ঝুল-বারান্দা - মাটির টবে তিনটা কচি ফুলের চারা
আর বাতাসে অন্ধ-আবেগ তীব্রতর রং মেশালো
মেঘগুলো তাই ইতস্তত, ফুল দিল খুব ভুল ইশারা
একটা অবাক গল্প শুনে যেদিন তোমার মৃত্যু হল
এক পলকের স্বপ্ন দেখা, আর বারোমাস গেরস্থালি
পথের ওপর ঘর-সংসার; তারপরও কী উন্মাদনা -
ঘুম জাগলেই হাতছানি দেয় পবিত্র সেই স্বপ্নগুলি
অন্য সকল লোকের মতন 'অর্থকরী স্বপ্ন' তো না !
মানুষগুলো স্বপ্ন দেখে ধরার জন্য পাগলাটে হয়,
ছুটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে হারায় প্রবল স্রোতের টানে,
আর যারা খুব অন্যরকম - এই পৃথিবীর সুযোগ্য নয়
তোমার মত কেউবা শুধুই তাদের ভালোবাসতে জানে।
ঝুল-বারান্দা - টবের জলে একটা আকাশ প্রায় বারোমাস
খুব সকরুণ বিম্ব ফেলে তোমার দিকেই তাকিয়ে থাকে;
কাঁচপোকাদের রাজধানীতে চোখের জলে যার বসবাস
তাদের গল্প রোজই হারায় গল্পকারের কল্পনাকে।
গল্প তুমি পড়তে না খুব - নিজেই তুমি গল্প ছিলে
তারপরও কোন খেয়াল-বশে একলা সেদিন বিকেলবেলায়
গল্পকারের রাফখাতা'টা হঠাৎ যখন টেনেই নিলে
এক পৃথিবীর প্রশ্নবোধক দুমড়ে গেল অবহেলায়...
কিছু হিসেব থাকেই এমন - মিলবে না আর তা ঐকিকে
গল্পকারের কল্পনা'রা অল্প তবে উচ্চতর -
খাতায় লেখা 'একটামাত্র লাইন' - তাকিয়ে তোমার দিকে:
'প্রেমা, তুমি সুযোগ বুঝে এবার আমায় হত্যা করো !'
ঝুল-বারান্দা - বারান্দাতে আজ অগণন তারা'র মেলা
তাকিয়ে আছে তোমার দিকে - অপেক্ষা আর প্রার্থনাতে...