মৃত্যু কি? কেন যেতেই হবে? গেলে কি হয়, কেন কাঁদতেই হবে?
আমরা পৃথিবীতে আসি, আমাদের কোন পছন্দ থাকেনা। ছেলে হব কি মেয়ে, কোথায় আসব,কোন মুলুকে জান্মাব, কেমন থাকব? আদৌ আসতে চাই কিনা।কেউ জিজ্ঞেস করে নাই! সবই রহস্য এখনো। সব কেমন করে জানি হয়ে যাচ্ছে, না চাইলেও করতে হচ্ছে অনেক কিসু।যেটাকে ন্যাচারাল, স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলা হচ্ছে।
মৃত্যু মহাপ্রস্থান আসলে ।এক জীবন থেকে অন্য জীবনে উত্থান।
মারজুক রাসেল-এর ভাষায়,"আমাকে ঢাকা হবে রঙ্গিন কাপড়ে। আর কান্না না, থাকবে হৈ-হুল্কুড়-বাদ্য,ঢোল-খোল,মাদল-কাঁসা। সারাক্ষন বাজতে থাকবে কানের কাছে -ট্যান ট্যানর ট্যান- ঢ্যাং ঢ্যাঙর"। এবং শবযাত্রার সবার শেষে আমি দাড়িঁয়ে দাঁড়িয়ে মজা নিব।" সেলিম আল দিন অর্ন্তযাত্রার কিসুদিন আগে একটা মৌলিক প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমরা মানুষরা যে মারা যাই, কত আয়োজন কত কান্না, কেন? আমাদের আশ-পাশে প্রকৃতির এত জীব, পশু-পাখি-কীট, অপমৃত্যু ছাড়া স্বাভাবিক মৃত্যুতে এদের কখনো কোথাও মরে পড়ে থাকতে দেখিনা, কেন? তারা কি আগে থেকে টের পেয়ে যায়। কোথায় যায় মৃত্যুর সময়? তাদের কি নির্দিষ্ট জায়গা আছে সময় হলে যেখানে গিয়ে তারা হাজির হয়? তারা তো এত কান্নাকাটি বা আড়ম্বর থাকেনা বিদায়ের সময়। মানুষ জানলনা কিসু। মানুষ মরলে এত কান্না কেন?"
যাওয়ার কালে আমাদের ভাই আলি ফিদা একরাম তোজো ভাইয়ের মত বলবো, "ভাল্লাগল, বিদায়। পৃথিবীটা অনেক ভালো ছিলো"
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৩৪