ভালই কাটতেসিল কিন্তু স্বপ্ন অন্য। বড় ফটোগ্রাফার হবে, দেশে-বিদেশে যাবে। ভাল আর ভাল থাকে নাই ঘটে গেসে জীবনের সবচেয়ে করুণ ট্রাজেডী'র ঘটনাটা। হঠাৎ করেই বেড়ে গেসে বয়স।
সময়টা পচাত্তর সালের শেষের দিকে। রথীর বাবা যখন অনেকদিনের পরও ঢাকা থেকে ফিরলেন না তখন রথী প্রথম বুঝতে পারল সে একজন ভালো বন্ধু হারিয়েছে। এমন না যে, তার বাবার সাথে তার সম্পর্কটা খুব ভালো ছিল। বরং বাবার হতে মার খেয়েছে সবচে বেশী। মা সেসময় তাকে বাচাতে আসত, সে হিসেবে মাকেই তার সবচে ভালো লাগার কথা। কিন্তু কেন কে জানে, মা নয় বরং বাবাই তার আদর্শ হয়ে যায়। রাগী কিন্তু প্রচন্ড মিশুক এবং সদালাপী বাবাই তাকে প্রথম ক্যামেরা চালাতে শিখিয়েছিলেন বলে হয়তো বাবাকে এত ভালো লাগে। একে বন্ধুতা বলা যাবে কিনা তা নিয়ে হয়তো সন্দেহ জাগতে পারে, কেউ কেউ হয়তো একে অবচেতন কৃতগ্গতাও বলবে, কিন্তু রথী জানে,এটা বন্ধুতাই, কৃতগ্গতা নয়।
রথীর মা কম চেষ্টা করেন নি বাবাকে খুজে বের করতে। মাসে দুবার করে ঢাকা গিয়েছেন, বাবার খোজ খবর করেছেন। সে সময়টা খুব কষ্টের। মাকে গিয়ে উঠতে হতো বাবারই এক বন্ধুর বাসায়। তিনি আবার বিপত্নিক, অবশ্য দুটো বাচ্চার জনক। মাকে খুব সাহায্য করেছেন ভদ্রলোক, কিন্তু সমস্যাটা সামাজিক। একাকী মাকে গিয়ে উঠতে হত বিপত্নিক ভদ্রলোকের বাসায়, এ নিয়ে কানাঘুষা চলত। এ সকল ঘটনা রথী জানতে পেরেছে অনেক পরে, গোপনে।
এই গোপনে জানতে গিয়েই রথী প্রথম জানতে পারল তার বাবা মারা যাননি, হয়তো এখনো জীবিত। কিন্তু মা খুব সযত্নে এই সত্যিটা গোপন করে রেখেছিল তাদের সবার কাছ থেকে। এই জন্য মাকে খুব একটা দোষ দেয়া যায়না। নিজেকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সামাজিক বিধি নিষেধ থেকে বাচিয়ে চলার জন্য এ ছাড়া অন্য কোন পথ তার সামনে খোলা ছিল না। সাদা শাড়ি পরে বাকী জীবনটা কাটিয়ে দেয়ার ত্যাগটি তিনি করেছেন অবলীলাক্রমে।
*যেখানে শেষ হয় ঐখান থেকে আরেকজন লিখবে। এভাবে চলতে থাকবে।
শর্ত -১।আমি পোস্টে যেখানে গল্পটা শেষ করব সেখান থেকে আরেকজন শুরু করবে। এইভাবে চলতে থাকবে।
২। অনেকজনের মধ্যে থেকে লাগসই এবং উত্তমটা গল্পের পর্বর্তী অংশ হিসেবে সংযোজিত হবে। নিয়মিত গল্প আপডেট হবে।
৩।একই পোস্টের পর একাধিকজন লিখতে পারে কিন্তু নির্বাচিত হিসেবে সংযোজন হবে একজনেরটা বা দুই/একজনেরটা মিলিয়ে।
৪।একজন একাধিকবার উপস্থিত হতে পারে। ভিন্ ভিন্ন সময়ে।
৫।গল্পের ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধ নাই। যার যা ইচ্ছা লিখবে। শুধু বিশ্বাসযোগ্য হয় যেন এইভাবে লিখেন। নিজের অভিজ্ঞতা ঢোকান। নতুন চরিত্র সৃষ্টির সময় নিজের মত নাম দেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:০৬