দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৯০ হাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে স্নাতক ডিগ্রীধারী বেকারের সংখ্যা ৪ লাখ ৫ হাজার। অন্যদিকে, ২০২১ সালের এক হিসাব অনুযায়ী প্রথম আলোতে প্রকাশ, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে অলস টাকার পরিমাণ ৬০০০ বিলিয়ন টাকা।
এখন, এই ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকারের মাঝে যে ৪ লাখ ৫ হাজার স্নাতক ডিগ্রীধারী বেকার রয়েছেন, তাঁদেরকে যদি ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বানিয়ে বাকি ২১ লক্ষ ৮৫ হাজারকে ডিরেক্টর করলে দেশে ৪ লক্ষ ৫ হাজার নতুন কোম্পানি গঠন হবে।
এখন, এই ৪ লক্ষ ৫ হাজার নতুন কোম্পানির প্রত্যেকটিকে ব্যাংকে পড়ে থাকা সেই অলস ৬০০০ বিলিয়ন টাকা থেকে ১ কোটি করে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হয়, তাহলে কি হবে? দেশে কি ১ বছরের মাঝে বেকার সমস্যা কেটে যাবে না?
প্রশ্ন হচ্ছে, প্রায় ৪ লক্ষ কোম্পানির জন্যে এতো এতো আইডিয়া কোথা থেকে আসবে? কোন কোন সেক্টরে এই প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করবে? আমার মতে, এক্ষেত্রে, নিচের ২৩টি সেক্টরগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে -
১) পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, ২) প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন, ৩) ওয়াটার ও স্যানিটেশন,
৪) শিক্ষা, ৫) ক্ষুদ্রঋণ, ৬) স্বাস্থ্য ও সুস্থতা, ৭) উদ্যোক্তা তৈরী, ৮) খেলাধুলা
৯) ইতিহাস/মিউজিয়াম, ১০) বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা। ১১) শিল্প, সংস্কৃতি এবং সঙ্গীত
১২) প্রতিবন্ধী মানুষ, ১৩) পর্যটন, ১৪) কৃষি, ১৫) বনায়ন, ১৬) খাদ্য ও পুষ্টি
১৭) মা ও শিশু, ১৮) সামাজিক ব্যবসা, ১৯) সাহিত্য, ২০) পরিবহন, ২১) শক্তি
২২) সামাজিক কথাসাহিত্য, ২৩) সাংবাদিকতা
এভাবে ঋণ দিয়ে বেকারদের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে দিলে বাংলাদেশ মাত্র ৩ - ৫ বছরের মাঝে বেকারশূন্য হয়ে উঠবে বলে আমি মনে করি। তবে, ঋণ দেওয়ার আগে প্রত্যেককে ৬ মাস থেকে ১ বছরের ট্রেনিং দিলে ব্যবসা ফলপ্রসূ হবে। আর, প্রত্যেক ব্যবসাকে ১ বছর পর্যন্ত গ্রেইস পিরিয়ড দিতে হবে, যাতে ব্যবসা দাঁড়াতে পারে।
আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭