ইমরান খান ও জেমিমা খানের বিবাহ বিচ্ছেদের সময় কোর্টের বিচারক ঘোষণা করলেন, জেমিমার সম্পত্তির অর্ধেক ১২ হাজার কোটি পাউন্ড অর্থাৎ সাড়ে তের লাখ কোটি টাকা ইমরান খান পাবেন।
ইমরান খান উত্তর দিলেন, আমার তার মোটেও দরকার নেই।
বিচারক আশ্চর্য হয়ে গেলেন, জেমিমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি কেন এরকম নির্লোভ এবং মহান একজন স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ চাচ্ছেন?
জেমিমার উত্তর ছিল, ইমরান খান যদি লন্ডনে তার সাথে বসবাস করেন তাহলে তিনি এই বিচ্ছেদ চাইবেন না।
বিচারক জিজ্ঞেস করলেন জেমিমা আপনি কেন পাকিস্থানে থাকতে চান না?
জেমিমার উত্তর ছিল, পাকিস্তানের কলুষিত রাজনৈতিক নোংরা শিকারে পরিণত হচ্ছেন তিনি। নওয়াজ শরিফ সরকার তাকে স্মাগলিং মামলায় ফাঁসিয়েছে।
বিচারক ইমরান খানকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি কেন লন্ডনে থাকতে চাচ্ছেন না? ইমরান খানের উত্তর ছিল পাকিস্তান অনেক গরিব দেশ এই দেশে অশিক্ষা দারিদ্র্য অবিচারে ভরপুর তিনি কিছু একটা করতে চান দেশের জন্য। তাই লন্ডনে থাকে তার জন্য সম্ভব নয়।
বিচারক বলেন সে ক্ষেত্রে বাচ্চা দুজন তাদের মায়ের সাথে থাকবে। ইমরান সানন্দে রাজি হলেন এবং বললেন জেমিমা অত্যন্ত চমৎকার একজন স্ত্রী এবং তার চেয়েও চমৎকার একজন মা সুতরাং বাচ্চাদের তার কাছেই থাকা উচিত।
বিচারক আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইলেন ইমরান খানের দিকে। ইমরান খানের সাথে হাত মেলালেন এবং তার পরপরই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করলেন। জেমিমা ও ইমরান খান পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকলেন।
লোভী ও চক্রান্তকারী পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ, সেনাবাহিনী, বিদেশী শক্তির অর্থায়নে নির্লোভ দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হটানোর পর হয়ত বানোয়াট মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখাবে এবং পাতানো বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্হা করবে! সৎ, নির্লোভ, দেশপ্রেমিকদের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার কলুষিত নোংরা রাজনীতির কারনে দিনে দিনে সংকুচিত হচ্ছে জনগনের পক্ষে কাজ করার সুযোগ। ইমরান খানের পরিনতির পরে তা আরো বেশি সংকুচিত হবে বলে মনে করি।
সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬