বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য শস্য ধান। এরপরেই, ২য় স্থানে রয়েছে আলু। বাংলাদেশের ৪.৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। অন্যদিকে, ভারতে হয় ২০.২৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে। পাকিস্তানে হয় প্রায় ৩.৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে।
আমাদের দেশে, লেইট ব্লাইট রোগে ৬০% আলু নষ্ট হয়ে যায়। ভারতে এর পরিমাণ গড়ে ১৫%। অন্য দিকে, পাকিস্তানে লেইট ব্লাইট রোগে ৩০-৭৫% আলু নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে এই অবস্থা থেকে নিস্তার পেতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আলুর এই রোগ কখন হানা দিবে, তখন কি অবস্থা গ্রহণ করতে হবে, তা আলু চাষীদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস বিভাগকে এক্ষেত্রে জিও-পটেটো ডিসিশন সার্ভিস সিস্টেমের মাধ্যমে সাহায্য করছে হল্যান্ডের Wageningen Plant Research।
আকাশে কৃষি স্যাটেলাইট পাঠানো কেন জরুরী?
ড: মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্ব অনুযায়ী, পৃথিবীতে শান্তির পথে বাধা হচ্ছে - দারিদ্র্যতা।
অর্থাৎ, দারিদ্র্যতা = অশান্তি
এখন, দারিদ্র্যতার কারণ যদি অর্থনৈতিক হয়ে থাকে, আর, আলুর লেইট ব্লাইট রোগ আলু চাষীদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথে বাধা, যেহেতু এই রোগে ৬০% আলু নষ্ট হয়ে যায়।
অর্থাৎ,
দারিদ্র্যতা = অশান্তি = লেইট ব্লাইট = আলুর ৬০% ফলন কমে যাওয়া
এখন, আলুর রোগে পোস যাওয়াটা ৫০% কমিয়ে ফেলা গেলে,আলু চাষীদের দারিদ্র্যতাও কি কমিয়ে আনা যাবে না?
আলু চাষীদের দারিদ্র্যতা ৫০% কমে যাওয়া = অশান্তি কমে যাওয়া = লেইট ব্লাইট ৩০% হওয়া = আলুর ফলন ৩০% বেড়ে ৪০% এর জায়গায় ৭০% ফলন হওয়া।
তাহলে, প্রমান করা গেলো যে, দারিদ্রতা দুর করে বিশ্বে শান্তি আনতে আকাশে কৃষির জন্যে স্যাটেলাইট পাঠানো জরুরী।
আরো গবেষণা করে বাণিজ্যিক ভাবে একটি স্যাটেলাইট পাঠানোর ব্যাবস্থা করা উচিৎ যা শুধু কৃষি খাতে ফুড সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করবে। দরকার হলে, সার্ক বা বিমসটেক -এর দেশগুলোর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথ ভাবে ভাবে এই স্যাটেলাইট পাঠাতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৫