***
আমি আর লিখতে পারিনা রিনা। তোমাকে যেমন দেখতে পাই না বহুদিন। আমার লেখার অন্দরমহলে ছিলে। বাহিরে যতই ঝড়ঝঞ্চা ভিতরে তুমি ছিলে। তুমি ছিলে অনন্ত বীথিকার কারিগর। এ তীর থেকে ঐ তীর, বিস্তৃত প্রবাহমান নদী। যমুনাই নাম দিলাম তার। তুমি সাঁতার জানতে না। আমি শিখালাম ঢেউয়ের ব্যাকরণ। তুমি কারণ খুঁজলে, বারণ খুঁজলে। জলের জন্ম, উৎস খুঁজলে দিবানিশি। বিরামহীন তির্যক প্রশ্নের কাছে আমি বহুধা বিভক্ত। নদী তীরবর্তী শুষ্ককাষ্ঠ মহীরুহ দেখে বুঝলে আমি ফুল ফোটাতে জানি না। বাহু থেকে বন্ধবী খুলে গেলে হাত যেমন অসার। তেমনি আজ আমি নির্বিকার। (নঞর্থক-৫)
***
তুমি যদি বলো শূন্য। আমার দিক চিহ্নহীন। তুমি যদি বলো অথই। আমি মহাসাগর। উথাল পাতাল ঢেউ। কেউ বললে বার্লিন প্রাচীর। আমি তবু তোমার দিকে। এখানে বৃষ্টি নামে অযথা। অথচ আমাদের কত কথাই না ছিল। প্রয়োজন কোন ব্যাকরণ মানেনি। তুমি সোনার বালা বললে আমি ভাবতাম মঙ্গল। ভাবতাম লাল উত্তপ্ত গ্রহ। তাই নিয়ে তাথৈ। নিশানা যখন প্রেক্ষাগৃহ। তোমার তরী অচীন প্রবাহে। তাই তোমার বাড়ি আমার বাড়ি চলছে আজ আড়ি আড়ি। (নঞর্থক-৪)
***
প্রিয় কবিতারা উল্টো হাঁটে---সদলবলে। প্রিয় কবি ভুলে আছে কলম , কালি ও তুলি। আঁকা হয়না সারস, সরষে ক্ষেত--- মৌমাছি। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত পুরনো ধারাপাত। ছকে আঁকা জীবন--যাদুঘর। ভাল মন্দ, হিতাহিত জ্ঞান---নেই প্রয়োজন নেই প্রয়োজন। মানুষ যখন পরান্মূখ জীবন। জীবন যখন জুয়ার আসরে মাতম। (নঞর্থক---৩)
***
আবারও লিখতে ই্চ্ছে করে। চৈত্র দিনের হাওয়া বয়ে যায় দিন রাত। ভোর হয়ে থাকে ঘোরাচ্ছন্ন। আমার নিদ্রার ভিতর দেশ ঢুকে যায়। শ্বাস প্রশ্বাস থেকে অঙ্কিত হয় বিমূর্ত ভালবাসা। ছেড়ে আসা জমিনের আল ধরে হেঁটে যাই বহুদূর। নিরবিচ্ছিন্ন নদীর দৃশ্য ফুটে উঠে চোখের কার্নিশে। মনে পড়ে আমার একটা ভিটে মাটি ছিল। ঐ তুরঙ্গ নদীর ধার ঘেঁষে। এখানে আকস্মিক বৃষ্টি এলে শুধু মনে হয় বেঁচে আছি। (নঞর্থক-২)
***
ভালবাসা খুব সহজ করে আসে। হাত পাতলেই যেমন বায়ুর পৃথিবী। বন্ধুদের কথা। তারা সহজে পেয়েছিল। তাই সহজ উপলব্দি। চিতার ভিতরে জ্বলন্ত মুখপিন্ড। সেখানে উঁকি দেয় অক্সিজেনের আগ্রাসি লালসা। ভালবাসা এখানে পোড়ো ভগ্নস্তুপ। বুক জুড়ে শতাব্দীর আগাছা। (নঞর্থক-১)
পাদটীকা: আমার এই প্রিয় জায়গাটিতে সময়াভাবে খুব কম আসা হচ্ছে। সেই সাথে অংবং লেখালেখিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আর কিছু দিন বাদে হয়ত কিছুটা মুক্ত হবো। তখন আবারও হুমড়ি খেয়ে পড়ার সুযোগ থাকবে।
যাই হোক, একটু আগে ব্লগে ঢুকে দেখি এখানে আমার বয়স ৫ বছর হলো। অনেক স্মৃতিময় একটা সময়। গত ৫ বছরের মধ্যে ২০১৩/২০১৪ সালে সর্বাধিক পোস্ট দিয়েছিলাম। এ বছর এক রকম বন্ধ্যাভাব যাবে। যাঁরা এতদিন পাশে থেকে আমার অংবং লেখা পড়ে বিভিন্নভাবে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিয়েছেন/ দিয়েছিলেন (হারিয়ে যাওয়া প্রিয় ব্লগার গণ) তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে তাদের প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা রইলো। খুব খুব ব্যস্ততায় যাচ্ছে দিনকাল, তাই জবাবে বিরতি থাকতে পারে। আশা রাখি সেটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভাল থাকবেন এবং সৃষ্টিতে থাকবেন প্রিয় ব্লগারগণ।
---লেখার ছবিটা বরাবরের মত নিজস্ব
