কামরাঙ্গীরচরের আশ্রাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। এলাকাবাসী জানায়, বোরকা পরে কোনো ছাত্রী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না এ মর্মে সম্প্রতি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ কারণে বোরকা পরিহিত ছাত্রীদের পক্ষে কামরাঙ্গীরচরের আশ্রাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় পর্যায়ে তুলনামূলকভাবে ভালো হিসেবে পরিচিত এ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ বোরকা পরিহিতা ছাত্রীরা বাধ্য হচ্ছে অন্যত্র ভর্তি হতে। অনুসন্ধানে জানা যায়, চর এলাকার অন্যান্য বিদ্যালয়ের তুলনায় আশ্রাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বেশি ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। তাই আত্মসম্মানবোধ ও সম্ভ্রম রক্ষায় মেয়েরা বোরকা পরে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে।
বড় গ্রামের আবুল কশেমের মেয়ে নাসরিন জানায়, ক’দিন আগে সে আশ্রাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান মাদবর তাকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় ভর্তি করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। সভাপতি সাহেব তাকে বলেন, তার স্কুলে ভর্তি হতে হলে বোরকা পরা যাবে না। তাই সে বাধ্য হয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানান, তাদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে একনায়কতন্ত্র চলছে। এখানে একজনের হুকুম মোতাবেক তাদের চলতে হয়, তার হুকুমের বাইরে কারো একচুল পরিমাণও নড়াচড়া করা সম্ভব নয়। তারা জানান, ওই ব্যক্তির কর্মী-সমর্থকরাই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। কে সেই ব্যক্তি জানতে চাইলে সবাই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কথিত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ’লীগ নেতা হাজী সোলায়মান মাদবরের নাম উল্লেখ করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান মাদবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে বোরকা অচল তাই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।








সূত্র- সাপ্তাহিক এখন সময়
ধিক সোলায়মান মাদবর, তুই তো কুকুরের চেয়েও অধম হয়ে গেছিস। তোদের মত মালোয়ানদের কারণেই সমাজে এত অন্যায়, ব্যভিচার, দুর্নীতি।
মহান আল্লাহ্র কাছে দোয়া করি তিনি যেনো আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৯