মানুষের আগ্রহ নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ভাবছি। এর উৎপত্তি কোথায়? দেহের কোন অংশ থেকে আগ্রহের সৃষ্টি? মস্তিষ্ক? মস্তিষ্কের ইলেকট্রনের কম্পনে কি এই আগ্রহ উৎপন্ন হয়? যদি তা-ই হয়ে থাকে, সেই ইলেকট্রনের কম্পন কিসের ইঙ্গিতে হয়? কিসের ইশারায়? বা, আরও ভালো ভাবে বললে, কার ইশারায়?
আগ্রহ জিনিসটা বড়ই রহস্যময়! স্রষ্টা নিজের প্রতিবিম্ব তৈরী করতে চেয়েছিলেন বলেই মানুষের সৃষ্টি। সেই চাওয়াটা কি তাঁর অশেষ ‘আগ্রহ’ ছিলো না? সেই আগ্রহটা থেকে কি নিজেকে দেখতে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা সৃষ্টি হয় নাই? তাহলে, আগ্রহ থেকে ইচ্ছা’র সৃষ্টি! সৃষ্টির আদি রহস্য হচ্ছে ‘আগ্রহ’। স্রষ্টা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেই সব কিছু হয়েছে। স্রষ্টার আগ্রহ ইচ্ছায় রূপান্তরিত হওয়ায় বলেছিলেন – ‘হও’। এরপরেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়।
‘আগ্রহ – ইচ্ছা – শব্দ – সৃষ্টি’ এই চারের সমারোহে পুরো বিশ্ব বাঁধা। এই বিশ্বে স্রষ্টা আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন তাঁর ‘ইচ্ছা’ দ্বারা।
আচ্ছা, ‘আগ্রহ’ -এর আগে কি কিছু আছে? আছে। সেই জগতটা মানুষের ধরা – ছোঁয়া আর বুঝের বাইরে। সেই জগতটা সব মানুষের জন্যে খুলে দেওয়া হয় নাই। সেই রাজ্য মানুষের বুদ্ধির সীমারেখার বাইরে! সেখানে শুধুই শূন্যের আবাস! সেই রাজ্যের মহারাজা একমাত্র ‘স্রষ্টা’।
‘আগ্রহ’-এর আগের রাজ্যের সাথে যাদের যোগাযোগ রাখতে দেওয়া হয়, তাঁরাই পৃথিবীতে অসম্ভবকে ‘সম্ভব’ করতে পারেন। তাঁরা পৃথিবীর নিয়মের গণ্ডিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে অঙ্গুলি হেলনে চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখিয়েছেন। তাঁদের দেহকে আগুন স্পর্শ করতে পারে নাই। তাঁরা মাটিতে লাঠি নিক্ষেপ করলে তা সাপে পরিণত হয়ে যাদুকরদের সাপকে গিলে খেয়েছে। তাঁদের স্পর্শে কুষ্ঠ রোগী ভালো হয়ে গিয়েছে, অন্ধ চোখে দেখতে পেয়েছে, মৃত জীবের দেহে প্রাণস্পন্দন জেগেছে!
এমন জগতের অংশ কে না হতে চায়!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৬