জানি না কতকাল ঘুমিয়ে কেটে গেল !
টেবিলে আলো ফেলে সহসা মিসকল,
অলস কল-ব্যাকে: 'মুরাদপুরে আয় -
ডাচ-বাংলা'র মুখে দাঁড়াবো, আসবি তো?'
স্মৃতিরা জেগে ওঠে, ক্যান্ডি রেস্তঁরা
নিয়নে গম্ভীর জিইসি; তারপর
পাশ কাটিয়ে যায় ক্ষ্যাপাটে রাইডার
আমিও হেঁটে চলি। লক্ষ্য? - বিস্মৃত !
কাজির দেউরীতে সকাল এগারোটা
'বাংলা হোটেলে'র বুকিং দেয়া প্যাড:
জ্যামিং চলবেই - পৃথিবী তুলে দেবো
রক-এন্ড-রোল আর লালচে-নীল আলোতে!
পৃথিবী ছুটে চলে পুরানো গতিবেগে
আমরা আটকা পড়ি - অযথা ভার্টিগো;
দুপুরে বাটালি'র শতায়ু অঙ্গণ-এ
গীটারে তার ছেঁড়ে, হয়তো মগজেরও!
অতঃপর কতোয়ালী, 'রিকশা পাস না বুঝি?
জলিলগন্জ তো - হেঁটেই আগাবো চল'
'একটু দাঁড়াবি কি? সাধু'র দোকানের
মিস্টি কিনে নেব - ছোটদি বলছিল...'
স্মৃতিরা ঘুমিয়ে জাগে রসের গোল্লায়
মগজে ধূসরতা, ধুলো'র আস্তরে
সেন্ট-প্লাসিডস ফেলে মেঘেরা হাই তোলে
পাথরঘাটা থেকে আকাশটা কতদূর?
দেয়ালে বেড়ে চলে অসহ কানকথা
বাতাসে কেঁপে ওঠা শিশিরও বিহ্বল:
'ভাইয়া, চলে যাবি?'...'যাবো তো, যেতে হয়
এ বুড়ো পৃথিবীটা আজও অপ্রস্তুত !'
সন্ধ্যা নেমে আসে সাইলো কলোনিতে
সাগরে শোর ওঠে ছাপিয়ে বেড়িবাঁধ
আমাকে চিনলো না উপসাগরের জল
তোদেরও চিনতো কি? হয়তো। হয়তো না।
হঠাৎই কোত্থেকে আর্তচিৎকারে
সহসা ঘুম ভাঙে - দুচোখ কচলাই;
ভালুকা-জার্মানি-সিলেট-সুইডেন
অচেনা পথে এখন চেনা সকল মুখ !
এই কি ঘুম ভাঙা? এই বুঝি বাস্তব?
চিরকাল চেরাগী'র হালকা লিকার-চায়ে
'সেপিয়া মোডের' মত অবাক দৃশ্যগুলো
যা কিছু দেখেছিলাম - স্বপ্ন ছিল তা সব?
উৎসর্গ: ২০০৫ থেকে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ'কে।
আর এছাড়াও: শূন্য চেয়ার, শূন্য চায়ের কাপ...