ছবি নেট
জনাব তারেক রহমান ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করবেন তাছাড়া ইতিমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া সংবিধান সংশোধনী নতুন করে আদালতে গড়িয়েছে, যে ভাবে হোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হচ্ছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কে হবেন, কিভাবে নির্বাচিত করলে সংখ্যাগরিষ্ট দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে মনে হয় বিস্তর আলোচনা হবে। ২০০৬ সালে বিচারপতি হাসানকে নিয়ে যে তুলকালাম হয়েছিল তা আবার নতুন করে হোক তা কেউ চাইবে না তাই সবকিছু গুছিয়ে করতে হবে।
আমার অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি প্রস্তাব উঁকি দিয়েছে তা এখানে প্রকাশ করলাম।
এক, ক্ষমতাসীন দল একজনের নাম প্রস্তাব করবে (জোট হলে জোটের পক্ষ থেকে একজন)
দুই. বিরোধীদল একজন (জোট হলে জোটের পক্ষ থেকে একজন)
তিন, তৃতীয় বৃত্ততম দল একজন (সংসদে আসনের ভিত্তিতে)
(জোটভুক্ত কেউ আসনের দিক দিয়ে তৃতীয় বৃত্ততম দল হলেও তা গ্রহণ করা যাবে না, যদি দল না থাকে তবে স্বতন্ত সদস্যরা মিলে একজনের নাম প্রস্তাব করবে)
এবার এদের তিনজন থেকে একজন বেঁচে নিবেন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর সাধারণ সম্পাদকরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। ভোট হবে স্বচ্ছভাবে সেখানে উপস্থিত নিশ্চিত করতে হবে দেশের প্রথম সারির সব গণ্যমাধ্যমকে।
যদি দুইজন সমান ভোট পান তাহলে দুই জনের মধ্যে আবার ভোট হবে। এভাবে নির্বাচিত করলে মনে হয় ক্ষমতাসীন দলের হস্তক্ষেপ করার আর সুযোগ থাকবে না।
চার, বাকি উপদেষ্টা নিয়োগ দিবেন প্রধান উপদেষ্টা, তিনি তার চোখে সমাজের সুশীল ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবিদের সাথে আলোচনা করে ৯০ দিনের জন্য একটি নির্বাচনী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করবেন। এই জন্য তাকে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিতে হবে শপথ নেওয়ার আগে যাতে করে তিনি পর্যাপ্ত সময় পান আলোচনা করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২১