.বর্ষাকাল...........আপনার আমার-আমার .ছোট্ট প্রিয় সোনামনিদের নিয়ে একটু সর্তক থাকুন।
এই বর্ষায় আমাদের বাড়ীর আশে-পাশে পুকুর, খাল-বিল, ছোট ডোবা-নালা পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আর নতুন পানির আগমনে ছোট্ট ছেলে-মেয়েরা খেলায় মেতে উঠে।
বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর যে তথ্যচিত্র পাওয়া যায়—
পুকুরে বা দিঘিতে ডুবে শিশুমৃত্যুই সর্বাধিক
এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে বেশি ঘটে
এক থেকে দুই বছরের শিশুতে বেশি
সকাল নয়টা থেকে দুপুরের মধ্যে
মা যখন সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকেন
৭৫ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে যখন বাড়ি থেকে অনধিক ২০ মিটারের কম দূরত্বে পানির উৎস রয়েছে অথচ এসব শিশুমৃত্যুর ১০০ ভাগই প্রতিরোধযোগ্য।
ত্বরিত ব্যবস্থাপনা
যত দ্রুত সম্ভব শিশুর মুখ-নাক পানির স্তরের ওপরে নিয়ে আসা। ডুবে যাওয়া শিশু অনেক সময় উদ্ধারকারীকে আঁকড়ে ধরে নিচে তলিয়ে যেতে থাকে। সুতরাং উদ্ধারকারী শক্ত কিছু অবলম্বন ধরেই প্রচেষ্টা চালাবে।
সিপিআর প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে ডাঙায় তুলে এনে তার ত্বরিত প্রয়োগ।
শিশুর অত্যধিক শীতলতাজনিত মৃত্যু নিবারণে ভেজা কাপড়-চোপড় সরিয়ে গরম কাপড়-চোপড়ে আবৃত করা।
প্রতিরোধ
জনসচেতনতাবিষয়ক কমিউনিটি কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ।
পুকুর, ডোবা বা দিঘির চারপাশে বেড়া দেওয়া, যাতে তা শিশুর নিরাপদ বাড়ি হিসেবে গণ্য হয়।
সুইমিংপুলে সেফটি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন।
বাংলাদেশে যে হারে বায়ু, মাটি, পানি ও খাদ্য দূষণ বাড়ছে তাতে নবজাতক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের শিশুরা নানাবিধ রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। জীবনীশক্তি লোপ পেয়ে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠা প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউনিসেফ পরিচালিত বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও আঘাত সংক্রান্ত জরিপে দেখা যাচ্ছে- বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৮ হাজার শিশু শুধুমাত্র সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে মারা যায়। অথচ প্রত্যেক শিশুকে যদি শুরুতেই সাঁতার শিখানো যায়, তবে এ ধরণের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা অনায়াসেই দূর করা যায়।
আজকের দিনের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। কারণ আজকে যাকে আমরা শিশু হিসাবে দেখছি সময়ের অমোঘ নিয়মে আগামীতে সে হয়ে উঠবে দায়িত্বশীল পিতা/মাতা এবং ভবিষ্যত নাগারিক।
তাই একটি জাতিকে সুস্থ, সবল ও দক্ষ মানবসম্পদ হিসাবে গড়ে তুলতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন নিরোগ, স্বাস্থ্যবান ও সুস্থভাবে বেড়ে উঠা শিশুর উপর।
সূত্রঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩১