২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই মন্দিরের অডিট করার পর জনসমক্ষে যে সম্পত্তি আসে, তা চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট। এই মন্দিরের ৬টি ভল্টের মধ্যে ৫টি খোলা হয় তার মধ্যে প্রাপ্ত ধনরাশি র মূল্য বর্তমানে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা যদি প্রত্নতারত্থিক মূল্য ধরা হয় তাহলে তা আরো ২০গুন হবে। কোর্টের নির্দেশে ৬নং ভল্টটি আর খোলা হয়নি।
২) তিরুমালা তিরুপতি ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশ
গত দশক পর্যন্ত তিরুপতি মন্দিরটি দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দির বলে মনে করা হত। কিন্তু পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের ধন সম্পদ আবিষ্কারের পর পরিমাণের তথ্য প্রকাশের পর তিরুপতি সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে গেছে। প্রতিদিন প্রায় 60,000 ভক্তরা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের কাছে উপস্থিত হন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা দেবতা, লর্ড ভেঙ্কটেশ্বরা 1000 কেজি গোল্ডের সঙ্গে পরিহিত হয়। লাড্ডু বিক্রি করার বার্ষিক আয় প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলার। এটি অনুমান করা হয় যে মন্দির প্রতি বছর প্রায় 650 কোটি টাকা আয় করে ভক্তদের দান থেকে ।ভক্তদের মাথার কেটে ফেলা চুল বিক্রি করে বছরে আয় হয় ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।
৩) সাই মন্দির, সিড়ডি, মহারাষ্ট্র:
সাঁই বাবা মন্দির এর প্রাপ্ত বার্ষিক দান প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এছাড়াও রয়েছে ৩৭৬ কেজি সোনা ও নানা মূল্যবান ধাতু রয়েছে।
৪) বৈষ্ণু দেবী, জম্মু ও কাশ্মীর :
মন্দিরের প্রায় 500 কোটি টাকা বার্ষিক আয়। প্রতিবছর প্রায় ১০ মিলিয়ন তীর্থযাত্রী এই মন্দিরটি পরিদর্শন করে এবং তিরুপতির পর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম দর্শনীয় মন্দির বলে দাবি করে। এই মন্দিরের সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১২০০ কেজি সোনা যা ভক্তদের দান থেকে প্রাপ্ত।
৫) সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, মুম্বাই :
মন্দিরের প্রায় 150 কোটি টাকা বার্ষিক আয়। বর্তমানে দান দ্বারা প্রাপ্ত সোনার পরিমাণ ১৬০কেজি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৪৯