অবিশ্বাসীরা যে চিরকালই অজ্ঞ, অন্ধ এবং সুপথ প্রাপ্ত নয়; তা তাদের বাচন ভঙ্গিতেই বোঝা যায়।
এর অাগের ব্লগে (কমেন্টস) এমনই কিছু হাম্বা পেয়েছি।
হকিং সম্পর্কে বলতে গিয়ে-
Andy Buckley বলেছেন (যিনি পার্টিকেল ফিজিক্সের ওপর একজন PhD, এবং CERN এর একজন visiting researcher এবং lecturer in physics)
Hawking’s absence from the Fields Medal and Nobel prize lists does hint that maybe his influence has not been extraordinary.অর্থাৎ, ফিল্ড মেডেল এবং নোবেল পুরষ্কারের লিস্টে হকিং এর অনুপস্থিতিই ইঙ্গিত করে, পদার্থ বিজ্ঞানে তার প্রভাব এত অসাধারণ কিছু নয়।
তিনি অারো বলেন,
তার এই খ্যাতির মূল কারণ তার তত্ত্ব বা পদার্থ বিজ্ঞানে তার অবদান নয়, তার পঙ্গুত্ব।
মানে হচ্ছে, আধুনিক সময়ের পদার্থ বিজ্ঞানীরা পর্যন্ত স্টিফেন হকিং কে খুব বড় বিজ্ঞানী মনে করেন না, অথচ ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের স্টিফেন হকিং কে নিয়ে মাতামাতির সীমা নাই। এর কারণ বিজ্ঞান নয়, এর কারণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলা গভীর ষড়যন্ত্র। মুসলমানদের ব্রেইনওয়াশ করে নাস্তিক বানাবার পশ্চিমা চক্রান্ত।
তার লেখা 'এ ব্রিফ হিস্টোরী অফ টাইম' এবং সর্বশেষ লেখা 'এ গ্রান্ড ডিজাইন' পাঠক মহলে অনেক সাড়া ফেলেছিলো এ কারণে যে এই বইয়ের মধ্যে সৃষ্টিকর্তা নিয়ে অনেক মনগড়া বয়ান ছিলো।
তিনি পদার্থবিজ্ঞানের একজন হিরো; কিন্তু যখনই তিনি গড/সৃষ্টিকর্তা নিয়ে সন্দেহ, সংশয় প্রকাশ করলেন তখনই তাকে নিয়ে মাতামাতির একটি চরম সুযোগ পেয়ে গেলেন সেই ইসলামের চরম দুষমনেরা।
সিএনএন থেকে তার একটা সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছিলো,
প্রশ্ন: অাপনি কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন?
হকিং: ঈশ্বর থাকতে পারে, তবে................................................
ফ্রান্সের একটি বিশেষ সংরক্ষণাগার। মিশর থেকে ফেরাউনের লাশ রাজকীয় অভ্যার্থনায় সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেরা শল্যবিদ বা সার্জন ও লাশ বা শরীর পরীক্ষার বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের সেখানে জড়ো করা হয়। ফেরাউনের লাশ সংক্রান্ত গবেষক টিমের প্রধান ছিলেন মরিস বুকাইলি।
উদ্দেশ্য ছিলো, কেন ফেরাউনের লাশ অক্ষত থাকলো এবং কিভাবে তার মৃর্ত্যু হয়েছিলো। যাহোক, গবেষনায় প্রমাণিত হলো, তিনি পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলেন। তার শরীরে লবনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিলো।
এটা ছিলো হাজার বছরের লাশ। উনি কোরআন আর তাওরাত ঘেটে দেখলেন,
‘আজ আমি তোমার (ফেরাউন) দেহ রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো। অবশ্যই মানুষের মধ্যে অনেকে আমার নিদর্শন সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা : ইউনুুস, আয়াত : ৯২)
’পানি ফিরে এসে ফেরাউনসহ তার পিছে পিছে আসা ঘোড়াগুলো ও তার সেনাদের সবাইকে গ্রাস করে। তাদের কেউই রক্ষা পায়নি।’ (তাওরাতের একটি অধ্যায়)
হেদায়েদ প্রাপ্ত হওয়ার জন্য বুখাইলীর একটি নিদর্শন যথেষ্ট ছিলো। অবিশ্বাসীসের চোখে উনি কিন্তু হিরো হতে পারেন নি। উনি এখন পল্লী চিকৎসক।
মোদ্দা কথা, –হকিং সাহেব যখন বলেন,
আমরা শুধুমাত্র খুব সাধারণ একটি নক্ষত্রের একটি গৌণ গ্রহের বানরদের একটি উন্নততর প্রজাতি। কিন্তু আমরা মহাবিশ্বকে বুঝতে পারি, যা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
তখন আমার মনে হয়, উনি পদার্থবিদ্যায় একজন পারদর্শী ব্যক্তি হলেও; জীববিদ্যায় একবারে বেহাল দশা ছিলো।
“যতই আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছি, বিবর্তনবাদকে ততই কম নির্ভরযোগ্য বলে মনে হয়েছে। . . . আমার মতে, ঈশ্বরে বিশ্বাস করার জন্য যতটা বিশ্বাস প্রয়োজন, বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করার জন্য তার চেয়েও বেশি ‘বিশ্বাস’ প্রয়োজন।”—অ্যান্থনি।
বিবর্তনবাদ এমন একটা ইস্যু, যা নিয়ে স্বয়ং বিবর্তনবাদীরাই তিন-চার দলে বিভক্ত। পশ্চিমের অনেক প্রতিথযশা বিজ্ঞানীই বিবর্তনবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। প্রচুর বইপত্র, কলাম, আর্টিকেল লিখেছেন। তাদের লেখার বিপক্ষে বিবর্তনবাদীরা কেবল কটূক্তি আর তিরস্কার ছাড়া তেমন কোন ইন্টেলেকচুয়্যাল আর্গুমেন্টস দাঁড় করাতে পারেনি।
বিবর্তনবাদ হচ্ছে বিজ্ঞান জগতে সবচেয়ে বিতর্কিত একটা থিওরি। এই বিতর্কিত একটা থিওরিকে ‘ফ্যাক্ট’ ধরে নিয়ে কেনো স্টিফেন হকিং পাঠকদের জন্য সরস বক্তব্য বলতে গেলেন? যেখানে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীদের বেশিরভাগই বিবর্তনবাদকে ভুল প্রমাণ করেছে? তাছাড়া স্টিফেন হকিং হচ্ছেন একজন পদার্থ বিজ্ঞানী, উনি জীববিজ্ঞানের কী বোঝেন?
চিন্তা করার মতো বিষয়
দশকের পর দশক ধরে গবেষণা করার পরও বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদ সম্বন্ধে এমন কোনো উপসংহারে পৌঁছাতে পারেননি, যেটাতে তারা সবাই একমত হতে পারেন। বিজ্ঞানীরা, যাদেরকে বিশেষজ্ঞ বলে মনে করা হয়, তারা যদি বিবর্তনবাদের বিষয়ে একমত হতে না পারেন, তা হলে তোমার জন্য এই মতবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা কী ভুল?
পরকাল যে কারণে থাকতে হবেঃ
একজন মানুষ দুনিয়ায় আসে, মৃর্ত্যু বরণ করে। এই মাঝখানের সময়টা তার একরকম যায়না।
কেউ ঠকে, কেউ ঠকায়, কেউ অত্যাচার করে আবার কেউ অত্যাচারিত হয়। কেউ কম কেউ বেশি সুবিধা ভোগ করে। এখানে ন্যায় শব্দটা সর্বত্র ব্যবহার হওয়ার সুযোগ থাকেনা।
এরশাদ শিকদার ৬০ এর উপরে মানুষ হত্যা করেছে, আরো শত শত অন্যায় কাজ করেছে। ৬০ বার ওকে কিন্তু ফাঁসি দেয়া সম্ভব নয়। ক্ষমতার কারনে অসংখ্য অন্যায়ের কোন বিচার হয়না। যে ঠকে গেল সে ঠকে গেলই। সুতরাং পার্থিব জীবনে পর একটা জীবন অশম্ভাবী হওয়ার দরকার আছে। যেখানে একটা ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপিত হবে। তা না হলে আমরা অবশ্যই মূল্যহীন হয়ে গেলাম।
আজকের হকিংদের ন্যায় সেকালে মক্কার মুশরিক নেতাদের অনেকের ধারণা ছিল যে, মানুষ আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রাকৃতিক নিয়মেই তারা ধ্বংস হবে। যেমন আল্লাহ বলেন,
‘এ (মূর্খ) লোকেরা বলে, আমাদের এ পার্থিব দুনিয়া ছাড়া আর কোনো জীবনই নেই, আমরা (এখানেই) মরি বাঁচি, কালের আবর্তন ছাড়া অন্য কিছু আমাদের ধ্বংসও করেনা। (মূলত) এদের এ ব্যাপারে কোনোই জ্ঞান নেই, এরা শুধু আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতেই কথা বলে।’ {সূরা আল জাছিয়া, আয়াত ২৪}।
আমরা দতুষ্পদ জন্তুর মত জীবন চাইনা। একটি বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানময় জীবন চাই। যেখানে আধুনিকতার নামে থাকবেনা কোন নগ্নতা, সভ্যতার আড়ালে থাকবেনা কোন বন্যতা। আমার ডিসকভারীর কোন ’ন্যাকড এন্ড অ্যাফরেইড’ নামক কোন আনসিভিলাইজড জগত দেখতে চাইনা।
(অনলাইন থেকে কিছূ তথ্য সংগৃহীত হয়েছে)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭