অফিসে হটাৎ সহকর্মীর পিসির দিকে চোখ গেলো, বসে বসে উনি ওয়ার্ডে ছক কেটে এ, বি, সি, ডি, ক্যাপিটাল এবং স্মল দুইটাই লিখছেন ডট ডট দিয়ে। ওনার দুই তিন বছর বয়সী মেয়েকে হাতের লেখা শিখানোই উদ্দেশ্য তা বুজতে এতটুকু সময় লাগলো না। সব সময় রাজনীতি আর ধর্ম নিয়ে রগ ফুলিয়ে তর্ক করা এই ভাই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন, আর সাথে নিয়ে যাবেন মেয়ের জন্য হাতের লেখা প্রাকটিস করার জন্য এই প্রিন্ট আউট পেপারস।
আমার নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়লো। আমার ছেলেবেলা মানে হলো আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগের কথা, তখন কম্পিউটার ছিল না, আর প্রিন্ট করার প্রশ্নই আসতো না। আমার নির্বিরোধী বাবা ৫ দিন অফিস করতো, আর বাকি দুই দিন সকাল থেকে বসতো কাগজ পেন্সিল স্কেল নিয়ে, খুব মনযোগ দিয়ে একের পর এক পেইজ ছক কেটে যেতো আমার হাতের হাতের লেখা শেখার জন্য। শুধু যে আমার জন্যই এই কাজ করেছেন তা না, আমার বড় দুই বোনের হাতে খড়ি বাবার কাছেই।
বাবা শব্দটাই আসলে এমন, স্নেহময় বাইরে যাই হোক না কেন, সমাজে তার অবস্থান যাই হোক না কেন মেথর, ডাক্তার, উকিল বা দেশ পরিচালক, বাবা তো বাবা’ই।