সকালে ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে খুন হওয়া বুয়েট ছাত্র আবরারকে দাফনের এক দিন পর কুষ্টিয়ায় তার বাড়ির উদ্দেশে যান বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। যদিও আবরারের লাশ বুয়েটে সারাদিন থাকলেও তিনি একবারের জন্য দেখার প্রয়োজন বোধ করেন নাই। অতঃপর আবরারের এলাকায় গিয়ে অভিনয় করতে গেলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পরেন ওই ভিসি। আর ভিসির পক্ষ হয়ে আবরারের ছোট ভাই,আবরারের ফুপাত ভাইয়ের বউ সহ এলাকাবাসীর গায়ে হাত তুলে ডিএসবি'র অ্যাডিশনাল এসপি নেতৃত্বে পেটুয়া পুলিশ বাহিনী।
ফায়াজ বলেন, এখানকার দায়িত্বে থাকা অ্যাডিশনাল এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোস্তাফিজুর রহমান আমার বুকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন এবং কালকেও যখন আমার ভাইয়ের জানাজা হয় তখন তিনি বলেছিলেন দুই মিনিটের মধ্যে জানাজা শেষ করতে হবে। কিভাবে তিনি এটা বলেন? আজ এখানে আমার ভাবি ছিল, তাঁকে বেধড়কভাবে পুলিশ দিয়ে মারা হয়েছে। তার কাপড়-চোপড় টেনে তাঁর শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের কোন ধরনের পুলিশ?
এদিকে আজ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, ফরিদপুর ও চট্টগ্রামে আবরার হত্যার প্রতিবাদে মিছিলে হামলা করেছে পুলিশ। অন্যদিকে নানা তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও আবরার হত্যা মামলায় অমিত সাহাকে আড়াল করবার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা নিয়ে আবরারের বাবা নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন।
এর আগেও দেখা গিয়েছে পুলিশ ছাত্রদের যেকোন ন্যায্য দাবীর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাদের রক্তাক্ত করেছে। পুলিশের একটা ডায়লগ ভাইরাল হয়েছিল "লেখাপড়া পুটকির ভেতরে ভরে দিবো" ফলে শিক্ষার্থীরা পাল্টা শ্লোগান ধরেছিল, "আমার ভাইয়ের রক্ত লাল পুলিশ কোন চ্যাটের বাল"।
যখন আবরারের হত্যা নিয়ে দেশে এত প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আবরারের খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে তখন পুলিশ কি তাদের আশ্বস্ত করবার জন্য এসব করছে? ছাত্রলীগের হাতে দেশের একজন রিকশাওয়ালাও কিন্তু নিরাপদ নয় যা এক রিকশাওয়ালার নিজের মুখ থেকেই না হয় শুনুন-
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩১