ইসলামী আইনে বোনেরা পৈত্রিক সম্পত্তির ক্ষেত্রে ভাইদের অর্ধেক পেয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক পরিবারেই পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরে ভাইয়েরা বোনদেরকে ঠকায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এটা বেশী হয়। আমার আত্মীয়র মধ্যে ৫ বোন আর তাদের ভাই মাত্র একজন। অথচ এই একমাত্র ভাই তার সকল বোনের পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া সম্পত্তি সারা জীবন ভোগ দখল করেছে। মজার বিষয় তারপরেও বোনেরা তার ভাইয়ের প্রতি একটুও ক্ষুব্ধ না। বরং তারা বলে যে ভাইয়ের আয় রোজগারের অবস্থা ভালো না তাই আমরা দাবি ছেড়ে দিয়েছি। সব বোনেরই মোটামুটি ভালো জায়গায় বিয়ে হয়েছে। তাই তাদের আর্থিক সমস্যা নাই বললেই চলে। তারপরেও ভাইয়ের উচিত ছিল বোনদেরকে তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝিয়ে দেয়া।
আমার বরিশালের এক বন্ধুর সাথে এই প্রসঙ্গে একবার কথা বলে বুঝলাম যে তার দৃষ্টিভঙ্গি হল বোনদের বিয়ে হয়ে যাবে তারা আবার সম্পত্তিতে কেন ভাগ নেবে। আমার এই বন্ধুর গ্রামে সম্পত্তি আছে।
একজনের কাছে শুনলাম যে হাতিরঝিল এলাকার কিছু অংশ আগে অনুন্নত এবং ডোবা টাইপের ছিল। ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা নাকি বোনদের ঐ অনুন্নত অংশের জমি দিত আর নিজেরা পাশের ভালো অংশ নিত। হাতির ঝিল হওয়ার পরে নাকি বোনদের অংশগুলির দাম বেশী বেড়েছে।
ইসলামে সম্পত্তির বণ্টন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কিছু নির্দেশনা আছে। এই নির্দেশনাগুলি ইসলামী সমাজে সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং শোষণ কমে যাবে। যেমন জাকাত, ফিতরা, দান, সুদ বিহীন অর্থনীতি, জুয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা, আবাদি জমি ফেলে রাখার উপরে নিষেধাজ্ঞা, মজুতদারির উপরে নিষেধাজ্ঞা, দরিদ্র প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ইত্যাদি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১০