somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দৃষ্টি আকর্ষণ করছি: সম্মানিত ব্লগারদের এবং বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিবর্গের সদয় পরামর্শ চাইছি।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ বিষয়ে গতকাল খোলা চিঠির পোস্টের লিংক


এখানে পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করলাম, ব্লগের সকল সম্মানিত এবং বিভিন্ন পেশাজীবি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে।


প্রসঙ্গ: আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, (মতিঝিল শাখা) ক্লাস শেষে ছুটির সময় ছাত্রদের স্কুল ভবনের সিঁড়ি ব্যবহারের সময় অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে।


আমি একজন অভিভাবক, আমার সন্তান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল শাখায় (৪র্থ শ্রেণি, দিবা শাখা) বর্তমানে অধ্যয়নরত। ৩০-০৮-২০২২ তারিখ, আনুমানিক বেলা ৪:০৮ ঘটিকায় ক্লাস ছুটির পরে ক্লাস থেকে পশ্চিম দিকের সিঁড়িটি (সিঁড়িটি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়েও বেশি উঁচু এবং অপ্রশস্ত) ব্যবহার করে ছাত্ররা নিচে নামার সময় আমার সন্তানসহ অনেকেই সিঁড়িটির নিচে পড়ে যায় । আমার সন্তানের পেট, বুক ও পিঠে এলোপাথারীভাবে অন্য ছাত্ররা পা দিয়ে মাড়িয়ে নিচে নামতে থাকে ফলে আমার সন্তানের প্রায় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে হতে সে কোনমতে উপুর হয়ে বেঁচে যায় এবং সে চিৎকার করতে থাকে কেউ আমাকে বাঁচাও; আমাকে টেনে ওঠাও; - ইতোমধ্যে স্কুলের সিকিউরিটি গার্ড দৌড়ে এসে আমার সন্তানকে টেনে তুলে।

আমি ঐদিন (৩০-০৮-২০২২) বেলা ৪:১২ ঘটিকায় স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখি আমার সন্তান স্কুলে পতাকা স্ট্যান্ড বেদিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে এবং আমাকে দেখার সাথে সাথেই হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে বলে বাবা আমি আজকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছি; ওরা সবাই আমাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে মাড়িয়ে নিচে নামছিল আমি ওঠতেই পারছিলাম না (তার শার্ট ও প্যান্ট এ ময়লা লেগেছিল যার ছবি আমি মোবাইলে তুলে রাখি)।



আমি আমার সন্তানের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে আমার সন্তানকে নিয়ে টিচারস্ রুমে ক্লাস টিচার তৌহিদা মিস-কে ঘটনার বিস্তারিত বলার পরও উনি নিশ্চুপ! পরে আমি উনার কাছে জানতে চাইলাম আমি কার কাছে অভিযোগ দিব? উনি কোনরকম আমাকে বললেন আপনি হেড টিচারের নিকট যান; পরে আমি সহকারী হেড টিচারের নিকট গিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করি এমন সময় একজন সিকিউরিটি গার্ড এসে বলে আমি আপনার ছেলেকে টেনে তুলেছি। এর মধ্যেই পাশ থেকে একজন টিচার (যার নাম শাহাদাত স্যার নামে লম্বামত) আমার সাথে চরম উত্তেজিত হয়ে ও ধমকের সূরে কথা বলে। আমাকে বলে আমরা বিষয়টা দেখবো আপনি বাড়ী যান।

এরপরও যখন আমি এই উঁচু সিড়ির বিষয়ে অভিযোগ করি যে, আপনাদেরকে আগেও জানিয়েছিলাম যে সিড়িটি বাচ্চাদের নামার জন্য অনুপযোগী; আপনারা এটি সংস্কার করুন (সিঁড়ির ধাপগুলো প্রায় খাড়াখাড়ি হওয়ায় বাচ্ছারা নামতে গেলে পড়ে যায়) শাহাদাত স্যারকের বলেছিলাম আপনারা এটা সংস্কার করেন নয়তো যেকোন সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যাবে। উনি আমাকে বেয়াদব বলে ধমকাতে থাকে এবং স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বলে।

এই সিঁড়িটায় পূর্বে একটি দূর্ঘটনার কথাও ক্লাস টিচার তৌহিদা মিস্ এর ক্লাস ৪ এর whatsapp গ্রুপ-এ একজন অভিভাবক অভিযোগ করেছেন যে, তার ছেলেকে সমাজবিজ্ঞানের মহিলা শিক্ষক এই একই সিঁড়িতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন (ছেলেটি চোখে কম দেখতে পায় তাই আস্তে নামছিল বলে) যার whatsapp এর screen shot আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। স্ক্রীন শর্টের লেখাটা হলো:

আমার ছেলে তালহা রহমান জন্মগতভাবে চোখে কম দেখে বিধায় ছুটি শেষ বাইরে গিয়ে অন্যদের আগে যেতে দেয়। অন্য ছাত্ররা নামার সময় পেছনে থাকা বাচ্চারা ওকে ধাক্কা দিলেও চোখে কম দেখায় সে আগাতে পারে না। এটা দেখে সমাজের টিচার আমার ছেলেকে কলারে ধরে থাপ্পড় মারে, ব্যাগ থেকে ডায়েরি নিয়ে নেয়। অন্য কারো অভিযোগ ছাড়াই চোখে কম দেখা একটি ছাত্রকে বিনা কারণে এভাবে মারার জন্য আমি ক্লাস টিচারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বিষয়টি অভিভাবক ফোরামে জানাবো।- এ বিষয়ে ক্লাস টিচার কোন পদক্ষেপ নেন নি।



সে বিষয়েও ক্লাস টিচার বা প্রশাসন কোন ভূমিকা পালন করেননি যার ফলে আজকে এরকম একটা দূর্ঘটনা ঘটেছে (হয়তো আজকে পদদলিত হয়ে মৃত্যর হাত থেকে অনেক ছাত্রকে আল্লাহপাক রক্ষা করেছেন।)রবর্তীতে আর একজন শিক্ষক আমার দিকে তেড়ে আসে এবং বলে ভর্তির আগে স্কুলের সিঁড়ি দেখে ভর্তি করালাম না কেন? এরকম আচরণে আমি নির্বাক (স্কুলের ভর্তির সার্কুলারে তো এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই)। আমি যখন কয়েকজন অভিভাবক (বেশিরভাগ মহিলা) এর সাথে বললাম এরা কি স্কুলের শিক্ষক না অন্যকিছু এমন সময় জনাব শাহাদাত স্যার আমার দিকে ছুটে আসলে সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে কোমড়ে ধরে আটকায় জনাব শাহাদাত অনেক অকথ্য ভাষা আমার সাথে দূর্ব্যবহার করতে থাকে এবং আমাকে পানিশমেন্ট দিবে বলে হুমকি দেন। এমন সময় আশেপাশের কয়েকজন শিক্ষক আমাকে গেট দিয়ে বের হয়ে যেতে বলে। (তাদের আচরণ অত্যন্ত ভয়ংকর)। ক্লাসে টিচারদের ব্যবহার কেমন তা ক্লাস টিচারের whatsapp Group class-4 এর স্ক্রিন শট আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। স্ক্রীন শর্টের লেখাটা হলো:

আরেকজন অভিভাবক লিখেছেন-:
“সমাজ মেডামের আচরণ শিক্ষক সুলভ নয়। ওনার মারের ভয়ে আমার ছেলে স্কুলে যেতে চায় না। ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এই মেডামের আচরণ পরিবর্তনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”




”স্কুল কর্তৃপক্ষ কি ক্লাস শেষে ছুটির সময় অব্যবস্থাপনায় জন্য দূর্ঘটনার দায়-ভার আমাদের দিবেন?? না-কি আমরা আমাদের সন্তানদেরকে এরকম ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় স্কুলে পাঠাবো।”

পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে আমি গেটের বাহিরে কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা আমাকে বলে এখানকার টিচারদের ব্যবহার এমনি হয় আপনি এখানে ন্যায় বিচার পাবেন না বরং আপনার সন্তানের ক্ষতি করবে। আপনি প্রিন্সিপাল বরাবর চিঠি দেন। আমি একজন অভিভাবক (সন্তানের বাবা) হিসেবে আপনার/আপনাদের নিকট এ বিষয়ে সুগঠিত পরামর্শ ও সদয় মতামত কামনা করছি।

---যারা এতক্ষন সময় নিয়ে লেখাটা পড়লেন তাঁদেরকে অগ্রীম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।








সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
৫০টি মন্তব্য ৫০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×