দেশব্যাপী যখন ক্যাসিনো ও জুয়ারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে তখন একজন জুয়ারীদের গডফাদারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অভিযোগ করে চাকরী খুইয়েছেন পুলিশ কর্তা।
সম্প্রতি ফেসবুকে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিন অভিযোগ করেন- চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে গত পাঁচ বছরে ক্লাবটির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন। যখন চট্টগ্রামের ক্লাবগুলোতে অভিযান চালানো হয় তখন হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এই অভিযানকে চালেঞ্জ করে মিডিয়ায় বক্তব্য দেয় যা জনসাধারণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রামে অবস্থিত এক ডজন ক্লাবের জুয়া পরিচালনা করা হয় হুইপের মদদে এবং তিনিই চট্টগ্রামের ক্লাবগুলোর এই জুয়া ব্যবসার গডফাদার।
হুইপের বিরুদ্ধে জুয়ার থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয়ের অভিযোগ আনা সেই পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এআইজি (পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট-২) এর পক্ষে এআইজি (পিআইও-১) আনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তার স্ট্যাটাসে নাকি জনসম্মুখে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। অথচ প্রশ্ন হল হুইপের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযোগকারী পুলিশ কর্তাকে বহিষ্কারের ফলে তাদের কি কোন সুনাম অর্জিত হচ্ছে?