পানির উপরে চাষবাস নিয়ে অনেকদিন ভাবছি লিখব । যে কোন ভাবেই হোক উদ্যোগগুলো ভেস্তে যায় বারবার । আজ চায়না ডেইলি এই ছবিগুলো ছাপিয়েছে । চায়নাতে অনেক আগে থেকে ভাসমান চাষবাস শুরু হয়েছে । আমাদের দক্ষিণের কিছু অংশে এই চাষবাস চলছে হয়ত কিন্তু তা জানা মুশকিল মিডিয়ার কৃপণতায় । আমি পুকুরপাড়ে যে লাউ গাছ লাগায় তা পুকুরের ওপর নির্ভরশীল তা দেখেছি । জায়গার অভাবে লাউএর ডগা পুকুরের পানিতে নারকেল পাতার ওপর দিয়ে বেয়ে যাচ্ছে । আমাদের পানি সম্পদ মানে পরিস্কার পানির কথা বলছি তা অঢেল । সিলেট , সুনামগঞ্জ , কিশোরগঞ্জ , নেত্রকোনা , জামালপুর , যমুনার পাড় দিয়ে যত গুলি গ্রাম আছে তার সবটায় ভাসমান চাষ করা যায় ।কুষ্টিয়া, কুমিল্লা , পার্বত্য চট্টগ্রাম খুবই উপযুক্ত এলাকা । সবচে বড় উপকার সারবিহিন সব্জি উৎপাদনে একটা বিপ্লব এসে যাবে । ভারত থেকে ধেয়ে আসা মিষ্টি পানি এতই মিনারেল সমৃদ্ধ যা মানুষকে বিশুদ্ধ সব্জি খাবার সুযোগ করে দেবে । এতে আমাদের দেশজ সব্জি যা ল্যাবে তৈরি নয় তা পাবে সবাই । বাংলাদেশে মধ্যস্বত্বজীবীদের জয়জয়কার । গোটা বাজার ব্যাবস্থা এদের দখলে । কাজেই চাষিরা কষ্ট করে খামার গড়ে তুলল দু বছর পরেই এলাকার এম পি বা নেতারা আদেশ করল সব সব্জি তাদের নিয়ন্ত্রনে বিক্রি করতে হবে । ইলিশ , কোরবানির গরু সব ওদের দখলে এখন । এই অবস্থা নিরসনে কৃষি বিপ্লব প্রয়োজন । একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন কিনা যে গরু এখন দেশেই পেলে পুষে বড় করছে খামারিরা । শুধু হরমোন ইঞ্জেকশন বাতিল করলে কিছু সুফল পাওয়া যাবে । আমরা আশার কথা লিখি কিন্তু কতটা কাজে দেবে তা এটা ভাবিনা । দশজন চাষি যাদের জমি জমা নেই তাদের এই সুযোগ দেওয়া যেতে পারে তাকেই আমি সৌভাগ্য বলব । কোথাও এই ভাসমান চাষাবাদ হলে তা ব্লগাররা লিখবেন । শাক সব্জি ছাড়া ধানের চারা বা পাতো এবং ধান যাতে সার লাগবে না হোক শুরুর পন্য । ডালপালা গ্রামে পাওয়াই যায় না রান্নাবান্নার কাজে ব্যাবহারের কারনে । এটার বেইজে হোল পলি বা মোটা প্লাস্টিকের নেট ব্যাবহার করতে হবে । ওজন বেড়ে যাবে তাই পলি দিয়ে তৈরি বালিশ চারদিকে ভাসিয়ে রাখবে । খুব ছোট আইডিয়া কিন্তু পানির জন্য কৃষককে হাহাকার করতে হবে না । বন্যায় এটি ভাসবে , ভোগাবে না ।
ছবিঃচায়না ডেইলি