রবার্ট ডেভিলা, যিনি ইংল্যান্ডের একটি শহরে বাস করেন। ১০ বছর আগে একটি জেনেটিক সমস্যার কারণে, পা থেকে গলা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে যায়! রবার্ট ডেভিলার পরিবার তার জন্য একটি বিশেষ কম্পিউটারের ব্যবস্থা করেছিল, যা সে মুখের নির্দেশে নিয়ন্ত্রন করতে পারতো। আর এই কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারাবিশ্বের খবর রাখতো!
রবার্ট ডেভিলা গত ১০ বছর থেকে একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সেই নাসিং হোমের অধিকাংশ রোগীরাই ছিল প্যারালাইজড এ আক্রান্ত। ডেভিলার পাশের বেডে তেমনি এক প্যারালাইজড রোগী ছিল। সে ছিল রবার্ট ডেভিলার সবচেয়ে কাছের বন্ধু! তারা সব সময় ধর্মতত্ব এবং সৃষ্টির রহস্য নিয়ে আলোচনা করত।
রবার্ট ডেভিলার সেই বন্ধুটি লিভারের সমস্যায় ভুগতেছিল। লিভারের অপারেশন করাতে গিয়ে রবার্ট ডেভিলার বন্ধুটি মারা যায়! রবার্ট ডেভিলার বন্ধুটি সবসময় গলায় ক্রুশ পরিধান করত। বন্ধুটির বোন সেই ক্রুশটি, রবার্ট ডেভিলাকে প্রিয় বন্ধুর শেষ চিন্হ হিসেবে উপহার দেয়! আর বরার্ট ডেভিলা সেই ক্রুশটি তার বিছানার পাশে ঝুলিয়ে রাখত।
একদিন, রবার্ট ডেভিলা ঘুমের মধ্যে একজন মানুষকে স্বপ্ন দেখল! সেই মানুষটি তাঁর নিজের নাম বলল, আমি মুহাম্মাদ(!) এরপর তিনি বললেন, “আল্লাহপাক নবীদের দুনিয়াতে পাঠান নি, যেন মানুষ তাদের উপাসনা করে। বরঞ্জ আল্লাহপাক নবীদের পাঠিয়েছেন যেন তারা আল্লাহ সুবাহানওতায়ালার উপাসনা করেন। আর ঈসা হচ্ছেন কেবল একজন মানুষ যিনি বাজারও যেতেন এবং খাবারও খেতেন”।
রবার্ট ডেভিলা আগে শুধুমাত্র ঈসা (আঃ) সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু এই স্বপ্ন দেখার পর সে মুহাম্মাদ (সঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্ঠা করল এবং সবশেষে ইসলাম গ্রহণ করল।( আলহামদুলিল্লাহ)
এরপর রবার্ট ডেভিলা সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি শুক্রবারে মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামায পড়বেন। তারপর, তিনি তার স্বয়ংক্রিয় হুইল চেয়ারে করে নিকটবর্তি মসজিদে নামায পড়তে যান। কিন্তু ফেরার সময় তিনি সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হন আর এই কারণে তার শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়! এরপর ডাক্তার তাকে ৬ মাসের সম্পূর্ন বেড রেষ্টে থাকতে বলেছে। এখন তার বেড রেষ্টের ৩ মাস পূর্ন হয়েছে।
রবার্ট ডেভিলা বলেন, ছয় মাস পর সুস্থ হলে আমি আবারও মসজিদে নামায পড়তে যাবো। কারণ মসজিদে গিয়ে আমি যে শান্তি পেয়েছি তা আর কখনও আমি পাই নি।
(সংক্ষিপ্ত! উস্তাদ নোমান আলী খানের লেকচার থেকে সংগৃহিত।)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩