২৭-১০-২০১৮ তারিখ সকালে রাতারগুল ও বিছানাকান্দি স্বপরিবারে গিয়েছিলাম- রাতারগুলে পানি নাই- পাশের নদীতে বাঁধ দিয়ে জমানো পানি টেনে এনে রেখেছে যা অত্যন্ত ঘোলা- ইচ্ছে করলে পায়ে হেঁটে বনে প্রবেশ করা যায় (পরিপূর্ণ ঘুরাঘুরি ও সৌন্দর্য উপভোগের মুল সময় বর্ষাকাল);
বিছানাকান্দি-তে যাওয়ার সময় বঙ্গবীর মোড়ের পর থেকে হাদারপাড় বাজার পর্যন্ত গেলে মনে হবে এখানে কোন-কালে হয়তো রাস্তা ছিল যা এখন একটা ট্রেইলের মত রাস্তা খানা-খন্দরে পরিপূর্ণ প্রতি এক কিলোমিটার সিএনজিতে যেতে ১০ প্রায় মিনিট লাগে- তারপর হাদারপাড় বাজার থেকে ঘাটে গেলে সিএনজি/গাড়ী রাস্তার উপরে রাখেন আর নিচের শুকনো জমিতে রাখে স্থানীয় পাতি-নেতারা চাঁদা আদায় করবেই; তারপর ট্রলার ভাড়ার ক্ষেত্রেও সিন্ডিকেট আমার মনে হয়েছে- ৫০০টাকা হলেও ওদের লাভ আছে; সেখানে ওরা ১০০০টাকা নিচে যাবে না; ঘাটে ২০-২৫ জন মাঝি আছে সবারই একই কথা পরে অনেক বুঝিয়ে-সুজিয়ে ৪জন মানুষ আমরা ৮০০টাকায় রাজী করালাম; বিছানাকান্দি না বলে -মরুকান্দি বলাই ভাল (বালি আর পাথর ধুলাবালি-পানি না থাকার কারণে - এমনটা আমার মনে হয়েছে) আমাদের ট্রলার ২-৩বার নদীতে আটকে গেছে যা ঠেলে-ঠুলে নিয়ে গেছে বিছানাকান্দির কাছে। ওখানেও ট্রলার পাকিং চার্জ ৫০টাকা যদিও এই চার্জ নেয়ার কোন কারণ খুঁজে পাই নি; নিরাপত্তার জন্য/নাকি ধান্দার জন্য জানিনা - টুরিস্ট পুলিশ, পুলিশ/বিডিআরের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। যদিও আমাদের উদ্দেশ্য ছিল- স্থানীয় খাসিয়া বাজার যা প্রতি চারদিন পরপর বসে সে হিসেব করে গেলাম; কিন্তু বিজিবি যেতে দিল না; আমি যখন একজন বিজিবির সাথে কথা বলছিলাম তখন দেখলাম কিছু লোক খাসিয়া বাজার থেকে প্রসাধনসামগ্রীসহ ব্যাগ হাতে নিচে নেমে আসছে। বিডিয়ারকে জিজ্ঞাসা করতেই উনি ওই লোকগুলোকে তাড়াতে তৎপর হলো। পরবতীতে নিচে বিছানাকান্দির মুখে পাথর আর বালির উপর ভাসমান দোকান গিয়ে দেখলাম কিছুক্ষণ আগে যে লোকগুলো আমাদের সামনে বাজার করে আসলো তারা এই দোকানের মালিক দোকানের উপর সদ্য ক্রয়কৃত প্রসাধনসামগ্রী সাজানো শুরু করলো। দামটাও অসাধারণ ?? আমি ৭৮ রুপির এক প্যাক সাবান ১৪০ টাকায় অনেক বলার পর কিনতে পারলাম ; আমাকে বলল অন্য দোকানীরা জানতে চাইলে বলবেন ১৬০ টাকায় কিনেছি - কি তুঘলকি কারবার যা বাজারে গেলে হয়তো বাংলাদেশী টাকায় ১০০ টাকায় পেতাম। এখানে এতগুলো দোকান-পাটের সাথে পুলিশ/বিডিয়ারের একটা গভীর সখ্যতা রয়েছে বিধায় সীমান্তের বাজারে পর্যটকদের যেতে বাঁধা -কিন্তু স্থানীয় দোকানিদের বেলায় তেনারা উদাসীন!
বালুর আর শুকনো পাথরে ঘা ঘষাঁঘষি না করে বর্ষায় যাওয়ার জন্য পরিক্ল্পনা করুন।
আর হ্যাঁ; বর্ষাকালে হাদারপার না গিয়ে বঙ্গবীর মোড়/পীরের বাজার পুলের নিচ থেকে ্ট্রলার ভাড়া করলে একসাথে বিছানাকান্দি+কুলুমছড়া+লক্ষণছড়া+পান্তুমাইসহ ৫টি স্থানের অপার সৌর্ন্দয্য ট্রলারে বসেই উপভোগ করতে পারবেন- পয়সাও উসুল হবে (ট্রলার ভাড়া ৫টি স্থানের জন্য আনুমানিক ৫-৭ হাজার টাকায় সারাদিন-একটি ্ট্রলারে ৮-১০জন লোক অনায়াসেই বসে যেতে পারে)।
-ছবি আপলোড করতে পারলাম না বলে দু:খিত; সবগুলো ছবিই পারিবারিক ছিল। তবে নেটে অনেক ভাল ভাল ভিউ পাব্নে। এই সময়ে বিছানাকান্দি রাতারগুল এসে টাকার অপচয় ও কষ্টের কোন মানে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৫