পরীক্ষার সময় কত কিছু করার কথা মনে আসে। আর পরীক্ষা শেষে সব ভুলে যাই। এবার ফাস্ট ইয়ার অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়ে তিন বান্ধবী বসলাম কি করা যায়, কি করা যায়? কিন্তু কিছুই আর মনে পড়ে না। হঠাৎ আমার মনে পড়ল, হলে একবার রান্না করে খাব বলেছিলাম। ওরা দুজন, মানে সুমি আর রত্না মিলে ঠিক করলো বাজেট আর খাবারের মেনু।
ঠিক করেছিলাম, আমি আর সুমি ৭টার বাসে হলে যাব। পরের দিন ঘুম ভাংল সাড়ে ৬টায়। বুঝতে পারছিলাম না, তারাহুরা করে তৈরি হবো না পরের বাসে মানে ৮টার বাসে যাব। ভেবে দেখলাম, এটা এমন কোন গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার না যে আমাকে তারাহুরা করে ছুটতে হবে। সুতরাং পরের বাসেই যাব। এরপর নাস্তার টেবিলে বড়পা বলল, একটা বাস নষ্ট তাই ৭টায় বাস চলবে না, ৮টায় চলবে। শুনে খুশি হলাম, ওদেরকে দেরী হবার কারন হিসাবে বাস নষ্ট এটা বলা যাবে।
৮টায় বাসা থেকে বাস স্টপেজে রওনা দিলাম। যথাসময়ে বাস এলো। এরপর গান শুনতে শুনতে ভার্সিটিতে এসে পৌছলাম। বাস থেকে মসজিদ গেটে নেমে হেটে হেটে শামসুন্নাহার হলে গেলাম। মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাচ্ছিলাম, বাসে এতক্ষন যা শুনেছি সেগুলোই। প্রায় দৌড়ে দৌড়ে হলে পৌছলাম। রত্নার রুমে ঢুকে দেখি সুমি বসে আছে। আমাকে দেখেই সুমি বির বির করে বলল, থাপ্পর দিব। আমি শুনতে পাইনি। কিন্তু ওর ঠোট নাড়ানো আর হাতের মুদ্রা দেখে আন্দাজ করলাম। রত্না অবশ্য হাসছিল।
সুমি বলল, ও দেরি করে এসে ভাবছিল, আমি বকাবকি করবো। এখন দেখে আমিই দেরিতে এসেছি।
(চলবে)পরীক্ষার সময় কত কিছু করার কথা মনে আসে। আর পরীক্ষা শেষে সব ভুলে যাই। এবার ফাস্ট ইয়ার অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়ে তিন বান্ধবী বসলাম কি করা যায়, কি করা যায়? কিন্তু কিছুই আর মনে পড়ে না। হঠাৎ আমার মনে পড়ল, হলে একবার রান্না করে খাব বলেছিলাম। ওরা দুজন, মানে সুমি আর রত্না মিলে ঠিক করলো বাজেট আর খাবারের মেনু।
ঠিক করেছিলাম, আমি আর সুমি ৭টার বাসে হলে যাব। পরের দিন ঘুম ভাংল সাড়ে ৬টায়। বুঝতে পারছিলাম না, তারাহুরা করে তৈরি হবো না পরের বাসে মানে ৮টার বাসে যাব। ভেবে দেখলাম, এটা এমন কোন গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার না যে আমাকে তারাহুরা করে ছুটতে হবে। সুতরাং পরের বাসেই যাব। এরপর নাস্তার টেবিলে বড়পা বলল, একটা বাস নষ্ট তাই ৭টায় বাস চলবে না, ৮টায় চলবে। শুনে খুশি হলাম, ওদেরকে দেরী হবার কারন হিসাবে বাস নষ্ট এটা বলা যাবে।
৮টায় বাসা থেকে বাস স্টপেজে রওনা দিলাম। যথাসময়ে বাস এলো। এরপর গান শুনতে শুনতে ভার্সিটিতে এসে পৌছলাম। বাস থেকে মসজিদ গেটে নেমে হেটে হেটে শামসুন্নাহার হলে গেলাম। মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাচ্ছিলাম, বাসে এতক্ষন যা শুনেছি সেগুলোই। প্রায় দৌড়ে দৌড়ে হলে পৌছলাম। রত্নার রুমে ঢুকে দেখি সুমি বসে আছে। আমাকে দেখেই সুমি বির বির করে বলল, থাপ্পর দিব। আমি শুনতে পাইনি। কিন্তু ওর ঠোট নাড়ানো আর হাতের মুদ্রা দেখে আন্দাজ করলাম। রত্না অবশ্য হাসছিল।
সুমি বলল, ও দেরি করে এসে ভাবছিল, আমি বকাবকি করবো। এখন দেখে আমিই দেরিতে এসেছি।
(চলবে)