BMET (Bureau of Manpower, Employment and Training) বা সরকারী জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর নির্ধারিত ওয়ানওয়ে (শুধু আউটগোয়িং) মোবাইল নম্বর-০১৫৩৫৭২৫০৩০ থেকে লটারীর দ্বারা নির্বাচিত রংপুর বিভাগের মালয়েশিয়াগামীদের নিকট থেকে ভূয়া মেসেজের মাধ্যমে রংপুর মেডিকেলে স্বাস্থ্যপরীক্ষার নামে লাখলাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে, যা বিশ্বাস করতেও বিশ্বাস হবার কথা নয়!! কিন্তু সংশ্লিষ্ট শাখার সহকারী পরিচালক রেজওয়ানুল হক (০১৭১৬৪১৫৩১৯) এবং এমএসও শফিক (০১৭১৬৩৭২৪১৭) টেলিটক নম্বরটি ওয়ানওয়ে মেসেজিং এ ব্যবহৃত তাদের জেনুইন নম্বর বলে স্বীকার করলেও মেসেজটি প্রতারণামূলক ও ভূয়া বলে দাবী করেছেন।
বাংলিশে লেখা মেসেজটি হুবহু নিম্নরূপ-Malaysia Sara Woake prodeshe jete agrohi gon agami 10/01/2015 tarikhe sokal 9 tay Rangpur medical college uposthit hoye medical korar jonno bola holo. somoymoto uposthit hoye medical na korle apni Malaysia jete agrohi non bole apnake batil bole gonno Kora hobe.medical er por shudhu obibason bay 28.500 taka lagbe r kono taka lagbe na. proyojonio kagoj passport, registration card r ager report lagbe. medical bay 8,500 taka lagbe ekhanei jabotio bay DG,BMET(Cont: 028300204, 01716372417)645MD L10
এর আগে ২০১৪ সালেও আমার ভাগ্নেসহ এ বিভাগের ৩০০ জনের কাছ থেকে প্রেরক বা সেণ্ডার হিসেবে BMET এর নামে প্রেরীত বিভিন্ন মেসেজের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় জনপ্রতি কম-বেশি ২লাখ করে ৬কোটি টাকার ওপর। আমার ভাগ্নেসহ ৩০০জন লোক গত এক/দেড় বছরে ফিঙ্গার প্রিন্ট, স্বাস্থ্যপরীক্ষা, রংপুর-বগুড়াসহ নানা জায়গায় ট্রেনিং, পাসপোর্ট জমাদান, ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদির নামে মেসেজ পেয়ে আসছে এবং বহুদফায় একেকজনে দুই/আড়াইলাখ করে টাকাও জমা দিয়ে দেওলিয়া হয়েছে।
কিন্তু গত ২০/১২/২০১৪ তারিখে প্রেরক হিসেবে BMET এর বদলে ০১৫৫৩৫৭২৫০৩০ নম্বর থেকে সরাসরি ঢাকায় এসে যথাক্রমে ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বরে তাদের পাসপোর্ট জমাদানের মেসেজ এলে তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কারণ তারা অনেক আগেই তাদের পাসপোর্ট রংপুরে জমা দিয়েছে। সেই মেসেজে এই প্রথমবার BMET এর ডিজির টিএণ্ডটি নম্বরসহ কয়েকজনের মোবাইল নম্বরও দেয়া হয়।
আমাকে বিষয়টির সত্যতাযাচাইয়ের জন্য ভাগ্নে জানালে আমি BMET এর সংশ্লিষ্ট সহকারী পরিচালক রেজওয়ানুল সাহেবের কাছে ফোন করে জানতে পারি যে, ফ্রিংগার প্রিন্টকরণের মেসেজের পর এটাই তাদের দ্বিতীয় মেসেজ এবং এর আগে তারা আর কোনো মেসেজ দিয়ে টাকা-পয়সা বা পাসপোর্ট জমা নেয়নি কোথাও। কাজেই তারা প্রতারিত হয়েছে BMET নাম ব্যবহারকারী চক্রের কাছে। তিনি প্রতারিতদের পাসপোর্ট ছাড়াই ঢাকায় এসে তাকে ঘটনা বলার জন্যও আমাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু ঢাকায় আসার আগেই প্রতারিতরা প্রতারকদের একজনকে রংপুরে আটক করে টাকার বিনিময়ে তাদের বিক্রিত পাসপোর্টগুলো আবার ফেরত নিয়ে ঢাকায় গিয়ে জমা দিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, লটারীতে নির্বাচিতদের কাছে প্রথম থেকেই প্রেরক হিসেবে BMET নামেই মেসেজ যেতো। একথা সংশ্লিষ্টরা স্বীকারও করেছেন যে, BMET সার্ভার সমস্যার কারণে তারা এখন টেলিটকের উক্ত নম্বরের মাধ্যমেই মালয়েশিয়াগামীদের নিকট মোবাইল মেসেজ পাঠাচ্ছেন। উক্ত কর্মকর্তারা ০৬/০১/২০১৫ তারিখে সকাল ১০টার পর ওই মোবাইল নম্বর থেকে ভিসাপ্রাপ্ত কিছু আবেদনকারীর নিকট প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা চেয়ে মেসেজ দিলেও রংপুর মেডিকেলে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কোনো মেসেজ দেননি বা টেলিটক কর্তৃপক্ষকেও মেসেজ দিতে নির্দেশ দেননি। অথচ মেসেজটি আমার ভাগ্নের কাছে ওই একই নম্বর থেকে আসে একই তারিখ সকাল ৯:১৭ মিনিটে এবং ৮,৫০০/=টাকার বিনিময়ে ১০/০১/২০১৫ তারিখে রংপুর মেডিকেলে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য বলা হয়। অন্যদেরও বিভিন্ন তারিখে স্বাস্থ্যপরীক্ষার একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে আলাদা মেসেজে এবং তারা তা সম্পন্নও করে প্রতারিত হয়েছে।
কিন্তু একই তারিখে বা ০৬/০১/২০১৫ তারিখে তাদের নির্ধারিত একই নম্বর থেকে কিভাবে ভূয়া মেসেজ গেলো তার সদুত্তর তারা দিতে পারেননি। এমনকি রেজওয়ান নামক উক্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, মেসেজিংসঙ্ক্রান্ত পাসওয়ার্ড বা পিন নম্বরসহ নির্বাচিতদের গোপন তথ্য বা ফোন নম্বর একমাত্র তার কাছেই থাকে আর তা কারো জানার কথা নয়। তার কথামতো ভূয়া মেসেজে দেয়া এমএসও শফিক এর মোবাইল নম্বরেও (০১৭১৬৩৭২৪১৭) আমি কথা বলি—তিনিও সদুত্তর দিতে পারেননি। মোবাইলে রেকর্ডিং শুনুন--
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩