প্রয়োজনঃ
১. কম্পিউটার
২.ভিজুয়াল বেসিক ৬ (প্রোগ্রামিং এর জন্য)
৩. ১টা Transistor
৪. ১টা rely
৫.১টা ১ কিলো ওহম রোধ ।
৬. ১টা বাল্ব।
৭. একটু তার।
যাদের ইলেক্ট্রনিক্সে বেসিক জ্ঞান নাই, তারা Transistor আর rely নিয়ে প্রশ্ন করবে । সোজা কথায় Transistor হল খুব দুর্বল বৈদ্যুতিক সিগনালকে বেশি শক্তিশালী সিগনালে রূপান্তরিত করার ১টা ইলেক্ট্রনিক পার্টস । খুব সহজে Transistor সম্পর্কে কম কথায় জানা যাবে এইখানে-
http://www.ikalogic.com/tut_bjt_switches.php
আর রীলে হল ১ ধরনের সুইচ । এতে নির্দিষ্ট পরিমান বিদ্যুৎ দিলে এটি ১টা বর্তনীকে “অন” রাখে , আর না দিলে আরেকটা “অন” রাখে ।এর ভেতরে ১ টা বৈদ্যুতিক চুম্বক থাকে । আর এর রোধ(বিদ্যুৎ প্রবাহকে বাধা দেয়ার ক্ষমতা) অনেক কম
ভিজুয়াল বেসিক হল কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর জন্য সবচেয়ে সহজ ভাষা । এটা পিসিতে ইন্সটল করা থাকতে হবে । আমি এর ৬ নম্বর ভার্সন ব্যবহার করেছি ।
বানানোঃ
এই সিস্টেমটার ২ টা অংশ – প্রোগ্রামিং অংশ আর ইলেক্ট্রনিক অংশ । প্রোগ্রামিং অংশ ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নির্দেশ নিয়ে ১টা সিগনাল তৈরি করবে । আর ইলেকট্রিক সার্কিটটা সেই সিগনালকে “ক্যাচ” করে বাল্ব(বা অন্য যেকোনো যন্ত্র) নিয়ন্ত্রন করবে । এখানে আমরা কম্পিউটারের সিগনাল বাইরে আনার জন্য ব্যবহার করব সিরিয়াল পোর্ট । যার কম্পিউটারে সিরিয়াল পোর্ট নাই,(আধুনিক অনেক কম্পিউটারে থাকে না ) সে ইউএসবি – সিরিয়াল কনভার্টার কিনে ব্যবহার করতে পারবে ।
প্রোগ্রামিং অংশঃ
প্রথমেই ভিজুয়াল বেসিক ওপেন করুন । new project উইন্ডোতে “standard EXE” select করে OK করুন ।
এরপর সবার ওপরের অপশনগুলো থেকে "project" এ ক্লিক করুন । অনেকগুলো অপশন আসবে। "components" এ ক্লিক করুন । এখন নতুন উইন্ডোতে যে লিস্টটা আসবে, টা থেকে “Microsoft comm control 6.0” এর সামনে টিক দিয়ে apply ও OK করুন ।“Microsoft comm control 6.0” হল সিরিয়াল পোর্ট কন্ট্রোল করার জন্য ভিজুয়াল বেসিক এর কম্পোনেন্ট ।
এখন দেখুন- স্ক্রীনের বাম দিকে অনেকগুলো কম্পোনেন্ট এর মাঝে সবার শেষে ১ টি টেলিফোনের আইকন যুক্ত অপশন আছে । ওটাতে ডবল ক্লিক করুন ।
দেখবেন যে ফর্মে টেলিফোনের আইকনটি যুক্ত হয়েছে । এবার ফর্মের ওটাতে ১বার ক্লিক করুন। ডানপাশের properties বক্সের "DTREnable" properties টি "false" করে দিন । এখন ফর্মে ২ টা বাটন যুক্ত করুন । (কম্পোনেন্ট লিস্টে আছে) । ১টা বাটনের নাম দিন “ON” ,আরেকটার “OFF” । “ON” বাটনে ডাবল ক্লিক করুন । কোড উইন্ডো আসবে । তাতে নিচের কোড লিখুন-
MSComm1.PortOpen = True
MSComm1.DTREnable = True
“OFF” বাটনে লিখুন-
MSComm1.DTREnable =False
DTR কম্পিউটার সিরিয়াল পোর্টের ১ টা স্ট্যাটাস পিন (৪ নাম্বার পিন) । বিস্তারিত না বলে এততুকুই বলি যে এটা কম্পিউটারের একটা বিশেষ স্ট্যাটাস জানাতে “অন” অথবা “অফ” হয় । আমরা “ON” বাটনে এই পিনকে অন(সক্রিয়) হবার নির্দেশ দিয়েছি । আর “OFF” বাটনে তাকে অফ(নিষ্ক্রিয়) থাকতে বলেছি । তাই বাটন ক্লিক করলে ডিটিআর পিনে ভোল্টেজ থাকে । আর ক্লিক করলে ভোল্টেজ থাকে না ।(আসলে উল্টা পোলারিটিতে থাকে, যা Transistor এর কাছে না থাকার সমান )
ইলেক্ট্রনিক অংশঃ
সার্কিট বানানোর পালা। অত্যন্ত সহজ ১টা সার্কিট । আমরা ডিটিআর পিনের সিগনাল দিয়ে রীলে অন-অফ করব । সাধারন সিরিয়াল পোর্টে ভোল্টেজ থাকে ১১.৫ এর মত , (আমারটায় ছিল ১১.৭৫) ইউএসবি- সিরিয়ালে থাকে ৫ ভোল্ট আর রীলে বাজারে ৬ ভোল্ট, ১২ ভোল্ট এ পাওয়া যায় । তাই আমরা সরাসরি এই পিনের সাথে রীলে জুড়ে দিয়ে কাজ শেষ করতে পারতাম । কিন্তু, এই ডিটিআর পিনের ১টা হাইয়েস্ট কারেন্ট রেটিং আছে। আর আগেই বলেছি যে রীলের রোধ কম। তাই সরাসরি জুড়ে দিলে তা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে ।(আমার কনভার্টারটার ভাগ্যে এটাই ঘটেছিল ) তাই দরকার বিদ্যুৎ প্রবাহ(কারেন্ট) কমানো । আর তাই এর সাথে লাগাতে হবে রোধ , যা প্রবাহ কমাবে। কিন্তু সেই কম প্রবাহ কিন্তু রীলেকে চালাতে পারবে না। তাই সেখানে ব্যবহার করতে হবে Transistor ।এখন প্রশ্ন হল কোন Transistor ব্যবহার করব ? এ সম্পর্কে বলার আগে নিচের লিঙ্ক দেখে নিন –
Click This Link
এই প্রজেক্টে আমরা যেকোনো বড় Hfe এর Transistor ব্যবহার করতে পারব। কারন সেগুলোর হাইয়েস্ট আউটপুট থাকে ০.১ অ্যাম্পিয়ার এর মত, তাই রীলে জ্বলে যাবার সম্ভাবনা থাকবে না। আবার গেইন ও বেশি পাওয়া যাবে ।১টা সার্কিটই অন-বোর্ড ,ইউএসবি সব পোর্টের জন্য কাজ করবে । আমি আমার কাজে ব্যবহার করেছিলাম BC547 ।এরপর Transistor এর আউটপুট রীলেতে ইনপুট হিসেবে দিতে হবে । পাওয়ার সাপ্লাই হবে রীলের সাথে সঙ্গতি রেখে ।
সার্কিট ডায়াগ্রামটা নিচে দিলাম –
আমি আমার প্রজেক্টে কোন প্রোটেকশন ডায়োড (Transistor এর জন্য )ব্যবহার করিনি । কোন সমস্যাও হয়নি । তবে ব্যবহার করা অবশ্যই ভাল।
এই প্রজেক্টের কিছু ছবি ও ভিডিও –
ফেসবুক লিঙ্ক
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
দ্রষ্টব্যঃ বলে রাখা ভাল যে এই পোস্টটা স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য লেখা , যাদের ছোটখাটো “প্রজেক্ট” বানানোয় আগ্রহ আছে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১৩