একান্ত বাধ্য হয়েই এখানে পোস্টটি করলাম, কারণ, আমাদের মতো অসহায়দের যখন ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ নাই;
বরাবর
ফাওজিয়া রাশেদী
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
বিষয়: মতিঝিল শাখায় ক্লাস শেষে ছুটির সময় অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে।
মহোদয়,
আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী একজন অভিভাবক, আমার সন্তান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল শাখায় (৪র্থ শ্রেণি, দিবা শাখা) বর্তমানে অধ্যয়নরত। ৩০-০৮-২০২২ তারিখ, আনুমানিক বেলা ৪:০৮ ঘটিকায় ক্লাস ছুটির পরে ক্লাস থেকে পশ্চিম দিকের সিঁড়িটি (সিঁড়িটি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়েও বেশি উঁচু এবং অপ্রশস্ত) ব্যবহার করে ছাত্ররা নিচে নামার সময় আমার সন্তানসহ অনেকেই সিঁড়িটির নিচে পড়ে যায় আমার সন্তানের পেট, বুক ও পিঠে এলোপাথারীভাবে অন্য ছাত্ররা পা দিয়ে মাড়িয়ে নিচে নামতে থাকে ফলে আমার সন্তানের প্রায় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে হতে সে কোনমতে উপুর হয়ে বেঁচে যায়, ইতোমধ্যে স্কুলের সিকিউরিটি গার্ড দৌড়ে এসে আমার সন্তানকে টেনে তুলে। আমি ৩০-০৮-২০২২ তারিখ, বেলা ৪:১২ ঘটিকায় স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখি আমার সন্তান পতাকা স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে এবং আমাকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে বলে বাবা আমি আজকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছি (তার শার্ট ও প্যান্ট এ ময়লা লেগেছিল যার ছবি আমি মোবাইলে তুলে রাখি) এবং ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে টিচার রুমে ক্লাস টিচার তৌহিদা মিস-কে ঘটনার বিস্তারিত বলার পরও উনি নিশ্চুপ! পরে আমি উনার কাছে জানতে চাইলাম আমি কার কাছে অভিযোগ দিব? উনি কোনরকম আমাকে বললেন আপনি হেড টিচারের নিকট যান; পরে আমি সহকারী হেড টিচারের নিকট গিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করি এমন সময় একজন সিকিউরিটি গার্ড এসে বলে আমি আপনার ছেলেকে টেনে তুলেছি। এর মধ্যেই পাশ থেকে একজন টিচার (যার নাম শাহাদাত স্যার নামে লম্বামত) আমার সাথে চরম উত্তেজিত হয়ে ও ধমকের সূরে কথা বলে আমাকে বলে আমরা বিষয়টা দেখবো আপনি বাড়ী যান। আমি উনাকে বললাম এর আগেও আমি স্ব-শরীরে ছুটির সময় এই উঁচু সিঁড়িটির (সিঁড়ির ধাপগুলো প্রায় খাড়াখাড়ি হওয়ায় বাচ্ছারা নামতে গেলে পড়ে যায়) বিষয়ে এই শাহাদাত স্যারকের বলেছিলাম আপনারা এটা সংস্কার করেন নয়তো যেকোন সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটে যাবে। উনি তখনো দেখবেন বলেছেন। এই সিঁড়িটায় পূর্বে একটি দূর্ঘটনার কথাও ক্লাস টিচার তৌহিদা মিস্ এর ক্লাস ৪ এর whatsapp গ্রুপ-এ একজন অভিভাবক অভিযোগ করেছেন যে, তার ছেলেকে সমাজবিজ্ঞানের মহিলা শিক্ষক এই একই সিঁড়িতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন (ছেলেটি চোখে কম দেখতে পায় তাই আস্তে নামছিল বলে) যার whatsapp এর screen shot আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। সে বিষয়েও ক্লাস টিচার বা প্রশাসন কোন ভূমিকা পালন করেননি যার ফলে পুনরায় এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে (হয়তো আজকে পদদলিত হয়ে মৃত্যর হাত থেকে অনেক ছাত্রকে আল্লাহপাক রক্ষা করেছেন।) পরবর্তীতে আর একজন শিক্ষক আমার দিকে তেড়ে আসে এবং বলে ভর্তির আগে স্কুলের সিঁড়ি দেখে ভর্তি করালাম না কেন? এরকম আচরণে আমি নির্বাক (স্কুলের ভর্তির সার্কুলারে তো এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই)। আমি যখন কয়েকজন অভিভাবক (বেশিরভাগ মহিলা) এর সাথে বললাম এরা কি স্কুলের শিক্ষক না অন্যকিছু এমন সময় জনাব শাহাদাত স্যার আমার দিকে ছুটে আসলে সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে কোমড়ে ধরে আটকায় জনাব শাহাদাত অনেক অকথ্য ভাষা আমার সাথে দূর্ব্যবহার করতে থাকে এবং আমাকে পানিশমেন্ট দিবে বলে হুমকি দেন। এমন সময় আশেপাশের কয়েকজন শিক্ষক আমাকে গেট দিয়ে বের হয়ে যেতে বলে। (তাদের আচরণ অত্যন্ত ভয়ংকর)।
”স্কুল কর্তৃপক্ষ কি ক্লাস শেষে ছুটির সময় অব্যবস্থাপনায় জন্য দূর্ঘটনার দায়-ভার আমাদের দিবেন?? না-কি আমরা আমাদের সন্তানদেরকে এরকম ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় স্কুলে পাঠাবো।”
০২। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে আমি গেটের বাহিরে কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা আমাকে বলে এখানকার টিচারদের ব্যবহার এমনি হয় আপনি এখানে ন্যায় বিচার পাবেন না বরং আপনার সন্তানের ক্ষতি করবে। আপনি প্রিন্সিপাল বরাবর চিঠি দেন। তাই আমি একজন অসহায় অভিভাবক (সন্তানের বাবা) হিসেবে আপনার/আপনাদের নিকট এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি ।
শ্রদ্ধান্তে
একজন অসহায় অভিভাবক
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৬