somewhere in... blog

‘আগ্রহ’ – সৃষ্টির আদি রহস্য

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মানুষের আগ্রহ নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ভাবছি। এর উৎপত্তি কোথায়? দেহের কোন অংশ থেকে আগ্রহের সৃষ্টি? মস্তিষ্ক? মস্তিষ্কের ইলেকট্রনের কম্পনে কি এই আগ্রহ উৎপন্ন হয়? যদি তা-ই হয়ে থাকে, সেই ইলেকট্রনের কম্পন কিসের ইঙ্গিতে হয়? কিসের ইশারায়? বা, আরও ভালো ভাবে বললে, কার ইশারায়?

আগ্রহ জিনিসটা বড়ই রহস্যময়! স্রষ্টা নিজের প্রতিবিম্ব তৈরী করতে চেয়েছিলেন বলেই মানুষের সৃষ্টি। সেই চাওয়াটা কি তাঁর অশেষ ‘আগ্রহ’ ছিলো না? সেই আগ্রহটা থেকে কি নিজেকে দেখতে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা সৃষ্টি হয় নাই? তাহলে, আগ্রহ থেকে ইচ্ছা’র সৃষ্টি! সৃষ্টির আদি রহস্য হচ্ছে ‘আগ্রহ’। স্রষ্টা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেই সব কিছু হয়েছে। স্রষ্টার আগ্রহ ইচ্ছায় রূপান্তরিত হওয়ায় বলেছিলেন – ‘হও’। এরপরেই সব কিছুর সৃষ্টি হয়।

‘আগ্রহ – ইচ্ছা – শব্দ – সৃষ্টি’ এই চারের সমারোহে পুরো বিশ্ব বাঁধা। এই বিশ্বে স্রষ্টা আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন তাঁর ‘ইচ্ছা’ দ্বারা।

আচ্ছা, ‘আগ্রহ’ -এর আগে কি কিছু আছে? আছে। সেই জগতটা মানুষের ধরা – ছোঁয়া আর বুঝের বাইরে। সেই জগতটা সব মানুষের জন্যে খুলে দেওয়া হয় নাই। সেই রাজ্য মানুষের বুদ্ধির সীমারেখার বাইরে! সেখানে শুধুই শূন্যের আবাস! সেই রাজ্যের মহারাজা একমাত্র ‘স্রষ্টা’।

‘আগ্রহ’-এর আগের রাজ্যের সাথে যাদের যোগাযোগ রাখতে দেওয়া হয়, তাঁরাই পৃথিবীতে অসম্ভবকে ‘সম্ভব’ করতে পারেন। তাঁরা পৃথিবীর নিয়মের গণ্ডিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে অঙ্গুলি হেলনে চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখিয়েছেন। তাঁদের দেহকে আগুন স্পর্শ করতে পারে নাই। তাঁরা মাটিতে লাঠি নিক্ষেপ করলে তা সাপে পরিণত হয়ে যাদুকরদের সাপকে গিলে খেয়েছে। তাঁদের স্পর্শে কুষ্ঠ রোগী ভালো হয়ে গিয়েছে, অন্ধ চোখে দেখতে পেয়েছে, মৃত জীবের দেহে প্রাণস্পন্দন জেগেছে!

এমন জগতের অংশ কে না হতে চায়!

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিতর্কিত মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান: কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতির উপর প্রভাব

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪

দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানা ইত্যাদির গুরুত্ব অপরিহার্য। এই প্রতিষ্ঠানগুলো অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের উৎস। এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়বে, যা অর্থনীতির উপর মারাত্মক চাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ফুলকপি পাকোড়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২০



ফুলকপি নিয়ে চারিদিক বেশ হৈচৈ চলছে । ক্রেতা হিসাবে আমাদের কিছুই করার নেই দুঃখ প্রকাশ ছাড়া । তো ফুলকপির পাকোড়া খুব স্বাদের জিনিস । ঝটপট বানিয়ে ফেলুন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাইরে নাইরে না!!!!!!!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২২



বেশ কিছুদিন আগে দ্য সানডে টাইমসে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম। লেখক হিপোক্রেসির ধরন বোঝাতে গিয়ে একটা কৌতুকের অবতারনা করেছিল। কৌতুকটা এমন..........ছয় বছরের ছোট্ট জো তার বাবাকে গিয়ে বললো, ড্যাড, আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঈশ্বর!

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯







নিটশের ঈশ্বর মৃত হয়েছে বহুদিন আগে, জড়াথস্ট্রুবাদের ঈশ্বর বদলে যায়নি, একটাই থেকেছে ; আব্রাহামিক ঈশ্বর অনেক ভাষায় কথা বলা শিখিয়েছে মানুষকে ;বুদ্ধের ঈশ্বর অভিমান করে কথাই বলতে চায়নি ; মিথলজীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানেরা ভাগ্যন্নোয়নের জন্য পশ্চিমে গিয়ে, পশ্চিমের সংস্কৃতিকে হেয় করে ধর্মের নামে।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০



এখন পশ্চিম চাহে যে, মুসলমানেরা যেন "ভাগ্যান্নষন"এর জন্য তাদের দেশে আর না যায়; কারণ, মুসলমানেরা পশ্চিমের সংস্কৃতিকে হেয় করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। একই আব্রাহামিক ধর্মের লোকজন হলেও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×