে। তবুও বংশ পরাস্পরায় এরা বাঁচিয়ে রেখেছে পূর্ব পুরুষের পেশা। জীবন জীবিকার পিচ্ছিল পথে নানা স্থান ঘুরে ঋষি সিবাশ চন্দ্র এখন আস্তানা গেড়েছেন কানিদরপাড় কুমিল্লার রানীর বাজার একটি ঘরে। তিনশ টাকায় ঘরটি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন বাদ্যযন্ত্র মেরামতের কাজ। তবে ব্যবসার টাকা পয়সা নেই তেমন একটা। সিবাশ চন্দ্র মিতালী সুজ এসে জানান দৈনিক ৭০/৮০ টাকার বেশি আয় হয় না, অথচ সংসারে দৈনিক চাল লাগে ২ কেজির বেশি, স্ত্রী ৩ ছেলে মেয়ে সহ ৫ জনের সংসারে তাই অভাবের দৈত্য হানা দেয় প্রতিদিন। অর্ধাহারে নিত্যদিনের সঙ্গী, ভাত, ডাল ছাড়া উন্নত খাবার স্বপ্নের মতই মনে হয়। তিনি আরো জানান অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের চেয়ে ডুগি, তবলা ও খোষ বা ঢোল মেরামতের কাজ বেশি পাওয়া যায়। কোন মাসে ৪/৫টির বেশি কাজ থাকে না। একটি কাঠের ঢোল ১২শ টাকায়, মাটির তৈরি তবলা ৫শ টাকা, ষ্টিলের তবলা ১২শত টাকায়, হারমোনয়িাম আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে। আগের মতো বাদ্যযন্ত্র তেরি বা মেরামতের কাজ নেই। সিবাশ চন্দ্রের ধারণায় মানুষের হাতে টাকা নেই। মনে শান্তি নেই। আখড়াই, সারিন্দা, খমকের মতে অনেক বাদ্যযন্ত্র প্রায় হারিয়ে গেছে গানের দল ও ভেঙ্গে যাচ্ছে বেঁচে থাকার তাগিদে ঋষি স¤প্রদায় অনেকে অন্য পেশা নির্ভর হয়ে পড়েছে। হিন্দুদের কিছু কীর্তন দল এখনো টিকে আছে বলে হয়তো বা বেঁচে আছি। কীর্তন দল এখনো টিকে আছে বলে হয়তো বা বেঁচে আছি কীর্তন দলের সদস্য বিপ্লব জানান ঋঝি স¤প্রদায় না থাকলে হিন্দুদের পূজা পার্বনে অনেক সমস্যা হতো। অথচ কাজ না থাকায় এই পেশায় কর্মরতরা টিকতে পারছে না। তাদের এই দূর্দিনের সরকার আর্থিক সাহায্য করা প্রয়োজন।

আলোচিত ব্লগ
যে ভাবে মটরবাইকে স্বস্ত্রীক ট্যুর দেই
আসলে আমি ফ্রিডম পছন্দ করি। আদেশে নয়, অনুরোধে মন গলে আমার। শহুরে হট্টগলের চেয়ে প্রকৃতি ভাল লাগে। দল বেঁধে ট্যুর দেবার চেয়ে একাকি ট্যুর দিতে ভাল লাগে। বনের কুকুররা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের থেকে কতটুকু আলাদা তারা?
তাদের দেখে মনে পড়ে যায় আওয়ামী লীগের চেতনা ব্যবসার কথা
(১)
আওয়ামী লীগ অন্তত সরকারিভাবে হলেও ১৯৭১-সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকায় ছিল। এরপর সেই ভূমিকার কারণে তারা দেখা গেল যে দেশটাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....
"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হতে হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। হতে হবে সকল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এই দর্শনের নিহিত রয়েছে আত্মসামাজিক,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঢাকায় শান্তিতে বসবাসের জায়গাগুলো
ঢাকায় শান্তিতে বসবাস করা যায় যেসব এলাকা: একটি বাস্তবভিত্তিক পর্যালোচনা
ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানী শহর, জনসংখ্যা ও যানজটের দিক থেকে অন্যতম ব্যস্ততম নগরী হলেও এখানকার কিছু কিছু এলাকা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে দলীয় সরকার কখনই জনগণের সরকার হয় না
সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করলেও আওয়ামী লীগ সেটা স্বীকার করলো না। সেজন্য তারা বাকশাল নামে একদলীয় শাসন শুরু করে ছিল। কিন্তু সেনা বিদ্রোহে তাদের বাকশালী শাসনের অবসান ঘটে।... ...বাকিটুকু পড়ুন