সব কিছুর নামকরণের একটা বিশেষ কারণ থাকে বা বিশেষ কোন পরিস্থিতির কারনেই কোন স্থান, কাল বা পাত্রের নামকরন করা হয়। বিভিন্ন জেলার নামকরণ কিভাবে হলো, তার প্রচলিত ধারণাগুলো নিচে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এ পর্বে দেখুন-
চট্টগ্রামঃ অনেকের মতে চীনের রাজকীয় দলিলে চট্টগ্রামকে বলা হয়েছে চাঠিকার। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকের শেষ দিকে চীনা পর্যটক ইচিং বৌদ্ধ ধর্মীয় জ্ঞান আহরনের জন্য এখানে আসার পর থেকে চট্টগ্রাম নাম শুরু হয়। এর প্রাচীন নাম ছিল ইসলামাবাদ।
কক্সবাজারঃ ক্যাপ্টেন হীরন কক্স এর নাম থেকে কক্সবাজার নাম হয়।
খাগড়াছড়িঃ অসংখ্য খাগড়া গাছ ছিল ছড়ার তীরে। এই খাগড়া গাছ আর ছড়া থেকে নাম হয়েছে খাগড়াছড়ি।
বান্দরবানঃ অসংখ্য বানর শঙ্খ নদী পার হতো। এ দৃশ্য দেখতে বাঁধের মত মনে হতো। এ থেকে নাম হয়েছে বান্দরবান।
রাঙ্গামাটিঃ মৃত্তিকার রং রক্তিম বা রাঙ্গা হওয়ার কারনে নাম হয়েছে রাঙ্গামাটি।
ফেনীঃ ফনী রাজার নামানুসারে ফনী, পরে ফেনী নাম হয়েছে। অন্য মতে মৌর্য বংশের শাসনামলে চীনা পর্যটক ফাহিয়েন ভারত সফরের এক পর্যায়ে এখানে একদিন অবস্থান করেন। পওে ফাহিয়ানের নামানুসারে কালক্রমে ফাহিয়ানী থেকে ফেনী নামকরণ হয়।
কুমিল্লাঃ কমলান্ক নগর থেকে কুমিল্লা নামের উৎপত্তি। অনেকে মনে করেন কুমিল্লা নামের একজন মুসলিম সেনা নায়কের নামানুসারে কুমিল্লা নামকরণ হয়।
চাঁদপুরঃ জমিদার চাঁদ রায়ের নাম থেকেই চাঁদপুরের উৎপত্তি। কেউ বলেন দরবেশ চাঁদ ফকিরের নামানুসারে চাঁদপুর হয়েছে।
লক্ষীপুরঃ রাজা লক্ষী নারায়ণের নাম অনুসারে লক্ষীপুর নামকরণ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ সেন বংশের রাজত্বকালে এ এলাকায় কোন ব্রাহ্মণ না থাকায় রাজা লক্ষণ সেন কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবার এ এলাকায় পাঠান। এই ব্রাহ্মণদের বাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি।
নোয়াখালীঃ প্রচীন নাম ভুলুয়া। ভুলুয়া নদীতে চলে যাওয়ার কারনে চর জাগে। সেখানে নতুন খাল খনন করলে নাম হয় নোয়াখালী।
রাজশাহীঃ মুর্শিদকুলী খানের সময়ে এক ব্রাহ্মণ জমিদার রাজস্ব আদায় করতেন। তাকে রাজা উপাধি প্রদান করা হয়েছিল। এ রাজার রাজ এবং বাদশাহীর ’শাহী’ নাম যুক্ত হয়েই রাজশাহী নামটি হয়েছে।
পাবনাঃ বিখ্যাত পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উৎপত্তি। আবার কেউ কেউ মনে করেন. দুর্ধর্ষ ডাকাতের নামানুসারে এই এলাকার নাম পাবনা হয়।
সিরাজগঞ্জঃ নবাবী আমলে জমিদার সিরাজ চৌধুরীর নামানুসারে সিরাজগঞ্জ নামকরণ হয়।
বগুড়াঃ সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের পুত্র বগরা খানের নামানুসারে বগুড়া নামকরণ হয়। বগরা খান ছিলেন স্বাধীন বঙ্গের শাসনকর্তা।
নাটোরঃ কয়েকজন বালিকার নৃত্য থেকে নাট্যপুর। পর্যায়ক্রমে নাট্যপুর, নাট্রর থেকে অবশেষে নাটোর।
......চলবে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৭