somewhere in... blog

সংসদ ও জন প্রতিনিধীত্বের নতুন ধারণা

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমরা যেভাবে জন প্রতিনিধী নির্বাচন করে সংসদে পাঠাই তাতে একটা গলদ আছে বলে আমার মনে হয়। যেমন ধরুন একটা সংসদীয় এলাকায় সবচেয়ে বেশী যে ভোট পায় সে নির্বাচিত হয়। তাত্ত্বিক ভাবে সে ঐ এলাকার সকলের প্রতিনিধী হওয়ার কথা কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। শুধু যে বাংলাদেশেই এই সমস্যা তা না পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই একই সমস্যা। সে আসলে প্রতিনিধীত্ব করে তার দলের। ধরুন একটা এলাকার নির্বাচিত সদস্য পেয়েছে এক লক্ষ তেত্রিশ হাজার (১৩৩,০০০) ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী পেয়েছে এক লক্ষ পনের হাজার (১১৫,০০০) ভোট। অন্যান্য প্রার্থী সব মিলে পেয়েছে আরও তিপ্পান্ন হাজার (৫৩,০০০) ভোট। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে এক লক্ষ আটষট্টী হাজার (১৬৮,০০০) লোকের কোন প্রতিনিধী সংসদে নেই যেখানে ঐ এলাকার মাত্র এক লক্ষ তেত্রিশ হাজার লোকের প্রতিনিধী হিসাবে একজন হচ্ছে সংসদ সদস্য। আর এ কারণেই সংসদ আসলে একমাত্র প্রধানমণ্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ি চলে। জনগনের মতামতের কোন প্রতিফলন ঘটে নাই কোনদিন।

তাই আমি মনে করি প্রতি একলক্ষ মানুষের জন্য একজন করে প্রতিনিধী নির্বাচন করা উচিত, যাতে অন্তত বেশীর ভাগ মানুষের প্রতিনিধী নিশ্চিত করা যায়। যে একলক্ষ ভোট বা তার বেশী পাবে সেই নির্বাচিত হবে। এতে করে ১৬ কোটি লোকের কম বেশী ১৫০০ জন প্রতিনিধী নির্বাচিত হবে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে যার নিম্ন কক্ষে কমবেশী এক হাজার সদস্য থাকবে। বাকিরা যারা দুই লক্ষ বা কাছাকাছি ভোট পাবে তারা উচ্চ কক্ষের সদস্য হবেন। এটা নিয়ে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে ঠিক করা যেতে পারে কারা কারা বা কত ভোট পেলে কোন কক্ষের সদস্য হবেন। এছাড়া উনারাই পর্যায়ক্রমে জেলা পরিষদেরও সদস্য হবেন। বিভাগীয় পরিষদের সদস্য হবেন উচ্চ কক্ষের সদস্যরা। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারী কর্মচারীরা জেলা ও বিভাগীয় পরিষদের অধীনে কাজ করবে। এতে করে সকল পর্যায়ে প্রতিনিধীত্ব নিশ্চিত করা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চরমোনাইর পীরসাহেব, নিজেকে আপডেটেড করুন, ১২১ বছর পিছিয়ে আছেন।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০১


১২১ বছর আগে আবিষ্কৃত বিমান ইউটিউব দেখে নতুন করে বানিয়ে আকাশে ওড়ানোকে আপনার কাছে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার মতো আবিষ্কার বলে মনে হতেই পারে, কিন্তু আমরা যারা বিজ্ঞান পড়েছি, আমাদের কাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত: সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২



বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত একদিকে যেমন উন্নতির পথে, অন্যদিকে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের জন্য এটি এক মহাসঙ্কটের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার বড় সরকারি হাসপাতালগুলোর আশপাশে গজিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদিন সোনা ঝরা রোদে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৮



এভাবেই একদিন সোনা ঝরা রোদে
হেঁটেছি দু’জন পাশাপাশি খানিকটা পথ
হঠাৎ বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দু’জনে
একরাশ ভালো লাগা হৃদয়ে জড়ায়।

তুমি তাকালে এমন করে ভাবছি সে চোখ
দেখেছি এমন আর মনেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

=চাহিদার আর হয় না ইতি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৪০


যতই সুখ হাতের নাগালে আসে, চাহিদা বেয়ে ওঠে... উঁচু সিঁড়ি
যেটুকু পেলে অন্ততঃ হওয়া যায় সুখি, তবুও আরও চাই
চাই মোহ পাহাড় গিরি,
বাড়ী হলে বলি মনে মনে, একটা গাড়ী হলে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। 'সেই শিশুর বুকে বসানো হলো টিউব'

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

গেলো কদিন আমি খুব মানসিক যন্ত্রনায় আছি মাগুরার নির্যাতিত শিশু কন্যা আছিয়ার বিষয়বস্তু নিয়ে । ও ভাল নেই এইটাই শেষ খবর । কাল ওর বুকে ছিদ্র করে ফুসফুসের বাতাস যাওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

×