২) আমাদের পৃথিবী যখন সূর্যের সাথে তুলনা করি...
৩) এই হচ্ছে Solar System এ আমাদের অবস্থান
৪) মহাকাশের একটা ধূমকেতুর সাথে যদি Los Angeles, New York এর তুলনা করি।
৫) যদি অন্যান্য গ্রহের সাথে আমাদের পৃথিবী আর সূর্যের তুলনা করি
৬) যদি আমাদের পৃথিবীরও শনি গ্রহের মতো বলয় থাকে,তবে পৃথিবী থেকে তা দেখতে ঠিক এরকম মনে হবে।
৭) যদি নেপচুন গ্রহ থেকে আমাদের পৃথিবীর দিকে তাকায় (৪ বিলিয়ন মাইল দূর থেকে)
৮) মহাকাশে যদি তারার সংখ্যা কল্পনা করি তবে খুব অল্প সংখ্যক তারা-ই আমরা পৃথিবী থেকে দেখতে পায়।
৯) এবার দেখুন মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে আমাদের প্রানের পৃথিবী।
১০) এই ছবিতে আপনারা দেখতে পাবেন হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে নেয়া হাজার হাজার গ্যালাক্সির ছবি।
প্রতিটি গ্যালাক্সিতে মিলিয়ন মিলিয়ন তারা আর গ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের পৃথিবীও একটি নগন্য গ্রহ।
১১) গ্যালাক্সির বিশালতা বুঝতে চান।আমি একটি আইডিয়া দিচ্ছি।
মনে করুন, আমাদের সৌরজগতের দৈত্য হচ্ছে সূর্য।সূর্যকে যদি আপনি রক্তের শ্বেতকণিকা মনে করেন তাহলে গ্যালাক্সি হবে পুরো আমেরিকার সমান। কল্পনা করতে পারেন?
১২) এবার দেখুন পৃথিবী কে চাঁদ থেকে কেমন লাগে?
১৩) আমাদের পৃথিবীর সমান ৬ টা পৃথিবীকে যদি শুধু শনি গ্রহের সাথে তুলনা করি।
১৪) এই ছবিতে আমি দেখাবো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব। শুধু দেখে হয়ত আপনি কল্পনা করতে পারছেন না।
যদি বলি এদের মধ্যকার যে দূরত্ব তাতে আমাদের সৌর জগতের সব গ্রহ অনায়াসে জায়গা হয়ে যাবে।
১৫) জুপিটার গ্রহের সাথে যদি উত্তর আমেরিকার তুলনা করি।
১৬) বলা হয়ে থাকে যে, মহাকাশে যে পরিমান তারা আছে পৃথিবীর সমস্থ বালুকনা এক করলেও তা অতি নগন্য।
১৭) রাতে আকাশের দিকে তাকালে আমরা যে তারা দেখতে পায় তা মহাকাশের অতি ক্ষুদ্রাংশ মাত্র।
এতো অসীমের মাঝে সসীমতা।
১৮) গ্যালাক্সির বিশালতা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।এবার দেখুন আমাদের গ্যালাক্সির সাথে অন্যান্য গ্যালাক্সির তুলনা।
১৯) শনি গ্রহের বলয়ের নিচ হতে আমাদের পৃথিবী।
২০) সবার শেষে সূর্যকে যদি অন্যান্য VY Canis Majoris সাথে তুলনা করি।
পরিশেষে, হয়তো এই পৃথিবীতে আমরা একা নয় , হয়তো একা। কিন্তু এই লক্ষ-লক্ষ আকাশ-মহাকাশ,তারা, গ্রহ , গ্যালাক্সির ভিড়ে যে পৃথিবী ঠিকে আছে আর আমরা বেঁচে আছি তা কি খোঁদার অশেষ দান নয়কি?
কোথাকার কোন এক গ্রহের কোনও এক দেশের কোনও এক জায়গার কোনও এক তুচ্ছ বান্দার ডাকে যে আল্লাহ সাড়া দিচ্ছেন,তার কি দরকার পড়েছে আমাদের প্রার্থনার?
ওরে বোকা, আমাদেরই দরকার তাঁকে।
সব দোষ-পাপত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে আসুন তার দিকে ফিরে যায়।উনি সব সময় , সাদরে আমাদের গ্রহন করবেন।
সবশেষে -“ফাবি আয়ি আলা-ই রাব্বিকুমা তুকাদ্দিবান।“
“সৃষ্টিকর্তার কোন কোন অবদান তুমি অস্বীকার করবে?”
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮