বাংলাদেশে ফিরে আসার পরে আমি মোহাম্মদপুর গ্রাফিক আর্ট ইনস্টিটিউট এর উল্টা দিকের একটি গলিতে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছি।
এখানে ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকার মত বাজার করার সুবিধা নেই । কেননা বাজার গুলো একটু দূরে।
আমি মাছ ও কাঁচা বাজার বাদে বাকি অন্যান্য মুদি বা গ্রোসারি আইটেমগুলো কিনি জাকির হোসেন রোডে অবস্থিত "আকন" নামে একটি দোকান থেকে।
এই দোকানে কেনাকাটা করার মূল আকর্ষণ হচ্ছেন জনাব মাহফুজ আহমদ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অসাধারণ কিছু গুণাবলী রয়েছে যা বর্তমানে অনেক ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেই ।
এ কারণে আমার একটু কষ্ট হলেও আমি অন্য দোকানে না গিয়ে আকন নামে এই দোকানটিতে যাই ।
যেহেতু আমি সন্ধ্যার পরে যাই সেহেতু বেশির ভাগ সময়ই দোকানে উনার দেখা পাই। কাস্টমারদের সেবা দেওয়ার জন্য উনি যেন প্রতিটি মুহূর্তেই প্রস্তুত হয়ে থাকেন । কোন এক অজ্ঞাত কারণে উনি আমাকে খুবই পছন্দ করেন । উনার দোকানের অন্যান্য কর্মীদের বলে দিয়েছিলেন - ইনি হচ্ছে আমার ভাই । উনি যখন আসবেন তখন দেখবে উনার যেন কোন প্রকার অসুবিধা না হয় । এটা আমার আদেশ ।
সে যাই হোক এই দোকানে জিনিসপত্র কিনে আমি আসলে সত্যিকার অর্থেই খুশি । অনেক সময় এমনও হয়েছে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পরে কোন আইটেমে দেখেছি মেয়াদের তারিখ খুব কম। সে জিনিস নিয়ে গেলে উনি সাথে সাথে বদলে দিয়েছেন ।
উনি আমাকে বলেছেন ,
আপনি যে কোন জিনিসই বদলাতে পারবেন । কিন্তু স্লিপটা সাথে রাখবেন । স্লিপটা সাথে রাখলে বদল করে দিতে আমার সুবিধা হয় ।
আমি লালমাটিয়ার আশেপাশের বিভিন্ন শপিংমলে বাজার করে দেখেছি । সেখানকার সেবার চেয়ে আকনের সার্ভিস আমার কাছে অনেক বেশি ভালো মনে হয়েছে। আর আমি যদি সঠিক সেবা পাই তাহলে কষ্ট করে কে দূরে বাজার করতে যাবে।
মাহফুজ ভাই, আপনি অনেক অনেক ভাল থাকুন । বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ীরা যেন আপনার মত সততাকে বুকে ধারণ ও লালন করেন।