তারা বলে,' অামরা অস্থিতে পরিণত ও চূর্ণবিচুর্ণ হলেও কি নতুন সৃষ্টিরুপে পুনুরুত্থিত হবো? বলো, তোমরা যদি হয়ে যাও পাথর অথবা লৌহ, অথবা এমন কিছু যা তোমাদের ধারণায় খুবেই কঠিন; তারা বলবে, কে অামাদের পুনুরুত্থিত করবে? বলঃ তিনিই যিনি তোমাদের প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর তারা তোমাদের সামনে মাথা নাড়বে ও বলবেঃ ওটা কবে? বলোঃ হবে সম্ভবতঃ শীগ্রই।( সুরা বাণী ইসরাইল, অায়াত-৪৯,৫০,৫১)
মহান রাব্বুল অালামিন কাফিরদের/অবিশ্বাসীদের মনস্তাত্তিক ধারণা তুলে ধরছেন। মানুষ মৃর্ত্যুর পর কেয়ামতের ময়দানে অাবার তাদের জীবিত করা হবে; কোন ভাবেই এটা তাদের বুঝে অাসেনা। তারা মনে করে, অস্থি এবং মাটি হয়ে যাওয়ার পর কিভাবে অাবার অামাদের তৈরী করা হবে?
এটা শুধু তখনকার সন্দেহ নয়; যুগে যুগে এমন চিন্তাধারা অাজ অবধি অবিশ্বাসীদের চিন্তাচেতনায় লালন করে অাছে।
একজন মানুষ যদি এটুকু চিন্তা করে যে, সে একদিন একেবারেই অস্তিত্বহীন ছিলো। একফোটা পানি ( যেটা পাক নয়) থেকে তাকে একটি সংরক্ষানাগারে রেখে ,সুগঠিত করে পূর্নাঙ্গ মানুষ রুপে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। সেটা কোন ক্ষমতায়? কার ঈশারায়? কার হুকুমে? দুনিয়ায় মানব শিশু অাগমনের পূর্বে তার খাদ্যের ব্যবস্থা মায়ের পেটের জরায়ুর সাথে সংযুক্ত নাড়ীর মাধ্যমে দেয়া হয়। শুধূ তাই নয় অক্সিজেন সরবরাহ, খানিকটা ফ্লুইড থাকে যার উপর মানব শিশু ভাসমান অবস্থায় থাকে; যেন সহজে কোন অাঘাত বাইরে থেকে তার শরীরে না লাগে। কোন রোগ জীবানু সহজে বাচ্চাকে অাক্রান্ত করতে পারেনা।
বাচ্চা দুনিয়ায় অাগমনের সাথে সাথে তার খাদ্যের প্রথম লাইনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মহান রাব্বুল অালামিন কত মহান!! তিনি দ্বীতিয় খাদ্যের সংযোগ তার মায়ের বুকের দুধের ব্যবস্থা করে দেন। অাল্লাহপাক এতটাই মহান যে, শিশুর জন্মগ্রহণ করার পর শিশুর কোন দাঁত দেননা। কেননা, তাহলে মা বুকের দুধ খাওয়াতে কষ্ট পাবে।
অবিশ্বাসী/কাফিররা মূলত এমন একটা ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত যেখান থেকে অাল্লাহপাক কখনই তাদেরকে পথ দেখাবেন না। এগুলোর অন্তর মোহরকৃত। অার অাল্লাপাক তাদের শুধু বিভ্রান্তই করেন। তারা বিভ্রান্ত হয়েই দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। অাল্লাহপাক তাদের দুনিয়ায় অবকাশ যাপনের জন্য সামান্য সময় দিয়েছেন।
মানুষ কি মনে করে যে, অামি তার অস্থিসমূহ একত্রিত করতে পারবোনা ? বস্তুত অামি ওর অঙ্গুলীর অগ্রভাগ পূর্নবিন্যাস্ত করতে সক্ষম। (সুরা কিয়ামাহ-অায়াত-৫ এবং ৬)
দেখুন অন্য অায়াতে অাল্লাহপাক কি বলছেন, মানুষ কি মনে করে তাকে নিরর্থক ছেড়ে দেয়া হবে? সে কি স্থলিত শুক্রবিন্দু ছিলোনা? (সুরা কিয়ামাহ-অায়াত-৩৬ এবং ৩৭).
একটি মানুষ সে যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করে, সে কেন পৃথিবীর অন্য সব প্রানীর উপর প্রভাব বিস্তার করে সমগ্র পৃথিবী রাজত্ব করতে পারছে? দুনিয়ার সমস্ত কিছু কেন মানুষের খেদমতে নিয়োজিত? প্রকৃতি কেন তাকে অালো-বাতাস, হাজারো ফল-ফলাদী ছাড়া অসংখ্য নিয়ামত দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে? কেন সে দুনিয়ায় অাসলো? কে তাকে পাঠালো? তার উদ্দেশ্য বা কি? তাহলে অবশ্যই সে অবিশ্বাসী হতে পারেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫