ভারতের পর পৃথিবীতে একটি ই মাত্র হিন্দু রাষ্ট্র আছে নেপাল যেটি আবার ভারতীয়দের তীব্র ঘৃণা করে, কিন্তু কেন?
আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। (প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি ‘ নামের কোন সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমনাত্নক প্রচারনায় মেতে উঠতো ভারত?)
১/ ভারত বাংলাদেশে ২০০০+ খুন করে পালিয়ে চাওয়া একজন খুনে হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে যেখানে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ তাকে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। এই ঘটনা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।
২/ ভারতের ইতিহাসে প্রথম ভারতে থাকা ভিনদেশী দূতাবাসে হামলা করা হলো। পাক-ভারত যুদ্ধ চলার সময়ও আমার জানামতে পাকিস্তান এম্বাসিতে হামলা করা হয়নি।
৩/ গেরুয়া পতাকা নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে চাওয়া খুব খারাপ লক্ষণ। এটা ১৯৪৮ সালে হায়দ্রাবাদে হয়েছিল।
৪/ কেউ যদি মনে করে সাধারণ জনতা উত্তেজিত তা নয়, বাংলার প্রতি দুর্বল মমতা ব্যানার্জি পর্যন্ত সুর তুলেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েনের।
৫/ সারা বিশ্বের সোশাল মিডিয়াতে এবং বিদেশী সরকারের কাছে নির্লজ্জ ডাহা মিথ্যাচার করে চলছে ভারতীয়রা। এই দেশে নাকি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে শেষ করে দেয়া হচ্ছে।
এমন প্রোপাগাণ্ডা যুদ্ধের ইশারা দেয় - অ্যামেরিকা ইরাক আক্রমণের আগেও এই কাজগুলো করেছে।
স্বাধীন হায়দ্রাবাদ ১৯৪৮ সালে দখল করেছে ভারত। এই যুগে এমন কিছু সম্ভব না - এই ধোঁকায় আছি আমরা অনেকেই।
মিথ্যা মামলায় মাওলানা কলিম সিদ্দিকীকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়ে বন্দী করে রেখেছে ভারত সরকার।
ভারত থেকে ডক্টর জাকির নায়েক পালিয়ে বেঁচেছেন।
আমরা, বাংলাদেশি মুসলিমরা বড় হুমকিতে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না - কিন্তু কেউ যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে কচুকাটা হতে চাই না।
আমাদের ইমিডিয়েটলি এক হতে হবে - আপনার পলিটিকাল দর্শন যাই হোক না কেন।
আপনি পৃথিবীর যে দেশেই থাকেন না কেন - বাংলাদেশের বিপদে আপনাকে এগিয়ে আসতে হবে।