কথাটা বলতেই লোকটি হকচকিয়ে আমার দিকে তাকালেন। কপালটা কুঁচকে ফেললেন। জানতে চাইলেন যে বড় কোন সমস্যা আছে কি না।
মৃদু হেসে বললাম, না, কোন সমস্যা নাই।
এবার যা জানতে চাইলেন তার অর্থ করলে দাঁড়ায় আত্মহত্যার ইচ্ছা জেগেছে কি না।
হেসে উড়িয়ে দিলাম। বললাম, নাহ, এত বড় গুনাহের কাজের কোন ইচ্ছাই নাই।
- তাহলে যে বললেন মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
- মরতেতো হবেই, তাই না?
- ওহ আমি ভেবেছিলাম অন্য কিছু! তা কি প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
- অনেক কিছুই করছি, তবে গুরুত্বপূর্ণ দুইটা জিনিষ এক সাথে করছি।
- কি?
- যেহেতু আল্লাহে বিশ্বাস করি, তাই তার প্রিয় হবার চেষ্টা করছি। আর মৃত্যুর পরে যাতে আমাকে নিয়ে হুদা কামে টানাটানি না পড়ে তার জন্য কিছু কথা লিখে রেখে যাচ্ছি। কে কত কি পাবে, কার কাছে কত কি পাবো, সন্তানদের উদ্দ্যেশে কিছু কথা, স্ত্রীর উদ্দেশ্যে কিছু কথা। বাবা-মা (মা শব্দটা উচ্চারণ করে কিছুটা থামলাম), ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন.... সবার জন্য কিছু না কিছু।
- মারাই তো যাবেন; তো এত কিছুর কি দরকার?
- সকলকে ভালোবাসি; তাই কাউকে বিপদে ফেলতে চাই না।
- আমি ভাই এত কিছুর মধ্যে নাই। খাচ্ছি-দাচ্ছি, ঘুরছি ফিরছি..... পরে কি হবে সেটার হিসাব পরে হবে।
- যার যেটা বুঝ....
মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছি। দেখেছি লাশ নিয়ে ছুটে চলা ট্রাকে লাশের পাশে বসে মানুষকে হাসতে। লাশর জন্য চলা গাড়ির দুর্ঘটনায় আরও মানুষকে লাশ হতে হয়েছে শুনেছি।
জীবনের অর্থ এক একজনের কাছে এক এক রকম। কেউ ধার্মিক হতে চায়, কেউ চায় না; কেউ চায় কিন্তু পদক্ষেপ নেয় না।
জীবনের উদ্দেশ্যে কি?
"আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।" - আয-যারিয়াত | আয়াত ৫৬
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৬